অনলাইন ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের রাশিয়া সফর এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠক নিয়ে উত্তেজনার আঁচ ছড়াল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল।
গতকাল বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া কোনো গণবিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্রের সহায়তা পেলে দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্ররা চুপচাপ বসে থাকবে না।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য রাশিয়া সফরে যান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এ বৈঠকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সতর্ক করেছিল। এমন চুক্তি হলে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা পাবে। সেই সঙ্গে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়া রুশ প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি পাবে।
সম্ভাব্য এ চুক্তির আশঙ্কায় বেশ উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন বলেন, ‘সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তি একই না হলেও একাত্মতা এবং আমাদের নীতিগুলোর প্রতি অবিচল থাকার মাধ্যমে আমরা যেকোনো বেআইনি উসকানিকে প্রতিরোধ করতে পারি।’
রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। এ কারণে এই কাউন্সিল পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন বলেন, রাশিয়া সত্যি সত্যি উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্রের বিনিময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করে থাকলে এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে সমর্থন পাবে।
ইয়ুন বলেন, ‘এটি উদ্বেগজনক যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী কোনো সদস্য—যার ওপর বিশ্ব শান্তির ভার ন্যস্ত রয়েছে—অন্য কোনো সার্বভৌম দেশের ওপর হামলা করবে এবং এমন কোনো দেশের কাছ থেকে অস্ত্র নেবে যে দেশ স্পষ্টতই জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সহযোগিতার বিনিময়ে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রযুক্তি পেয়ে থাকে তবে, এমন চুক্তি হবে সরাসরি উসকানি। এটি শুধু ইউক্রেনই নয় বরং গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন। রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা নেওয়ার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড মহামারির পর পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে কিমের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। প্রায় দুই ঘণ্টা এ দুই নেতার বৈঠক চলে। এটিকে ক্রেমলিন ‘অত্যন্ত বাস্তবিক’ আলোচনা বলে সম্বোধন করেছে।
তবে, বন্ধ দুয়ারের আড়ালে মূলত কী আলোচনা হয়েছে তা এখনো অজানা। দুই দেশের তরফ থেকে কোনো ধরনের সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি, কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কোনো চুক্তির ঘোষণাও আসেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বৈঠকে দুই নেতা কোনো ধরনের চুক্তি সই করেননি।
তবে চুক্তি সই না হলেও আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা হওয়া দেশ দুটির এই বৈঠক তাঁদের ক্রমে গভীর হওয়া সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গিত করছে। ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী হতে নতুন অস্ত্র সরবরাহের জন্য মরিয়া মস্কো। এদিকে আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য পূরণের জন্য উন্মুখ উত্তর কোরিয়া। ফলে এই পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা অন্যদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের রাশিয়া সফর এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠক নিয়ে উত্তেজনার আঁচ ছড়াল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল।
গতকাল বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া কোনো গণবিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্রের সহায়তা পেলে দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্ররা চুপচাপ বসে থাকবে না।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য রাশিয়া সফরে যান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এ বৈঠকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সতর্ক করেছিল। এমন চুক্তি হলে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা পাবে। সেই সঙ্গে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়া রুশ প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি পাবে।
সম্ভাব্য এ চুক্তির আশঙ্কায় বেশ উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন বলেন, ‘সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তি একই না হলেও একাত্মতা এবং আমাদের নীতিগুলোর প্রতি অবিচল থাকার মাধ্যমে আমরা যেকোনো বেআইনি উসকানিকে প্রতিরোধ করতে পারি।’
রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। এ কারণে এই কাউন্সিল পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন বলেন, রাশিয়া সত্যি সত্যি উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্রের বিনিময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করে থাকলে এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে সমর্থন পাবে।
ইয়ুন বলেন, ‘এটি উদ্বেগজনক যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী কোনো সদস্য—যার ওপর বিশ্ব শান্তির ভার ন্যস্ত রয়েছে—অন্য কোনো সার্বভৌম দেশের ওপর হামলা করবে এবং এমন কোনো দেশের কাছ থেকে অস্ত্র নেবে যে দেশ স্পষ্টতই জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সহযোগিতার বিনিময়ে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রযুক্তি পেয়ে থাকে তবে, এমন চুক্তি হবে সরাসরি উসকানি। এটি শুধু ইউক্রেনই নয় বরং গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন। রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা নেওয়ার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড মহামারির পর পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে কিমের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। প্রায় দুই ঘণ্টা এ দুই নেতার বৈঠক চলে। এটিকে ক্রেমলিন ‘অত্যন্ত বাস্তবিক’ আলোচনা বলে সম্বোধন করেছে।
তবে, বন্ধ দুয়ারের আড়ালে মূলত কী আলোচনা হয়েছে তা এখনো অজানা। দুই দেশের তরফ থেকে কোনো ধরনের সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি, কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কোনো চুক্তির ঘোষণাও আসেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বৈঠকে দুই নেতা কোনো ধরনের চুক্তি সই করেননি।
তবে চুক্তি সই না হলেও আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা হওয়া দেশ দুটির এই বৈঠক তাঁদের ক্রমে গভীর হওয়া সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গিত করছে। ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী হতে নতুন অস্ত্র সরবরাহের জন্য মরিয়া মস্কো। এদিকে আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য পূরণের জন্য উন্মুখ উত্তর কোরিয়া। ফলে এই পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা অন্যদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্য পণ্যের বাজারে মূল্যস্ফীতি চলছে বেশ কিছু দিন হলো। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই সহনীয় হয়ে এলেও দেশটির ডিমের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। আর এই বাজার নিয়ন্ত্রণে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়া গেছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এই সফরের আগে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ৬টি জ্যান্ত হাতি উপহার দেন। বৈঠকে এই উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পুতিন। তবে বিশ্লেষকেরা এই ‘হস্তী কূটনীতিকে’ ব্যয়বহুল প্রকল্পের কূটনীতির স্মারক হিসেবে...
২ ঘণ্টা আগেআরব বিশ্বের দেশগুলোর নেতারা ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের
২ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বিক্ষোভ’ করবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, সেসব স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে এ তথ্য। গতকাল মঙ্গলবার নিজের সামাজিক মাধ্যম...
৩ ঘণ্টা আগে