সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন। এই হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল ক্ষমতায় থাকাকালীন তদন্তে অভিযুক্তের তালিকা বদল হয়েছে মাত্র।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে এক ভিডিও বার্তায় ৬ জনকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া। এ সময় বাবার খুনীদের রক্ষা করার জন্য তিনি সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করেছেন। পাশাপাশি সালমান এফ রহমানকে হত্যাকাণ্ডে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে দাবি করেছেন কিবরিয়া তনয়।
ভিডিওতে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘১৯ বছরে ঠিকমত তদন্ত করা হয়নি। আমি আশা করছিলাম এতদিন পুলিশ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, পুনঃতদন্তের ব্যাপারে। কিন্তু তাঁরা করেনি। এটা খুব দুঃখজনক। আমি জানি এমন কেস অনেক পড়ে আছে। যেমন সাগর-রুনি, মুনিয়া, তারপর বিডিআর হত্যা, অনেক কেস আছে। শত শত কেস আছে বাংলাদেশে। কিন্তু আমার বাবারটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি দাবি করে বলেন, ‘এর মধ্যে এক নম্বর শেখ হাসিনা। উনি কতটুকু জানতেন, কতটুকু তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত, আমি জানি না। কিন্তু আমি জানি যে, হত্যাকাণ্ড যারা করেছে, তাঁদের রক্ষা করার জন্য উনি ১৫-১৬ বছর সব কাজ করে গেছেন। ঠিকমতই কাজ করে গেছেন, ওই খুনীদের পক্ষে।’
হত্যাকাণ্ডে সালমান এফ রহমান অর্থদাতা ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় হলেন সালমান এফ রহমান। আমি যতদূর জানি, এই হত্যাকাণ্ডের আর্থিক যতটুকু সাহায্য প্রয়োজন ছিল, এটা সালমান এফ রহমান দিয়েছেন।’
হত্যাকাণ্ডে বাকিদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে এমপি আবু জাহির (জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য) এবং বানিয়াচংয়ের এমপি (জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবদুল মজিদ খান) সেও জড়িত ছিলেন। সে মামলার বাদী। হবিগঞ্জের এক নেতা, তার নাম ডা. মুশফিক চৌধুরী (জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। সেও জড়িত। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।’
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জি কে গউছকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের এমপি আবু জাহিরের ব্যবসায়িক পার্টনার। তাঁরা একসময় মাদক ব্যবসা করত। রাজনীতিবিদদের মধ্যে এই কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।’
এ ছাড়া তিনি হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এমদাদুল হককেও উল্লিখিত রাজনীতিবিদদের সঙ্গে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি বলে মনে করেন রেজা কিবরিয়া। মামলার পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে ওই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকায় ছিল না। যদিও সে জানতো হয়তো, কিন্তু সে প্ল্যানিংয়ে বা এক্সিকিউশনে, আমি যতদূর জানি, তার কোনো ভূমিকা ছিল না। বিএনপি কিছু লোকজনকে ঢুকিয়েছে, যারা কিছুই জানত না। তাদেরকে জাস্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে কেইসে।’
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সিস্টেম হলো কোনো ক্রাইম হলে, কোন অপরাধ হলে বিএনপির কাছাকাছি কোনো শত্রুকে তাঁরা ঢুকিয়ে দেয়। এটা তাদের সিস্টেম। আমরা সত্যটা চাই। যেই দলেরই হোক না কেন, কারা জড়িত ছিল, ওই ছয়জনকে রিমাণ্ডে নিয়ে সিরিয়াস জিজ্ঞাসাবাদ করলে, আসল তথ্যটা আমরা পাব। আমরা ২০ বছর পরে আসল বিচারের যে একটা রেজাল্ট, তা আমরা দেখতে পাব বাংলাদেশে।’
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ২০০১ সালে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হন ৫০ জন।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দফায় দফায় বেড়াজালে আটকে থাকে তদন্ত। যে কারণে বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রীতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে এই মামলা সিলেট বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন। এই হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল ক্ষমতায় থাকাকালীন তদন্তে অভিযুক্তের তালিকা বদল হয়েছে মাত্র।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে এক ভিডিও বার্তায় ৬ জনকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া। এ সময় বাবার খুনীদের রক্ষা করার জন্য তিনি সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করেছেন। পাশাপাশি সালমান এফ রহমানকে হত্যাকাণ্ডে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে দাবি করেছেন কিবরিয়া তনয়।
