Ajker Patrika

খুনখারাবি বেড়ে যাওয়া কেয়ামতের আলামত

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সমাজে খুনখারাবি বেড়ে যাওয়া কেয়ামতের আলামত। মহানবী (সা.) খুনখারাবি থেকে দূরে থাকতে উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিস এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেয়ামত সন্নিকট হবে, আমল কমে যাবে, অন্তরে কৃপণতা ঢেলে দেওয়া হবে এবং হারজ বেড়ে যাবে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হারজ কী?’ তিনি বলেন, ‘হত্যা, হত্যা।’ (বুখারি: ৬০৩৭)

অন্য হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন, দুনিয়া ধ্বংস হবে না যে পর্যন্ত না মানুষের কাছে এমন এক যুগ আসে, যখন হত্যাকারী জানবে না যে, কোন দোষে সে অন্যকে হত্যা করেছে এবং নিহত লোকও জানবে না যে, কোন দোষে তাকে হত্যা করা হচ্ছে।’ জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কীভাবে এমন অত্যাচার হবে?’ তিনি জবাবে বলেন, ‘সে যুগটা হবে হত্যার যুগ। এরূপ যুগের হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়েই জাহান্নামি হবে।’ (মুসলিম: ৭১৯৬)

আরেক হাদিসে এসেছে, আবু মুসা আল-আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বলেন, ‘কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে হারজ হবে।’ বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ‘হারজ কী?’ তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ব্যাপকতা।’ ওই হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, তা মুশরিকদের হত্যা করা নয়; বরং তোমরা পরস্পরকে হত্যা করবে, এমনকি কোনো ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে, চাচাতো ভাইকে এবং নিকট আত্মীয়স্বজনকে পর্যন্ত হত্যা করবে।’ কতক লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), তখন কি আমাদের বিবেক-বুদ্ধি লোপ পাবে?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অধিকাংশ লোকের জ্ঞান লোপ পাবে এবং অবশিষ্ট থাকবে নির্বোধ ও মূর্খ।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৯৫৯)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত