Ajker Patrika

কৃষ্ণাঙ্গ না ভারতীয়: কমলার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ৫৬
কৃষ্ণাঙ্গ না ভারতীয়: কমলার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের 

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জাতি-বর্ণ-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শিকাগোতে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্ল্যাক জার্নালিস্ট কনভেনশনে গতকাল বুধবার এই প্রশ্ন তোলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কমলা হ্যারিস আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী। কমলার জাতি পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প বলেন, কিছুদিন আগ পর্যন্তও কমলা হ্যারিস তাঁর ভারতীয়-মার্কিন পরিচয় নিয়ে গর্বিত ছিলেন। কিন্তু তিনি অতি সম্প্রতি ‘নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ’ বলে পরিচয় দিচ্ছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না, কয়েক বছর আগেও তিনি কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন কি না। কিন্তু তিনি এখন হঠাৎ করে কৃষ্ণাঙ্গে পরিণত হয়েছেন এবং কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। তো আমি আসলে জানি না, তিনি আসলে ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ।’

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘ট্রাম্পের মন্তব্য পুরোনো মানসিকতার বিভক্তি এবং অসম্মানের বহিঃপ্রকাশ।’ হিউস্টনে কৃষ্ণাঙ্গ সমাজের সিগমা গামা রো’র এক সভায় কমলা হ্যারিস বলেন, ‘মার্কিন জনগণ আরও ভালো কাউকে (প্রেসিডেন্ট হিসেবে) পাওয়ার যোগ্য। আমরা মার্কিনিরা এমন একজন নেতার যোগ্য, যিনি বুঝতে পারেন যে আমাদের মধ্যকার বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য আমাদের বিভক্ত করে না। এই বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তির একটি অপরিহার্য উৎস।’

কমলা হ্যারিস হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয়-আমেরিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট। তাঁর বাবা-মা ভারতীয় ও জ্যামাকাইন বংশোদ্ভূত। তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত নারী সংগঠন আলফা কাপা আলফায় যোগদান করেন। ২০১৭ সালে কমলা হ্যারিস মার্কিন কংগ্রেসের সিনেটর হন এবং কংগ্রেসনাল ব্ল্যাক ককাসের সদস্য হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত