আমিনুল ইসলাম হুসাইনী
যেভাবে আকর্ষণীয় শিল্পকর্ম দর্শককে অভিভূত করে; শিল্পের পাশাপাশি শিল্পীও প্রশংসা কুড়ান, তেমনি একজন মা শিল্পীর চেয়ে কোনো অংশেই কম নন। তাঁকেও দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয় আদরের সন্তানকে। সন্তানের পরিচর্যার পাশাপাশি চালচলন, আচার-ব্যবহারসহ অন্যান্য শিষ্টাচার শেখানোর গুরুদায়িত্বও মাকেই নিতে হয়। সতর্ক থাকতে হয় সন্তানের সুরক্ষার ব্যাপারে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানের প্রতিপালনে মায়ের দায়িত্ব এখানে আলোচনা করা হলো।
মা-ই সন্তানের প্রথম শিক্ষক। সে পৃথিবীতে কেমন মানুষ হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করছে মায়ের ওপর। তাই প্রথমে মাকে সচেতন হতে হবে এবং ঘরকে সন্তানের প্রতিপালনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ঘরের পরিবেশ সন্তানের ব্যক্তিত্ব ও অভ্যাস গঠনে গভীর প্রভাব ফেলে। ঘর যদি হয় ইসলামের আলোয় আলোকিত এবং ইবাদতের ঘ্রাণে সুবাসিত, তাহলে আপনার শিশুর মননেও তার বিকিরণ ঘটবে। আলোকিত হবে ভেতর-বাহির। ঘরের পরিবেশে সত্যবাদিতা, সহনশীলতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, মায়া-মমতার চর্চা জারি রাখতে হবে। তাহলে সন্তানও এসব গুণে সমৃদ্ধ হবে।
শিশুরা জান্নাতের ফুল, অতি কোমলতার অধিকারী। তাই তাদের ক্ষতি করতে দুষ্টু জিনেরা ওত পেতে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময়। এ সময় সন্তানের ঘরের বাইরে রাখবেন না। অবশ্যই সন্ধ্যা নামার আগে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করা উচিত। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদের ঘরে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিক্রান্ত হবে, তখন তাদের ছাড়তে পারো। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং এ সময় বিসমিল্লাহ বলবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।’ (বুখারি: ৩৩০৪)
বাইরে থেকে আসা অতিথিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তাদের মাধ্যমে সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। বদনজর বলে একটা কথা আছে। বদনজর থেকে শিশুসন্তানদের বাঁচাতে সতর্ক থাকতে হবে। নবীজি বলেছেন, ‘তোমরা বদনজরের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার সাহায্য প্রার্থনা করো, কারণ তা সত্য।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
শিশুকে বদনজর বা অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য নবী (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। আমরাও দোয়াগুলো পড়ব। দোয়া—‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্য দিয়ে প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী ও সব ধরনের কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি।’ (বুখারি: ৩৩৭১) সকাল-সন্ধ্যায় সাতবার করে নিয়মিত এই দোয়াটি পড়া যায়।
বদনজর কেবল বাইরের মানুষের মাধ্যমেই হয় না। কখনো কখনো মা-বাবার মাধ্যমেও হতে পারে। এ জন্য শিশুর মধ্যে ভালো কিছু দেখলে মাশা আল্লাহ, বারাকাল্লাহ বলা উচিত। তাহলে নজরের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু নিরাপদ থাকবে। আর যদি সন্তান কখনো বদনজরের শিকার হয়ে যায়, তখন এই দোয়া পড়বেন। দোয়া—বিসমিল্লাহি আরকিকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ুযিকা, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন ওয়া হাসিদিন আল্লাহু ইয়াশফিকা, বিসমিল্লাহি আরকিকা।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে তোমাকে ফুঁ দিচ্ছি; যেসব জিনিস তোমাকে কষ্ট দেয়, সেসব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদনজর থেকে আল্লাহ তাআলা তোমাকে শিফা দিন। আল্লাহর নামে তোমাকে ফুঁক দিচ্ছি।’ (মুসলিম: ৫৫১২)
