বনি ইসরাইলের অলৌকিক ১২ ঝরনার স্থান চিহ্নিত

ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮: ০৩

আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুলদের অসংখ্য মোজেজা বা অলৌকিক শক্তি দান করেছেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি নবীদের নবুওয়তের দাবিকে মানুষের সামনে সত্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)ও অসংখ্য মোজেজার অধিকারী ছিলেন। এর মধ্যে ময়দানে তিহে লাঠির আঘাতে ১২টি ঝরনা সৃষ্টির মোজেজাটি উল্লেখযোগ্য।

এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, যখন মুসা তার সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। ফলে তা থেকে ১২টি ঝরনা প্রবাহিত হলো। প্রত্যেক গোত্র নিজ নিজ পানস্থল চিনে নিল।’ (সুরা বাকারা: ৬০)

তাফসিরকারীগণ বলেন, আল্লাহর নবী ইয়াকুব (আ.)-এর অন্য নাম ছিল ইসরাইল। তাই তাঁর বংশধরদের বনি ইসরাইল বলা হয়। তাঁর ১২ সন্তান থেকে বনি ইসরাইলের ১২টি শাখার সৃষ্টি হয়। এই ১২ শাখার জন্য আল্লাহ ১২টি ঝরনাধারা সৃষ্টি করেছিলেন। যেন সব গোত্রের লোকজন একত্রে পানি সংগ্রহ করতে পারে।

মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিদেরা দাবি করেছেন, তাঁরা বনি ইসরাইলের ১২টি ঝরনা প্রবাহিত হওয়ার স্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশটির সিনাই প্রদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ও খ্যাতিমান প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. আবদুর রহিম রায়হান বলেন, ‘মুসা (আ.)-এর ঝরনার অবস্থান সিনাই অঞ্চলে এবং এলাকাটি ‘উয়ুনে মুসা’ (মুসার ঝরনাসমূহ) নামে পরিচিত।

ড. রায়হান জানান, ঐতিহাসিক বিবরণে পাওয়া যায়, মুসা (আ.) বনি ইসরাইলকে নিয়ে প্রথমে ‘বিরে মুর’ (মুর কূপ) এলাকায় আসেন। সেখান থেকে ইলিম নামক স্থান পর্যন্ত যান। সেখানে ১২টি ঝরনা ও ৭০টি খেজুরগাছ ছিল। পানির সন্ধান পেয়ে তাঁরা সেখানেই বসতি স্থাপন করেন। ‘বিরে মুর’-এর অবস্থান উয়ুনে মুসা থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

মুর কূপের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও এর পানি পানযোগ্য নয়। ইলিম জায়গাটি উয়ুনে মুসা এলাকায় অবস্থিত। এখানেই আল্লাহ বনি ইসরাইলের জন্য ১২টি ঝরনা সৃষ্টি করেছিলেন।

ড. আবদুর রহিম ভূতত্ত্ববিদ ফিলিপ মায়ারসনের কথা উদ্ধৃত করে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, সুয়েজ খাল থেকে উয়ুনে মুসা পর্যন্ত অঞ্চলটি অত্যন্ত অনুর্বর ও শুষ্ক। বনি ইসরাইলের লোকজন এই অঞ্চল অতিক্রম করার সময় তৃষ্ণার্ত হয়ে যায় এবং তারা মুসা (আ.)-কে পানির জন্য দোয়া করতে বলে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তাদের জন্য ঝরনার সৃষ্টি হয়।

ড. রহিম আরও জানান, এই এলাকায় এখন পর্যন্ত চারটি ঝরনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটিতে পানির প্রবাহ আছে, তবে তা খাওয়ার অনুপযোগী। এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। চারটি ঝরনার প্রতিটির আয়তন চার মিটার। তিনি আরও দাবি করেন, অবশিষ্ট ঝরনাগুলো মাটিতে ঢাকা পড়েছে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ সম্পন্ন করে খনন করলে ঝরনাগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে। 
 
সূত্র: আল-আরাবিয়া ডটনেট উর্দু

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত