আমজাদ ইউনুস
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র ব্যক্তিত্বে যেসব গুণ ছিল, এর মধ্যে দয়া ও মহানুভবতা সবচেয়ে বেশি ফলদায়ক ছিল। এ গুণ দিয়ে তিনি অসংখ্য মানুষের মন জয় করেছেন। অনেকের আত্মার নিকটতম ও প্রিয়তম হয়েছেন। মানুষকে কাছে টেনেছেন এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন।
ছোট থেকে শুরু করে উম্মতের প্রতিটি সদস্যের জন্য তাঁর মনে অফুরন্ত মায়া, মমতা, প্রেম, করুণা ও দয়ার ফল্গুধারা প্রবাহিত হতো। সব সময় তিনি উম্মতের গুনাহ মাফে ক্ষমাপ্রার্থনা করতেন। নিজে দয়া করতেন এবং তাঁর সহচরদেরও দয়া প্রদর্শনে উৎসাহিত করতেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নতায় কষ্ট পান, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা: ১২৮)
রাসুলের দয়া ও মহানুভবতা গরিব, অসহায়, সেবক, বিধবা নারী—সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য ছিল। শিশুদের স্নেহ করবেন।
সহচরদের সঙ্গে কোমল আচরণ করতেন। তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতেন। কোনোদিন কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি। কাঁটার আঘাতে কেউ জর্জরিত করলে তাকেও কোমলতা ও নম্রতার সৌরভ বিলাতেন।
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো কোনো সেবককে এবং কোনো নারীকে মারধর করেননি। (আবু দাউদ: ৪৭৮৬) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি ১০ বছর নবী (সা.)-এর সেবা করেছি। কিন্তু তিনি কখনো আমার প্রতি উহ শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। এ কথা জিজ্ঞেস করেননি—তুমি এ কাজ কেন করলে এবং কেন করলে না?’ (বুখারি: ৬০৩৮)
নবী (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের ওপর দমাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে আসমানওয়ালা তোমাদের দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৯৪১)
আমজাদ ইউনুস, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র ব্যক্তিত্বে যেসব গুণ ছিল, এর মধ্যে দয়া ও মহানুভবতা সবচেয়ে বেশি ফলদায়ক ছিল। এ গুণ দিয়ে তিনি অসংখ্য মানুষের মন জয় করেছেন। অনেকের আত্মার নিকটতম ও প্রিয়তম হয়েছেন। মানুষকে কাছে টেনেছেন এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন।
ছোট থেকে শুরু করে উম্মতের প্রতিটি সদস্যের জন্য তাঁর মনে অফুরন্ত মায়া, মমতা, প্রেম, করুণা ও দয়ার ফল্গুধারা প্রবাহিত হতো। সব সময় তিনি উম্মতের গুনাহ মাফে ক্ষমাপ্রার্থনা করতেন। নিজে দয়া করতেন এবং তাঁর সহচরদেরও দয়া প্রদর্শনে উৎসাহিত করতেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নতায় কষ্ট পান, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা: ১২৮)
রাসুলের দয়া ও মহানুভবতা গরিব, অসহায়, সেবক, বিধবা নারী—সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য ছিল। শিশুদের স্নেহ করবেন।
সহচরদের সঙ্গে কোমল আচরণ করতেন। তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতেন। কোনোদিন কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি। কাঁটার আঘাতে কেউ জর্জরিত করলে তাকেও কোমলতা ও নম্রতার সৌরভ বিলাতেন।
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো কোনো সেবককে এবং কোনো নারীকে মারধর করেননি। (আবু দাউদ: ৪৭৮৬) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি ১০ বছর নবী (সা.)-এর সেবা করেছি। কিন্তু তিনি কখনো আমার প্রতি উহ শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। এ কথা জিজ্ঞেস করেননি—তুমি এ কাজ কেন করলে এবং কেন করলে না?’ (বুখারি: ৬০৩৮)
নবী (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের ওপর দমাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে আসমানওয়ালা তোমাদের দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৯৪১)
আমজাদ ইউনুস, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
১১ ঘণ্টা আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
১ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
২ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
৩ দিন আগে