ইসলাম ডেস্ক
কয়েক দিন পরেই শুরু হচ্ছে হিজরি সন ১৪৪৫। বিভিন্ন কারণে হিজরি সনের হিসাব রাখা মুসলমানদের কর্তব্য। একাধিক আবশ্যিক ইবাদত চাঁদের হিসাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই একদল মুসলমানকে সব সময় চাঁদের হিসাবের দিন-তারিখ আবশ্যিকভাবে গুনে রাখতে হবে। হিসাবটি কেউ না রাখলে সবাই গুনাহগার হবে।
হিজরি সন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর আমলে চালু হয়। এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলা হয়, বসরার গভর্নর আবু মুসা আশআরি (রা.) ওমরের কাছে এক পত্রে লেখেন, ‘হে আমিরুল মুমিনিন, আমাদের কাছে বহু পত্র আসে, যাতে তারিখ লেখা থাকে শাবান। কিন্তু তা চলমান বছরের, নাকি অতীতের—আমরা বুঝতে পারি না। তারপর ওমর (রা.) সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। (ইবনুল আসির, আল-কামিল ফিত-তারিখ: ১ /৮)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন ওমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভায় সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) নবী (সা.)-এর ইন্তেকালের বছর, তালহা (রা.) নবুয়তের বছর, আলি (রা.) হিজরতের বছর থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব দেন। তারপর সবাই আলি (রা.)-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন।’ (আল-আইনি, উমদাতুল কারি: ১৭ / ৬৬)
প্রশ্ন জাগে, নবী (সা.) হিজরত করেছিলেন রবিউল আউয়াল মাসে, তাহলে বছরের প্রথম মাস মহররম হলো কীভাবে? এর উত্তরে বলা হয়, নবী (সা.)-এর হিজরত ২৭ সফর থেকে শুরু করে ১২ রবিউল আউয়াল অবধি সম্পন্ন হয়েছিল। বর্ষ গণনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১৭তম বছরের ১০ জমাদিউল আউয়াল মাসে। মাস হিসেবে রবিউল আউয়াল কিংবা জমাদিউল আউয়াল কোনোটি থেকেই বর্ষ গণনা শুরু করা হয়নি। কারণ সমকালীন আরবে মহররমই ছিল প্রথম মাস। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেই হিসাবটি অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ৪ / ৫১৭)
কয়েক দিন পরেই শুরু হচ্ছে হিজরি সন ১৪৪৫। বিভিন্ন কারণে হিজরি সনের হিসাব রাখা মুসলমানদের কর্তব্য। একাধিক আবশ্যিক ইবাদত চাঁদের হিসাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই একদল মুসলমানকে সব সময় চাঁদের হিসাবের দিন-তারিখ আবশ্যিকভাবে গুনে রাখতে হবে। হিসাবটি কেউ না রাখলে সবাই গুনাহগার হবে।
হিজরি সন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর আমলে চালু হয়। এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলা হয়, বসরার গভর্নর আবু মুসা আশআরি (রা.) ওমরের কাছে এক পত্রে লেখেন, ‘হে আমিরুল মুমিনিন, আমাদের কাছে বহু পত্র আসে, যাতে তারিখ লেখা থাকে শাবান। কিন্তু তা চলমান বছরের, নাকি অতীতের—আমরা বুঝতে পারি না। তারপর ওমর (রা.) সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। (ইবনুল আসির, আল-কামিল ফিত-তারিখ: ১ /৮)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন ওমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভায় সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) নবী (সা.)-এর ইন্তেকালের বছর, তালহা (রা.) নবুয়তের বছর, আলি (রা.) হিজরতের বছর থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব দেন। তারপর সবাই আলি (রা.)-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন।’ (আল-আইনি, উমদাতুল কারি: ১৭ / ৬৬)
প্রশ্ন জাগে, নবী (সা.) হিজরত করেছিলেন রবিউল আউয়াল মাসে, তাহলে বছরের প্রথম মাস মহররম হলো কীভাবে? এর উত্তরে বলা হয়, নবী (সা.)-এর হিজরত ২৭ সফর থেকে শুরু করে ১২ রবিউল আউয়াল অবধি সম্পন্ন হয়েছিল। বর্ষ গণনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১৭তম বছরের ১০ জমাদিউল আউয়াল মাসে। মাস হিসেবে রবিউল আউয়াল কিংবা জমাদিউল আউয়াল কোনোটি থেকেই বর্ষ গণনা শুরু করা হয়নি। কারণ সমকালীন আরবে মহররমই ছিল প্রথম মাস। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেই হিসাবটি অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ৪ / ৫১৭)
প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ইমানের অতি আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা জরুরি। তবে মুমিন বান্দার ইমানের অবস্থা সব সময় সমান থাকে না। কখনো বাড়ে। কখনো কমে। তাই আমাদের উচিত, কীভাবে নিজের ইমান মজবুত ও তাজা রাখা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এখানে ইমানি শক্তি বৃদ্ধির তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো..
৩ ঘণ্টা আগেনামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
১ দিন আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
২ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৩ দিন আগে