কাজী হুমায়রা
বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা (জেনারেল)
বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে নির্বাচিত হলে আপনাকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে হবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হবে। অধিদপ্তর থেকে পরে যেকোনো উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলায় যোগদান করবেন।
পদক্রম
সাধারণত এই ক্যাডারে মাঠপর্যায়ে প্রথম পদায়ন করা হয়ে থাকে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিসপ্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা > সহকারী পরিচালক > উপপরিচালক > পরিচালক > পরিচালক জেনারেল (ডিজি), এভাবেই এই ক্যাডারে পদসোপান নির্ধারণ করা রয়েছে।
দায়িত্ব
একজন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মূল কাজ মাঠপর্যায়ে কর্মীদের তদারক করা। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে তাঁর অধীনে একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থাকে। যেখান থেকে মাঠপর্যায়ে জনগণকে সেবা দেওয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকেন একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকেন কয়েকজন পরিবার কল্যাণ সহায়িকা; যাঁরা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেন। এই বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। উপজেলায় একজন কর্মকর্তার অধীনে ৩০ বা তার বেশি কর্মী কাজ করেন। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এসি ল্যান্ড ছাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাই জেনারেল ক্যাডার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তাই ইউএনও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি উপজেলা পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। অধিদপ্তর থেকে গৃহীত পদক্ষেপ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে কাজ করেন তিনি। কোনো কোনো উপজেলায় এনজিওর সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব বর্তায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ওপর।
সুবিধা-অসুবিধা
পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের নিয়োগ সাধারণত পছন্দমতো দেওয়া হয় বা চেষ্টা করা হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কাজের চাপ কম, তাই কাজের পাশাপাশি পারিবারিক জীবন উপভোগ করা যায়। উপপরিচালক হওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়। প্রমোশনের জটিলতা আগে ছিল, বর্তমানে মোটামুটি স্মুথ। নতুন অর্গানোগ্রামের কাজ চলমান। অর্গানোগ্রাম পাস হলে প্রমোশনের জটিলতা থাকবে না।
প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষা
পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভাগীয় ট্রেনিং প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে হয়, তাই এই ক্যাডারে প্রচুর ট্রেনিংয়ের সুযোগ থাকে। দেশের বাইরে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির জন্য স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে।
বেতন ও ভাতা
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সব ক্যাডারের কর্মকর্তা নবম গ্রেডে ২২,০০০ টাকা মূল বেতনে চাকরিজীবন শুরু করেন। যোগদানের সময় একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেয়ে মূল বেতন ২৩,১০০ টাকা হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের নির্দিষ্ট হারে বাড়ি ভাড়া (জেলা শহরে ৪০%, অন্য বিভাগে ৪৫% ও ঢাকা বিভাগে ৫০%), ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়তা ভাতা ও উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। এই ক্যাডারে ফিল্ড ভিজিট থাকে, তাই টিএ/ডিএ বাবদ প্রতি মাসে ১০-১২ হাজার টাকা অতিরিক্ত বৈধ আয় করা যায়। এই ক্যাডারে নিজেও প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। তাই আর্থিক সুবিধা লাভের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা (জেনারেল)
বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে নির্বাচিত হলে আপনাকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে হবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হবে। অধিদপ্তর থেকে পরে যেকোনো উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলায় যোগদান করবেন।
পদক্রম
সাধারণত এই ক্যাডারে মাঠপর্যায়ে প্রথম পদায়ন করা হয়ে থাকে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিসপ্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা > সহকারী পরিচালক > উপপরিচালক > পরিচালক > পরিচালক জেনারেল (ডিজি), এভাবেই এই ক্যাডারে পদসোপান নির্ধারণ করা রয়েছে।
দায়িত্ব
একজন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মূল কাজ মাঠপর্যায়ে কর্মীদের তদারক করা। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে তাঁর অধীনে একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থাকে। যেখান থেকে মাঠপর্যায়ে জনগণকে সেবা দেওয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকেন একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকেন কয়েকজন পরিবার কল্যাণ সহায়িকা; যাঁরা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেন। এই বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। উপজেলায় একজন কর্মকর্তার অধীনে ৩০ বা তার বেশি কর্মী কাজ করেন। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এসি ল্যান্ড ছাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাই জেনারেল ক্যাডার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তাই ইউএনও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি উপজেলা পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। অধিদপ্তর থেকে গৃহীত পদক্ষেপ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে কাজ করেন তিনি। কোনো কোনো উপজেলায় এনজিওর সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব বর্তায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ওপর।
সুবিধা-অসুবিধা
পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের নিয়োগ সাধারণত পছন্দমতো দেওয়া হয় বা চেষ্টা করা হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কাজের চাপ কম, তাই কাজের পাশাপাশি পারিবারিক জীবন উপভোগ করা যায়। উপপরিচালক হওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়। প্রমোশনের জটিলতা আগে ছিল, বর্তমানে মোটামুটি স্মুথ। নতুন অর্গানোগ্রামের কাজ চলমান। অর্গানোগ্রাম পাস হলে প্রমোশনের জটিলতা থাকবে না।
প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষা
পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভাগীয় ট্রেনিং প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে হয়, তাই এই ক্যাডারে প্রচুর ট্রেনিংয়ের সুযোগ থাকে। দেশের বাইরে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির জন্য স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে।
বেতন ও ভাতা
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সব ক্যাডারের কর্মকর্তা নবম গ্রেডে ২২,০০০ টাকা মূল বেতনে চাকরিজীবন শুরু করেন। যোগদানের সময় একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেয়ে মূল বেতন ২৩,১০০ টাকা হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের নির্দিষ্ট হারে বাড়ি ভাড়া (জেলা শহরে ৪০%, অন্য বিভাগে ৪৫% ও ঢাকা বিভাগে ৫০%), ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়তা ভাতা ও উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। এই ক্যাডারে ফিল্ড ভিজিট থাকে, তাই টিএ/ডিএ বাবদ প্রতি মাসে ১০-১২ হাজার টাকা অতিরিক্ত বৈধ আয় করা যায়। এই ক্যাডারে নিজেও প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। তাই আর্থিক সুবিধা লাভের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়োগকর্তারা চাকরিপ্রার্থীদের কাছে শুধু ডিগ্রিই নয়, পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতাও চান। একাডেমিক শিক্ষা যতই ভালো হোক না কেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া পেশাগত জগতে সফল হওয়া কঠিন।
২ ঘণ্টা আগেড. খলিলুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মিউকফার্মে, ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেআইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়টির আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় এবং সংস্থার অধীন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফে
২০ ঘণ্টা আগেস্থাপত্য অধিদপ্তরের ৪০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ৫ মার্চ থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। অধিদপ্তরের সদস্যসচিব নুসরাত জাহান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে