মাহমুদ হাসান ফাহিম
পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুটি ফলের শপথ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমিতে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন এবং একাধিক নবী-রাসুল এই ভূমিতে আশ্রয়ও নিয়েছেন। এখানে ফিলিস্তিনে যেসব নবীর সমাধি রয়েছে, তাঁদের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
হজরত ইবরাহিম (আ.)
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হেবরন শহর। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। এটি পশ্চিম তীরের সর্ববৃহৎ শহর এবং গাজার পর ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে শায়িত আছেন হজরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২১২; কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫২; ইবনে কাসির, পৃ. ২৩৮-২৩৯)
হজরত ইসহাক (আ.)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বড় ছেলে ইসহাক। কেনানেই তিনি বসবাস করতেন। কেনানের বাইরে তিনি কোথাও যাননি। ১৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ওল্ড সিটির প্যাট্রিয়ার্কস গুহায় পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইয়াকুব (আ.)
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে হেবরনে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ সমাহিত হয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইউসুফ (আ.)
হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে যান, যখন তারা মিসর ত্যাগ করবে, তখন তাদের সঙ্গে তাঁকেও যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মিসরে একটি কফিনে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাঁর অসিয়ত মোতাবেক ফিলিস্তিনের পুণ্যভূমিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ফিলিস্তিনের হেবরনে তাঁর সমাধি রয়েছে। (কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫৩) ইসলামি বিশ্বকোষের বর্ণনামতে, তাঁর সমাধি ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২২/ ১২০-১২১)
হজরত মুসা (আ.)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হজরত মুসা (আ.)-এর সমাধি অবস্থিত। বুখারি শরিফের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর আগে হজরত মুসা (আ.) একটি পাথর নিক্ষেপ করে যত দূর যায়, বায়তুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আরজ করেন। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর সমাধি তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ এই হাদিসে ‘কাসিবুল আহমার’ নামক স্থানের কথা বলা হয়েছে, আর এর ব্যাখ্যায়ও ফিলিস্তিন ভূমির উল্লেখ করা হয়। (বুখারি: ১৩৩৯; মুসলিম: ২৩৭৫) ভিন্ন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত মুসা (আ.) সিনাই পর্বতের কাছে ইন্তেকাল করেন। মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিনাই পর্বতও প্রাচীন ফিলিস্তিনেরই অন্তর্ভুক্ত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২১/ ২৪৪)
হজরত দাউদ (আ.)
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি রয়েছে বলে জানা যায়। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের মতো মুসলমানরাও বেথলহেমে দাউদ (আ.)-এর সমাধি আছে বলে ধারণা করতেন। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জেরুজালেমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাহাড়ে যে সমাধি পাওয়া গেছে, তা হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি বলে অভিহিত করা হয়। (ইসলামি বিশ্বকোষ, ১৩/ ৫৯)
হজরত সোলায়মান (আ.)
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর সমাধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যতটুকু ধারণা করা হয়, তাঁর সমাধিও হারাম শরিফ তথা আকসা মসজিদের আশপাশেই রয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে এই পুণ্যভূমির কোনো এক স্থানেই শায়িত আছেন হজরত সোলায়মান (আ.)। (উইকিপিডিয়া)
হজরত ইয়াহইয়া (আ.)
নাবলুসের পার্শ্ববর্তী শহর সেবাসতিয়ার ফিলিস্তিনি একটি গ্রামে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মসজিদ ও সমাধি অবস্থিত। (উইকিপিডিয়া)
পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুটি ফলের শপথ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমিতে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন এবং একাধিক নবী-রাসুল এই ভূমিতে আশ্রয়ও নিয়েছেন। এখানে ফিলিস্তিনে যেসব নবীর সমাধি রয়েছে, তাঁদের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
হজরত ইবরাহিম (আ.)
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হেবরন শহর। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। এটি পশ্চিম তীরের সর্ববৃহৎ শহর এবং গাজার পর ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে শায়িত আছেন হজরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২১২; কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫২; ইবনে কাসির, পৃ. ২৩৮-২৩৯)
হজরত ইসহাক (আ.)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বড় ছেলে ইসহাক। কেনানেই তিনি বসবাস করতেন। কেনানের বাইরে তিনি কোথাও যাননি। ১৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ওল্ড সিটির প্যাট্রিয়ার্কস গুহায় পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইয়াকুব (আ.)
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে হেবরনে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ সমাহিত হয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইউসুফ (আ.)
হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে যান, যখন তারা মিসর ত্যাগ করবে, তখন তাদের সঙ্গে তাঁকেও যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মিসরে একটি কফিনে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাঁর অসিয়ত মোতাবেক ফিলিস্তিনের পুণ্যভূমিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ফিলিস্তিনের হেবরনে তাঁর সমাধি রয়েছে। (কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫৩) ইসলামি বিশ্বকোষের বর্ণনামতে, তাঁর সমাধি ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২২/ ১২০-১২১)
হজরত মুসা (আ.)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হজরত মুসা (আ.)-এর সমাধি অবস্থিত। বুখারি শরিফের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর আগে হজরত মুসা (আ.) একটি পাথর নিক্ষেপ করে যত দূর যায়, বায়তুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আরজ করেন। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর সমাধি তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ এই হাদিসে ‘কাসিবুল আহমার’ নামক স্থানের কথা বলা হয়েছে, আর এর ব্যাখ্যায়ও ফিলিস্তিন ভূমির উল্লেখ করা হয়। (বুখারি: ১৩৩৯; মুসলিম: ২৩৭৫) ভিন্ন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত মুসা (আ.) সিনাই পর্বতের কাছে ইন্তেকাল করেন। মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিনাই পর্বতও প্রাচীন ফিলিস্তিনেরই অন্তর্ভুক্ত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২১/ ২৪৪)
হজরত দাউদ (আ.)
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি রয়েছে বলে জানা যায়। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের মতো মুসলমানরাও বেথলহেমে দাউদ (আ.)-এর সমাধি আছে বলে ধারণা করতেন। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জেরুজালেমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাহাড়ে যে সমাধি পাওয়া গেছে, তা হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি বলে অভিহিত করা হয়। (ইসলামি বিশ্বকোষ, ১৩/ ৫৯)
হজরত সোলায়মান (আ.)
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর সমাধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যতটুকু ধারণা করা হয়, তাঁর সমাধিও হারাম শরিফ তথা আকসা মসজিদের আশপাশেই রয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে এই পুণ্যভূমির কোনো এক স্থানেই শায়িত আছেন হজরত সোলায়মান (আ.)। (উইকিপিডিয়া)
হজরত ইয়াহইয়া (আ.)
নাবলুসের পার্শ্ববর্তী শহর সেবাসতিয়ার ফিলিস্তিনি একটি গ্রামে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মসজিদ ও সমাধি অবস্থিত। (উইকিপিডিয়া)
পূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
১ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
২ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
৩ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৪ দিন আগে