ভিডিওতে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘১৯ বছরে ঠিকমত তদন্ত করা হয়নি। আমি আশা করছিলাম এতদিন পুলিশ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, পুনঃতদন্তের ব্যাপারে। কিন্তু তাঁরা করেনি। এটা খুব দুঃখজনক। আমি জানি এমন কেস অনেক পড়ে আছে। যেমন সাগর-রুনি, মুনিয়া, তারপর বিডিআর হত্যা, অনেক কেস আছে। শত শত কেস আছে বাংলাদেশে। কিন্তু আমার বাবারটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি দাবি করে বলেন, ‘এর মধ্যে এক নম্বর শেখ হাসিনা। উনি কতটুকু জানতেন, কতটুকু তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত, আমি জানি না। কিন্তু আমি জানি যে, হত্যাকাণ্ড যারা করেছে, তাঁদের রক্ষা করার জন্য উনি ১৫-১৬ বছর সব কাজ করে গেছেন। ঠিকমতই কাজ করে গেছেন, ওই খুনীদের পক্ষে।’
হত্যাকাণ্ডে সালমান এফ রহমান অর্থদাতা ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় হলেন সালমান এফ রহমান। আমি যতদূর জানি, এই হত্যাকাণ্ডের আর্থিক যতটুকু সাহায্য প্রয়োজন ছিল, এটা সালমান এফ রহমান দিয়েছেন।’
হত্যাকাণ্ডে বাকিদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে এমপি আবু জাহির (জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য) এবং বানিয়াচংয়ের এমপি (জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবদুল মজিদ খান) সেও জড়িত ছিলেন। সে মামলার বাদী। হবিগঞ্জের এক নেতা, তার নাম ডা. মুশফিক চৌধুরী (জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। সেও জড়িত। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।’
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জি কে গউছকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের এমপি আবু জাহিরের ব্যবসায়িক পার্টনার। তাঁরা একসময় মাদক ব্যবসা করত। রাজনীতিবিদদের মধ্যে এই কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।’
এ ছাড়া তিনি হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এমদাদুল হককেও উল্লিখিত রাজনীতিবিদদের সঙ্গে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি বলে মনে করেন রেজা কিবরিয়া। মামলার পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে ওই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকায় ছিল না। যদিও সে জানতো হয়তো, কিন্তু সে প্ল্যানিংয়ে বা এক্সিকিউশনে, আমি যতদূর জানি, তার কোনো ভূমিকা ছিল না। বিএনপি কিছু লোকজনকে ঢুকিয়েছে, যারা কিছুই জানত না। তাদেরকে জাস্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে কেইসে।’
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সিস্টেম হলো কোনো ক্রাইম হলে, কোন অপরাধ হলে বিএনপির কাছাকাছি কোনো শত্রুকে তাঁরা ঢুকিয়ে দেয়। এটা তাদের সিস্টেম। আমরা সত্যটা চাই। যেই দলেরই হোক না কেন, কারা জড়িত ছিল, ওই ছয়জনকে রিমাণ্ডে নিয়ে সিরিয়াস জিজ্ঞাসাবাদ করলে, আসল তথ্যটা আমরা পাব। আমরা ২০ বছর পরে আসল বিচারের যে একটা রেজাল্ট, তা আমরা দেখতে পাব বাংলাদেশে।’
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ২০০১ সালে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হন ৫০ জন।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দফায় দফায় বেড়াজালে আটকে থাকে তদন্ত। যে কারণে বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রীতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে এই মামলা সিলেট বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতি কখনোই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রশিবির তাদের একটি লেখার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করেছে। এটি কেন! আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। সেটাকে ছোট করে, কটাক্ষ করে রাজনীতি কখনোই সফল হবে না।’
১৬ ঘণ্টা আগেসলামী ছাত্রশিবিরের দলীয় প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’ নামের মাসিক পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঘৃণ্য ও অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী বয়ান প্রচার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার দায়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্ন
১৬ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর ও জয়পুরহাটে নারী ফুটবল ম্যাচে সাম্প্রদায়িক মবের হামলায় নিন্দা জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটি বলছে, সাম্প্রদায়িক মব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
১৭ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তারিখ ধার্য করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে