আগে সালাম দেওয়ার ফজিলত

আবরার নাঈম
Thumbnail image

আরবি সালাম শব্দের অর্থ শান্তি, দোয়া, কল্যাণ ইত্যাদি। সালাম ইসলামি অভিবাদনসূচক শব্দ। পাশাপাশি এটি একটি দোয়াও। চেনা-অচেনা যে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো সুন্নত। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও শ্রদ্ধা তৈরি হয়।

ভালোবাসার মজবুত বন্ধন গড়ে ওঠে। হৃদয়ে লালিত হিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) সব সময় আগে সালাম দিতেন এবং সাহাবিদেরও আগে সালাম দিতে উদ্বুদ্ধ করতেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তোমাদের সালাম করা হয়, তখন তার চেয়ে উত্তম পন্থায় সালাম (জবাব) দাও অথবা উত্তরে তা-ই বলো।

নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের হিসাব গ্রহণকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬) এখানে আল্লাহ তাআলা সালামের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। কেউ ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললে উত্তরে একটু বাড়িয়ে ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ বলা বা সালামে যতটুকু উল্লেখ করা হয়েছে (ওয়ালাইকুমুস সালাম), ঠিক ততটুকুই উল্লেখ করা উচিত।

আগে সালাম দেওয়ার সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে সালামদাতার মন থেকে অহংকার দূর হয় এবং সে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়। হজরত উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হলো ওই ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়।’ (মিশকাত) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের যে আগে সালাম দেবে, সে অহংকারমুক্ত।’ (মিশকাত) 

লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া মাখজানুল উলুম, ময়মনসিংহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত