আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষায় ৫০ বছর আগে স্কুলবালিকার হত্যা রহস্য উন্মোচন

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ডন মোমোহারা। ছবি: সিএনএন

১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ। হাওয়াইয়ের হোনোলুলুর ম্যাকিনলে হাই স্কুলে সেদিন এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। স্কুলের ইংরেজি ভবনের দ্বিতীয় তলায় পাওয়া যায় ১৬ বছর বয়সী ডন মোমোহারার মৃতদেহ। তাঁর গলায় শক্ত করে জড়ানো ছিল কমলা রঙের একটি কাপড়। পুলিশের মতে, তাঁকে শারীরিক নির্যাতন এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।

ডনের মৃতদেহ পাওয়ার পর সেই ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। স্কুলের সেই সময়ের শিক্ষার্থী সুসি চুন ওকল্যান্ড বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা ছিল এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা। আমরা এমন কিছু এর আগে কখনো দেখিনি। এটি আমাদের কমিউনিটির জন্য খুবই দুঃখজনক ছিল।’

রোববার সিএনএন জানিয়েছে, সেই হত্যাকাণ্ডের ৪৮ বছর পর আধুনিক ডিএনএ প্রযুক্তির সাহায্যে ৬৬ বছর বয়সী গিডিয়ন ক্যাস্ট্রোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গিডিয়ন সেই স্কুল থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, অতীতে গিডিয়ন জানিয়েছিলেন, তিনি ডনকে চিনতেন।

২০২৩ সালে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, গিডিয়ন ক্যাস্ট্রো বা তাঁর ভাই ডনের সন্দেহভাজন হত্যাকারী হতে পারেন। এই পর্যায়ে এসে তদন্তকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমিতে আসেন। কারণ ক্যাস্ট্রো পরিবার তত দিনে হাওয়াই দ্বীপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছিলেন।

তদন্তকারীরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ক্যাস্ট্রোর সন্তানদের থেকে গোপনে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। পরীক্ষার মাধ্যমে পরে দেখা যায়, ডনের শর্টস থেকে পাওয়া ডিএনএ গিডিয়ন ক্যাস্ট্রোর ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে যায়।

পুলিশ জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ক্যাস্ট্রোর ডিএনএ সরাসরি সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনিই ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অবশেষে, গত ২৩ জানুয়ারি ক্যাস্ট্রোকে ইউটার একটি নার্সিং হোম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গিডিয়নের গ্রেপ্তারের খবরে সুসি চুন ওকল্যান্ড বলেন, ‘ডনের পরিবার হয়তো আজ কিছুটা স্বস্তি পাবে। কিন্তু এ ধরনের অনেক ঘটনা এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত