ইসলাম ডেস্ক
ইংরেজি ট্যাটু শব্দের বাংলা অর্থ উলকি। আরবিতে বলা হয় ‘আল ওয়াশ্ম’। মানবদেহের ত্বকে সুঁই বা এ জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে ক্ষত করে বাহারি রঙের নকশা করার নামই ওয়াশ্ম, উলকি বা ট্যাটু। ট্যাটু সাধারণত স্থায়ী হয়, অথবা সহজে মুছে ফেলা যায় না।
ইসলামে ট্যাটু করা হারাম। এটি আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি। কোরআন-হাদিসে ট্যাটু করতে নিষেধ করা হয়েছে। ট্যাটুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিশপ্ত বলা হয়েছে। ট্যাটু মানুষকে অসংখ্য গুনাহে লিপ্ত করে। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো—
অঙ্গবিকৃতি নাজায়েজ
শরীরে ট্যাটু করা হারাম হওয়ার কারণ—এর মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি খুবই গর্হিত। একই কারণে কৃত্রিম চুল লাগানো (পরচুলা, হেয়ার প্ল্যান্টেশন), সৌন্দর্যের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করা, ভ্রু কাটা (ভ্রু প্লাক, চেঁচে ফেলা) ইত্যাদিও নাজায়েজ।
পবিত্র কোরআনে মানুষকে আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর আকৃতির সৃষ্টি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা তিন: ৪)
তাই মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকৃত করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে অঙ্গবিকৃতিকে শয়তানের অনুসারীদের কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেমন অভিশপ্ত শয়তান আল্লাহকে বলেছিল, ‘আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেছে নেব, তাদের বিপথগামী করব, তাদের আশ্বাস দেব; তাদের পশুদের কান ফুঁড়তে বলব এবং তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা নিসা: ১১৭-১১৯)
উল্লেখ্য, জাহেলিয়াতের যুগে মুশরিকেরা বিভিন্ন দেব–দেবির নামে উৎসর্গ করা পশুর কান ছিদ্র করত। পশুগুলোকে চিহ্নিত করতেই এটি করা হতো।
ট্যাটু সংশ্লিষ্টরা অভিশপ্ত
হাদিসে অঙ্গবিকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিশপ্ত আখ্যা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘যে নারী নকল চুল ব্যবহার করে এবং যে তা সরবরাহ করে, আর যে নারী ট্যাটু আঁকে এবং যে আঁকায়, রাসুল (সা.) তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৫৯৮; মুসলিম: ৫৬৯৩)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকে এবং আঁকায়, যে নারী ভ্রু কাটে এবং দাঁত ফাঁকা করে, আল্লাহ তাআলা তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৬০৪)
একাধিক গুনাহের আশঙ্কা
ট্যাটুতে বিভিন্ন প্রাণীর ছবি আঁকা হয়, যা বড় গুনাহের কাজ। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যারা প্রাণীর ছবি আঁকে, তাদের কেয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। এবং তাদের বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তাদের আত্মা ও জীবন দাও।’ (বুখারি: ৪৭৮৩)
একই ভাবে ট্যাটু করতে গিয়ে পর্দা লঙ্ঘিত হয়, তাও বড় গুনাহের কাজ। এ ছাড়া নারী-পুরুষের শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা আবশ্যক, তাতে ট্যাটু করে মানুষকে দেখিয়ে বেড়ানো আরও বড় গুনাহের কাজ।
ট্যাটু স্থায়ী না হলে
উল্লিখিত কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, ফ্যাশন হিসেবে বা সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকা হারাম। এই বিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। এটি একটি অভিশপ্ত প্রথা, যা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।
আমরা আগেই বলেছি, ট্যাটুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, তা স্থায়ী হয়। এর বাইরে ট্যাটুর সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় ত্বকে ক্ষত তৈরি করা ছাড়া বিভিন্ন আঁকাজোকাকেও ট্যাটু বলে থাকেন, যা কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর আপনাআপনি মুছে যায়। ফিকহবিদদের ভাষ্য মতে, এমন অঙ্কন নাজায়েজ নয়। তবে শর্ত হলো—তাতে প্রাণীর ছবি বা অন্য ধর্মের প্রতীক জাতীয় কোনো কিছু থাকতে পারবে না এবং অজু-গোসলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হতে পারবে না। (হাশিয়াতু ইবনে আবিদিন: ৫ / ২৩৯)
অজু-গোসলের বিধান
ট্যাটুর কারণে ত্বকে পানি পৌঁছাতে বাধার সৃষ্টি হলে অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে যত দিন ট্যাটু থাকবে, তত দিন অজু-গোসল আদায় হবে না। একইভাবে অস্থায়ী আঁকাজোকার কারণে পানি পৌঁছাতে না পারলেও অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। (আল-মাউসুয়াতিল ফিকহিয়্যাহ আল-কুয়েইতিয়্যাহ)
