ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান
শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপাদান হলো পরামর্শভিত্তিক কাজ করা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র—সব পর্যায়ে পরামর্শভিত্তিক কাজ করার গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়, তেমনি আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। মহানবী (সা.) সব কাজে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন এবং তাঁদের পরামর্শভিত্তিক কাজ করার নির্দেশ দিতেন।
একদিন হজরত আলী (রা.) মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমরা এমন কোনো সমস্যায় পতিত হলাম যার সমাধান কোরআন ও হাদিসে নেই, তখন আমরা কী করব?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা সবাই মিলে পরামর্শ করে কাজ করবে।’ পরামর্শ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরার্মশ করো। এরপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর ওপর ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে-ইমরান: ১৫৯) এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার থাকলেও মহানবী (সা.) পরামর্শভিত্তিক তা করতেন। ফলে তাঁর প্রতিটি কাজকর্ম সাহাবিদের কাছে পছন্দনীয় ছিল।
পরামর্শ করার ইসলামি রীতি হলো, দায়িত্বশীলসহ সব সদস্য অজু করে বসবেন। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ আরম্ভ হবে। এরপর সবাই দরুদসহ মাসনুন দোয়া পড়বেন এবং দায়িত্বশীল ডানদিক থেকে মতামত যাচাই করে পরামর্শ তলব করবেন। আশা করা যায়, সবার মতামতের ভিত্তিতে সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে। ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ একটি মাথার চেয়ে বেশি মাথার চিন্তা নিঃসন্দেহে কার্যকর এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক। ফলে জটিল সমস্যাও সমাধান হয় অনায়াসে। তাই বাস্তবজীবনে পরামর্শভিত্তিক কাজ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপাদান হলো পরামর্শভিত্তিক কাজ করা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র—সব পর্যায়ে পরামর্শভিত্তিক কাজ করার গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়, তেমনি আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। মহানবী (সা.) সব কাজে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন এবং তাঁদের পরামর্শভিত্তিক কাজ করার নির্দেশ দিতেন।
একদিন হজরত আলী (রা.) মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমরা এমন কোনো সমস্যায় পতিত হলাম যার সমাধান কোরআন ও হাদিসে নেই, তখন আমরা কী করব?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা সবাই মিলে পরামর্শ করে কাজ করবে।’ পরামর্শ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরার্মশ করো। এরপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর ওপর ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে-ইমরান: ১৫৯) এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার থাকলেও মহানবী (সা.) পরামর্শভিত্তিক তা করতেন। ফলে তাঁর প্রতিটি কাজকর্ম সাহাবিদের কাছে পছন্দনীয় ছিল।
পরামর্শ করার ইসলামি রীতি হলো, দায়িত্বশীলসহ সব সদস্য অজু করে বসবেন। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ আরম্ভ হবে। এরপর সবাই দরুদসহ মাসনুন দোয়া পড়বেন এবং দায়িত্বশীল ডানদিক থেকে মতামত যাচাই করে পরামর্শ তলব করবেন। আশা করা যায়, সবার মতামতের ভিত্তিতে সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে। ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ একটি মাথার চেয়ে বেশি মাথার চিন্তা নিঃসন্দেহে কার্যকর এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক। ফলে জটিল সমস্যাও সমাধান হয় অনায়াসে। তাই বাস্তবজীবনে পরামর্শভিত্তিক কাজ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
১১ ঘণ্টা আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
১ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
২ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
৩ দিন আগে