লেখক: ইমাম ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যেভাবে আকর্ষণীয় শিল্পকর্ম দর্শককে অভিভূত করে; শিল্পের পাশাপাশি শিল্পীও প্রশংসা কুড়ান, তেমনি একজন মা শিল্পীর চেয়ে কোনো অংশেই কম নন। তাঁকেও দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয় আদরের সন্তানকে। সন্তানের পরিচর্যার পাশাপাশি চালচলন, আচার-ব্যবহারসহ অন্যান্য শিষ্টাচার শেখানোর গুরুদায়িত্বও মাকেই নিতে হয়। সতর্ক থাকতে হয় সন্তানের সুরক্ষার ব্যাপারে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানের প্রতিপালনে মায়ের দায়িত্ব এখানে আলোচনা করা হলো।
মা-ই সন্তানের প্রথম শিক্ষক। সে পৃথিবীতে কেমন মানুষ হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করছে মায়ের ওপর। তাই প্রথমে মাকে সচেতন হতে হবে এবং ঘরকে সন্তানের প্রতিপালনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ঘরের পরিবেশ সন্তানের ব্যক্তিত্ব ও অভ্যাস গঠনে গভীর প্রভাব ফেলে। ঘর যদি হয় ইসলামের আলোয় আলোকিত এবং ইবাদতের ঘ্রাণে সুবাসিত, তাহলে আপনার শিশুর মননেও তার বিকিরণ ঘটবে। আলোকিত হবে ভেতর-বাহির। ঘরের পরিবেশে সত্যবাদিতা, সহনশীলতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, মায়া-মমতার চর্চা জারি রাখতে হবে। তাহলে সন্তানও এসব গুণে সমৃদ্ধ হবে।
শিশুরা জান্নাতের ফুল, অতি কোমলতার অধিকারী। তাই তাদের ক্ষতি করতে দুষ্টু জিনেরা ওত পেতে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময়। এ সময় সন্তানের ঘরের বাইরে রাখবেন না। অবশ্যই সন্ধ্যা নামার আগে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করা উচিত। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদের ঘরে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিক্রান্ত হবে, তখন তাদের ছাড়তে পারো। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং এ সময় বিসমিল্লাহ বলবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।’ (বুখারি: ৩৩০৪)
বাইরে থেকে আসা অতিথিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তাদের মাধ্যমে সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। বদনজর বলে একটা কথা আছে। বদনজর থেকে শিশুসন্তানদের বাঁচাতে সতর্ক থাকতে হবে। নবীজি বলেছেন, ‘তোমরা বদনজরের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার সাহায্য প্রার্থনা করো, কারণ তা সত্য।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
শিশুকে বদনজর বা অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য নবী (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। আমরাও দোয়াগুলো পড়ব। দোয়া—‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্য দিয়ে প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী ও সব ধরনের কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি।’ (বুখারি: ৩৩৭১) সকাল-সন্ধ্যায় সাতবার করে নিয়মিত এই দোয়াটি পড়া যায়।
বদনজর কেবল বাইরের মানুষের মাধ্যমেই হয় না। কখনো কখনো মা-বাবার মাধ্যমেও হতে পারে। এ জন্য শিশুর মধ্যে ভালো কিছু দেখলে মাশা আল্লাহ, বারাকাল্লাহ বলা উচিত। তাহলে নজরের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু নিরাপদ থাকবে। আর যদি সন্তান কখনো বদনজরের শিকার হয়ে যায়, তখন এই দোয়া পড়বেন। দোয়া—বিসমিল্লাহি আরকিকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ুযিকা, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন ওয়া হাসিদিন আল্লাহু ইয়াশফিকা, বিসমিল্লাহি আরকিকা।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে তোমাকে ফুঁ দিচ্ছি; যেসব জিনিস তোমাকে কষ্ট দেয়, সেসব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদনজর থেকে আল্লাহ তাআলা তোমাকে শিফা দিন। আল্লাহর নামে তোমাকে ফুঁক দিচ্ছি।’ (মুসলিম: ৫৫১২)
লেখক: ইমাম ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
১৮ ঘণ্টা আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
২ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৩ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
৪ দিন আগে