এ ছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে ট্যাটুর স্বাস্থ্যগত অপকারিতাও রয়েছে। তাই এই অভিশপ্ত ফ্যাশন থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ইংরেজি ট্যাটু শব্দের বাংলা অর্থ উলকি। আরবিতে বলা হয় ‘আল ওয়াশ্ম’। মানবদেহের ত্বকে সুঁই বা এ জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে ক্ষত করে বাহারি রঙের নকশা করার নামই ওয়াশ্ম, উলকি বা ট্যাটু। ট্যাটু সাধারণত স্থায়ী হয়, অথবা সহজে মুছে ফেলা যায় না।
ইসলামে ট্যাটু করা হারাম। এটি আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি। কোরআন-হাদিসে ট্যাটু করতে নিষেধ করা হয়েছে। ট্যাটুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিশপ্ত বলা হয়েছে। ট্যাটু মানুষকে অসংখ্য গুনাহে লিপ্ত করে। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো—
অঙ্গবিকৃতি নাজায়েজ
শরীরে ট্যাটু করা হারাম হওয়ার কারণ—এর মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি খুবই গর্হিত। একই কারণে কৃত্রিম চুল লাগানো (পরচুলা, হেয়ার প্ল্যান্টেশন), সৌন্দর্যের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করা, ভ্রু কাটা (ভ্রু প্লাক, চেঁচে ফেলা) ইত্যাদিও নাজায়েজ।
পবিত্র কোরআনে মানুষকে আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর আকৃতির সৃষ্টি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা তিন: ৪)
তাই মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকৃত করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে অঙ্গবিকৃতিকে শয়তানের অনুসারীদের কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেমন অভিশপ্ত শয়তান আল্লাহকে বলেছিল, ‘আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেছে নেব, তাদের বিপথগামী করব, তাদের আশ্বাস দেব; তাদের পশুদের কান ফুঁড়তে বলব এবং তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা নিসা: ১১৭-১১৯)
উল্লেখ্য, জাহেলিয়াতের যুগে মুশরিকেরা বিভিন্ন দেব–দেবির নামে উৎসর্গ করা পশুর কান ছিদ্র করত। পশুগুলোকে চিহ্নিত করতেই এটি করা হতো।
ট্যাটু সংশ্লিষ্টরা অভিশপ্ত
হাদিসে অঙ্গবিকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিশপ্ত আখ্যা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘যে নারী নকল চুল ব্যবহার করে এবং যে তা সরবরাহ করে, আর যে নারী ট্যাটু আঁকে এবং যে আঁকায়, রাসুল (সা.) তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৫৯৮; মুসলিম: ৫৬৯৩)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকে এবং আঁকায়, যে নারী ভ্রু কাটে এবং দাঁত ফাঁকা করে, আল্লাহ তাআলা তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৬০৪)
একাধিক গুনাহের আশঙ্কা
ট্যাটুতে বিভিন্ন প্রাণীর ছবি আঁকা হয়, যা বড় গুনাহের কাজ। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যারা প্রাণীর ছবি আঁকে, তাদের কেয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে। এবং তাদের বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তাদের আত্মা ও জীবন দাও।’ (বুখারি: ৪৭৮৩)
একই ভাবে ট্যাটু করতে গিয়ে পর্দা লঙ্ঘিত হয়, তাও বড় গুনাহের কাজ। এ ছাড়া নারী-পুরুষের শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা আবশ্যক, তাতে ট্যাটু করে মানুষকে দেখিয়ে বেড়ানো আরও বড় গুনাহের কাজ।
ট্যাটু স্থায়ী না হলে
উল্লিখিত কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, ফ্যাশন হিসেবে বা সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকা হারাম। এই বিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। এটি একটি অভিশপ্ত প্রথা, যা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।
আমরা আগেই বলেছি, ট্যাটুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, তা স্থায়ী হয়। এর বাইরে ট্যাটুর সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় ত্বকে ক্ষত তৈরি করা ছাড়া বিভিন্ন আঁকাজোকাকেও ট্যাটু বলে থাকেন, যা কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর আপনাআপনি মুছে যায়। ফিকহবিদদের ভাষ্য মতে, এমন অঙ্কন নাজায়েজ নয়। তবে শর্ত হলো—তাতে প্রাণীর ছবি বা অন্য ধর্মের প্রতীক জাতীয় কোনো কিছু থাকতে পারবে না এবং অজু-গোসলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হতে পারবে না। (হাশিয়াতু ইবনে আবিদিন: ৫ / ২৩৯)
অজু-গোসলের বিধান
ট্যাটুর কারণে ত্বকে পানি পৌঁছাতে বাধার সৃষ্টি হলে অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে যত দিন ট্যাটু থাকবে, তত দিন অজু-গোসল আদায় হবে না। একইভাবে অস্থায়ী আঁকাজোকার কারণে পানি পৌঁছাতে না পারলেও অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। (আল-মাউসুয়াতিল ফিকহিয়্যাহ আল-কুয়েইতিয়্যাহ)
এ ছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে ট্যাটুর স্বাস্থ্যগত অপকারিতাও রয়েছে। তাই এই অভিশপ্ত ফ্যাশন থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ ঘণ্টা আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগে