ইসলামে হাসির সীমারেখা

ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৭: ৩২

হাসি মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক। হাসিমুখে কথা বলাকে সওয়াবের কাজ ও সদকা আখ্যা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো, অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা।’ (তিরমিজি: ১৯৭০)

তবে হাসি হতে হবে পরিমিত। মুচকি হাসা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি হাসির কিছু ক্ষতিকর দিক চিহ্নিত করেছেন। এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া বা অন্যের সম্মানহানি করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

অতিরিক্ত হাসতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেছেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত হেসো না, কারণ অতি হাসি আত্মাকে মৃত বানিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি: ২৩০৫) অন্য হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেন, ‘আমি যা জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে কম হেসে বেশি কাঁদতে...।’ 
(তিরমিজি: ২৩১২)

বিশেষ করে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা গর্হিত কাজ। মিথ্যা কথা বলে নিজে হাসা বা অন্যকে হাসানোর মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস ওই ব্যক্তির জন্য, যে কথা বলার সময় মিথ্যা বলে লোক হাসায়। তার জন্য ধ্বংস। তার জন্য ধ্বংস।’ (আবু দাউদ: ৪৯৯০)

কাউকে তাচ্ছিল্য করে হাসতেও নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ? এবং না কেঁদে হাসছ? তোমরা কৌতুক-উচ্ছ্বাস করছ?’ (সুরা নাজম: ৫৯-৬১) নবী (সা.) বলেছেন, ‘ব্যক্তির মন্দের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে তার ভাইকে তাচ্ছিল্য করে।’ (মুসলিম: ২৫৬৪) 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত