আবদুল আযীয কাসেমি
মহানবী (সা.)-এর জীবনেতিহাসে ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব ছিল গভীর। ৬৩০ বা ৬৩১ সালে মহানবী (সা.) ১ হাজার ৪০০ সাহাবির একটি কাফেলা নিয়ে ওমরাহর উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হন। কুরাইশরা সংবাদ পেয়ে তা প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। অথচ মহানবী (সা.) যুদ্ধের জন্য বের হননি। যাওয়ার সময় তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন কেবল কোরবানির পশু। তরবারি ছাড়া কোনো হাতিয়ারও সঙ্গে নেননি। যেন কুরাইশরা বুঝতে পারে, যুদ্ধের কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।
মক্কার অদূরে ‘হুদায়বিয়া’ নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন নবীজি। কুরাইশদের বিষয়টি বোঝানোর জন্য ওসমান বিন আফফানকে পাঠান। কুরাইশরা তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা মুসলমানদের মক্কায় প্রবেশ করতে দেবে না। এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, কুরাইশরা ওসমান (রা.)কে হত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে নবীজি (সা.) সাহাবিদের থেকে আমৃত্যু যুদ্ধের বাইয়াত গ্রহণ করেন। এটাই ছিল ঐতিহাসিক বাইয়াতুর রিদওয়ান।
নবীজির তীব্র প্রতিক্রিয়ার খবর পেয়ে বরফ গলতে শুরু করে কুরাইশ শিবিরে। তারাও আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠায়। দীর্ঘ আলাপের পর তাদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির প্রধান ধারাগুলো ছিল এ রকম—
» এ বছর মুসলমানরা ওমরাহ পালন না করেই ফিরে যাবে। আগামী বছর মাত্র তিন দিনের জন্য আসবে। আসার সময় তরবারি ছাড়া কোনো হাতিয়ার সঙ্গে আনতে পারবে না।
» ১০ বছরের যুদ্ধবিরতি হবে। এ সময় কোনো কুরাইশ যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং মক্কা থেকে মদিনায় চলে যায়, তবে মদিনাবাসী তাকে মক্কায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য থাকবে। অন্যদিকে কেউ মদিনা থেকে মক্কায় চলে এলে তাকে কুরাইশরা ফেরত দেবে না।
» মক্কার আশপাশের গোত্রগুলো বিবদমান দুই পক্ষের যে কারও পক্ষ অবলম্বন করতে পারবে। এই চুক্তির ধারাগুলো বাহ্যত মুসলমানদের জন্য অপমানজনক মনে হলেও এর ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। তাই এই চুক্তিকে মহান আল্লাহ তাআলা ‘ফাতহে মুবিন’ বা ‘সুস্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। এর ফলে মুসলমানরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পায়। এই সময়কালেই মহানবী (সা.) পৃথিবীর বিভিন্ন শাসকের কাছে চিঠি লিখে ইসলামের দাওয়াত দেন, যা তিনি এত দিন পর্যন্ত করার সুযোগ পাননি।
এই চুক্তির ফলে মদিনা ও আশপাশের গোত্রগুলো ইসলামকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পায়। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে অসংখ্য মানুষ। মক্কা থেকেও বড় বড় কুরাইশ নেতা ইসলামের ছায়াতলে চলে আসেন, যাঁরা পরবর্তী সময়ে ইসলামকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিতে উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মহানবী (সা.)-এর জীবনেতিহাসে ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব ছিল গভীর। ৬৩০ বা ৬৩১ সালে মহানবী (সা.) ১ হাজার ৪০০ সাহাবির একটি কাফেলা নিয়ে ওমরাহর উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হন। কুরাইশরা সংবাদ পেয়ে তা প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। অথচ মহানবী (সা.) যুদ্ধের জন্য বের হননি। যাওয়ার সময় তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন কেবল কোরবানির পশু। তরবারি ছাড়া কোনো হাতিয়ারও সঙ্গে নেননি। যেন কুরাইশরা বুঝতে পারে, যুদ্ধের কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।
মক্কার অদূরে ‘হুদায়বিয়া’ নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন নবীজি। কুরাইশদের বিষয়টি বোঝানোর জন্য ওসমান বিন আফফানকে পাঠান। কুরাইশরা তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা মুসলমানদের মক্কায় প্রবেশ করতে দেবে না। এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, কুরাইশরা ওসমান (রা.)কে হত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে নবীজি (সা.) সাহাবিদের থেকে আমৃত্যু যুদ্ধের বাইয়াত গ্রহণ করেন। এটাই ছিল ঐতিহাসিক বাইয়াতুর রিদওয়ান।
নবীজির তীব্র প্রতিক্রিয়ার খবর পেয়ে বরফ গলতে শুরু করে কুরাইশ শিবিরে। তারাও আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠায়। দীর্ঘ আলাপের পর তাদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির প্রধান ধারাগুলো ছিল এ রকম—
» এ বছর মুসলমানরা ওমরাহ পালন না করেই ফিরে যাবে। আগামী বছর মাত্র তিন দিনের জন্য আসবে। আসার সময় তরবারি ছাড়া কোনো হাতিয়ার সঙ্গে আনতে পারবে না।
» ১০ বছরের যুদ্ধবিরতি হবে। এ সময় কোনো কুরাইশ যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং মক্কা থেকে মদিনায় চলে যায়, তবে মদিনাবাসী তাকে মক্কায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য থাকবে। অন্যদিকে কেউ মদিনা থেকে মক্কায় চলে এলে তাকে কুরাইশরা ফেরত দেবে না।
» মক্কার আশপাশের গোত্রগুলো বিবদমান দুই পক্ষের যে কারও পক্ষ অবলম্বন করতে পারবে। এই চুক্তির ধারাগুলো বাহ্যত মুসলমানদের জন্য অপমানজনক মনে হলেও এর ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। তাই এই চুক্তিকে মহান আল্লাহ তাআলা ‘ফাতহে মুবিন’ বা ‘সুস্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। এর ফলে মুসলমানরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পায়। এই সময়কালেই মহানবী (সা.) পৃথিবীর বিভিন্ন শাসকের কাছে চিঠি লিখে ইসলামের দাওয়াত দেন, যা তিনি এত দিন পর্যন্ত করার সুযোগ পাননি।
এই চুক্তির ফলে মদিনা ও আশপাশের গোত্রগুলো ইসলামকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পায়। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে অসংখ্য মানুষ। মক্কা থেকেও বড় বড় কুরাইশ নেতা ইসলামের ছায়াতলে চলে আসেন, যাঁরা পরবর্তী সময়ে ইসলামকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিতে উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৭ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৭ ঘণ্টা আগে