অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন নাগরিককে প্রধান করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সংস্কারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা মেনে নেওয়া হলে দেশটি সংস্থাটিতে থেকে যাবে। মার্কিন সরকারের দুটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। এ ছাড়া, এই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কিছু নথি বার্তা সংস্থা রয়টার্স পর্যালোচনা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংস্কারে কটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। পরিকল্পনা অনুসারে একজন মার্কিনিকে সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র দ্রুতই সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিকে পারে। এর পরপরই দেশটি সংস্থাটিকে ঘিরে নিজেদের চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান প্রধান তেদরস আধানম ঘেব্রেইসাসের মেয়াদ ২০২৭ সালে শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, তখন তারা একজন মার্কিন কর্মকর্তাকে ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেবে। এর আগে, গত জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হতে পারে। এর ফলে, সংস্থাটিকে বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়তে হতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় দাতা।
যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে আনার সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, সংস্থাটি কোভিড-১৯ মহামারি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সংস্থাটি অন্য দেশগুলোর অতিরিক্ত প্রভাবের শিকার হয়েছে। তবে সংস্থাটি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষে আমেরিকান নেতৃত্বের অভাবের কারণেই সংস্থাটির কার্যকারিতা কমে গেছে এবং তহবিল অপচয়ের প্রধান কারণ। এই সংস্কারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচওর কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে চায়। সংস্থাটির বর্তমান প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যেকোনো সদস্য রাষ্ট্র তাদের প্রার্থীকে ডিরেক্টর জেনারেল পদে প্রস্তাব করতে পারে এবং নির্বাচিত হতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করেছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সঙ্গে যোগাযোগও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অংশীদার ছিল। তবুও, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় অংশ নিচ্ছে। ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এই সভা চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত।
এই পদক্ষেপটি নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতা ও জনস্বাস্থ্যকর্মীরা উদ্বিগ্ন। ৪৩ মার্কিন আইনপ্রণেতা ট্রাম্পকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, আমেরিকার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। তাঁরা মনে করেন, সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য ও আমেরিকার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এ ছাড়া, জনস্বাস্থ্যকর্মীরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন। যাতে সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স গোস্টিন বলেছেন, ‘আমেরিকার স্বার্থে ডব্লিউএইচওর সদস্য থাকা এবং সেখানে সংস্কার আনা হবে সবচেয়ে ভালো।’
এই প্রস্তাবনা মূলত ট্রাম্পের প্রশাসনের মতামতের প্রতিফলন। তবে, এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পরিণত হয়নি এবং ভবিষ্যতে এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত নয়।
মার্কিন নাগরিককে প্রধান করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সংস্কারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা মেনে নেওয়া হলে দেশটি সংস্থাটিতে থেকে যাবে। মার্কিন সরকারের দুটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। এ ছাড়া, এই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কিছু নথি বার্তা সংস্থা রয়টার্স পর্যালোচনা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংস্কারে কটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। পরিকল্পনা অনুসারে একজন মার্কিনিকে সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র দ্রুতই সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিকে পারে। এর পরপরই দেশটি সংস্থাটিকে ঘিরে নিজেদের চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান প্রধান তেদরস আধানম ঘেব্রেইসাসের মেয়াদ ২০২৭ সালে শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, তখন তারা একজন মার্কিন কর্মকর্তাকে ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেবে। এর আগে, গত জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হতে পারে। এর ফলে, সংস্থাটিকে বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়তে হতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় দাতা।
যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে আনার সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, সংস্থাটি কোভিড-১৯ মহামারি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সংস্থাটি অন্য দেশগুলোর অতিরিক্ত প্রভাবের শিকার হয়েছে। তবে সংস্থাটি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষে আমেরিকান নেতৃত্বের অভাবের কারণেই সংস্থাটির কার্যকারিতা কমে গেছে এবং তহবিল অপচয়ের প্রধান কারণ। এই সংস্কারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচওর কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে চায়। সংস্থাটির বর্তমান প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যেকোনো সদস্য রাষ্ট্র তাদের প্রার্থীকে ডিরেক্টর জেনারেল পদে প্রস্তাব করতে পারে এবং নির্বাচিত হতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করেছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সঙ্গে যোগাযোগও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অংশীদার ছিল। তবুও, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় অংশ নিচ্ছে। ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এই সভা চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত।
এই পদক্ষেপটি নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতা ও জনস্বাস্থ্যকর্মীরা উদ্বিগ্ন। ৪৩ মার্কিন আইনপ্রণেতা ট্রাম্পকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, আমেরিকার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। তাঁরা মনে করেন, সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য ও আমেরিকার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এ ছাড়া, জনস্বাস্থ্যকর্মীরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন। যাতে সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স গোস্টিন বলেছেন, ‘আমেরিকার স্বার্থে ডব্লিউএইচওর সদস্য থাকা এবং সেখানে সংস্কার আনা হবে সবচেয়ে ভালো।’
এই প্রস্তাবনা মূলত ট্রাম্পের প্রশাসনের মতামতের প্রতিফলন। তবে, এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পরিণত হয়নি এবং ভবিষ্যতে এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত নয়।
প্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেচীনের এক তরুণী আকাশছোঁয়া বাসা ভাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে অফিসের টয়লেটে বসবাস করছেন। মাসে মাত্র ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৭ মার্কিন ডলার) ভাড়ায় তিনি এই ৬ বর্গমিটারের অস্বাস্থ্যকর স্থানটিতে দিন কাটাচ্ছেন। এমনই মর্মস্পর্শী এক গল্প উঠে এসেছে হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আবহে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক আলোচনায় বসেছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপান। গতকাল রোববার এই তিন এশীয় রপ্তানিনির্ভর দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তাঁরা আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাণিজ্য প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে
৪ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধানের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই কূটনৈতিক ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে