কুদৃষ্টি দেওয়া বড় গুনাহ

মুফতি খালিদ কাসেমি
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ১৪
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৩৮

চোখ আল্লাহ তাআলার দেওয়া মহামূল্যবান নেয়ামত। যার চোখ আছে, সে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করে। যার চোখ নেই, সে-ই বুঝতে পারে চোখের প্রকৃত মূল্য। পদে পদে সে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়। আলো ঝলমলে এই পৃথিবী তার কাছে অন্ধকার মনে হয়; বিস্বাদ লাগে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মহান এই অনুগ্রহের কথা বান্দাকে স্মরণ করিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘বলো, তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য কান, চোখ ও হৃদয় বানিয়েছেন। (কিন্তু) তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো অল্পই।’ (সুরা মুলক: ২৩) অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমি কি তাকে দেইনি দুটি চোখ, একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট?’ (সুরা বালাদ: ৮-৯)

চোখের সঠিক ব্যবহার করা উচিত; নতুবা এটি আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি এবং শাস্তির কারণ হবে। সমাজে এখন কুদৃষ্টি মহামারি আকার ধারণ করেছে। সব বয়সের মানুষই এতে আক্রান্ত হচ্ছে। দৃষ্টি সংযত রাখা বড় কঠিন হয়ে পড়েছে।

কুদৃষ্টি শয়তানের মারণাস্ত্র। এর মাধ্যমে সে মুমিনদের ইমানে আক্রমণ করে এবং চরিত্র কলুষিত করে। নবী (সা.) বলেন, ‘কুদৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তীর। আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি কুদৃষ্টি থেকে বিরত থাকে, তাকে তিনি ইমানের এমন স্বাদ আস্বাদন করান, যা সে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কুদৃষ্টি এক প্রকারের ব্যভিচার। নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বনি আদমের জন্য ব্যভিচারের একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথা বলা। কুপ্রবৃত্তি কামনা সৃষ্টি করে এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যা প্রমাণ করে।’ (মুসলিম)

তাই সবার গুনাহের বিষয়গুলো দেখা থেকে বিরত থাকা উচিত।

মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত