সম্প্রতি ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রায় এক মাস সময় পাচ্ছেন প্রস্তুতির জন্য। চূড়ান্ত এই সময় ব্যবহার করে বিজেএস পরীক্ষায় প্রার্থীদের সফল হওয়ার জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ দিচ্ছেন ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান।
বাংলা: বিজেএস পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশে ভালো করতে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বই (পুরোনো ভার্সন) থেকে সিলেবাস অনুযায়ী পড়ুন। আবেদনপত্র, রচনা, প্রতিবেদন, ভাবসম্প্রসারণের মতো বিষয়ের জন্য বাজারে প্রচলিত বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক যেকোনো বই থেকে ফরম্যাট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। আর বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন, শূন্যস্থান পূরণ, এককথায় প্রকাশ, বিপরীত ও সমার্থক শব্দ পড়ুন ড. সৌমিত্র শেখরের লেখা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই থেকে। বাংলা লিখিত অংশে সচরাচর পরীক্ষায় হুবহু প্রশ্ন কমন পড়ে না। তাই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং দক্ষতা অর্জন করা জরুরি।
ইংরেজি: বিজেএস পরীক্ষার ইংরেজি ব্যাকরণ অংশে সাধারণত মৌলিক প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের ধারণা পেতে বাজারে প্রচলিত বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক যেকোনো বই অনুসরণ করতে পারেন। এ ছাড়া পরীক্ষায় লেখার সময় ইংরেজিতে সহজ ও আকর্ষণীয় শব্দ প্রয়োগের চেষ্টা করবেন। এ জন্য পড়ার সময় তথ্য ও তত্ত্বের ভারসাম্য রেখে পড়তে হবে। যত বেশি পড়বেন, তত ভালো ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
গণিত: গণিতে ভালো করার জন্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির গণিত বই সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবশেষ ২০২০ সালের সংস্করণের বই পড়লেও চলবে। তবে যত বেশি পুরোনো বই সমাধান করা সম্ভব, প্রস্তুতি তত পোক্ত হবে। যা-ই হোক, সিলেবাস অনুযায়ী পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি উদাহরণসহ অনুশীলনীগুলো বারবার অনুশীলন করুন। বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিন।
বিজ্ঞান: বিজ্ঞানে ভালো করার জন্য ১০ম থেকে ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আসিওরেন্স বা ওরাকল প্রকাশনীর বই থেকে পড়তে পারেন। নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ও ভূগোল বইও (২০২০ সালের আগের যেকোনো সংস্করণ) বেশ সহায়ক। এ দুটো বই পড়ার সময় পদার্থ, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক: এই অংশে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, ভৌগোলিক অবস্থান, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, রাজনীতি, স্বাধীনতাযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, উন্নয়ন কার্যক্রমের কার্যকারিতা ও দেশের আর্থসামাজিক কাঠামো, বিরাজমান সামাজিক সমস্যা ও তার প্রতিকার-প্রতিরোধ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান রাখা উচিত। আন্তর্জাতিক অংশের প্রস্তুতি হিসেবে সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক সংকট, বিশেষ করে সামরিক, বেসামরিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, বৈশ্বিক মেরুকরণ বিষয়ে জানা আবশ্যক। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, আফ্রিকা মহাদেশে বিবদমান সংকট ও দ্বন্দ্বের ইতিহাস, পক্ষ, কারণ ও সম্ভাব্য সমাধানের মতো বিষয়গুলো বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক যেকোনো বই থেকে পড়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসান জাহিদের MENs মাসিক সম্পাদকীয় সমাচার, মাসিক মুহিদ’স সম্পাদকীয় সমাচার কিংবা আলমগীর হোসেনের হ্যান্ডবুক অনুসরণ করা যেতে পারে।
আইনের অংশের প্রস্তুতি: বিগত বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় আসা আইনের সব প্রশ্ন ধারাবাহিকভাবে পড়ুন। এর মধ্য দিয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে।
দেওয়ানি আইন: দেওয়ানি কার্যবিধির মূল আইন থেকে অর্ডার ১ থেকে ১৫, ১৮, ২১, ২৩, ২৬, ৩৫, ৩৯, ৪১, ৪৩, ৪৭ এবং ধারা ১ থেকে ৪০, ৫৪, ৭০ থেকে ৮০, ৮৯ক, ১২১ থেকে ১২৯ ও ১৫০ থেকে ১৫৩ পর্যন্ত ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, সিভিল কোর্ট আইনসহ তামাদি আইনের প্রতিটি ধারা পড়তে হবে।
ফৌজদারি আইন: ফৌজদারি আইন মূল আইনের পাশাপাশি আইন পাঠ থেকে পড়া ভালো। আদালতের শ্রেণি বিভাগ, শাস্তি আরোপ করার ক্ষমতা, গ্রেপ্তার বিষয়ে পুলিশের ক্ষমতা ও কার্যপদ্ধতি, তল্লাশি ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ক্রোক, শান্তি ভঙ্গজনিত অপরাধ, দখলজনিত বিরোধ মোকাবিলাসংক্রান্ত বিধান, পুলিশি তদন্ত, পুলিশি সাক্ষ্য, রিমান্ড, পুলিশ রিপোর্ট, ম্যাজিস্ট্রেটের অপরাধ আমলে নেওয়া ও পরীক্ষা করা, বিচার করার পদ্ধতি, মামলা হস্তান্তর, আপিল, রিভিউ, রিভিশন, জামিন, আদালতের সহজাত ক্ষমতাসংক্রান্ত ধারাগুলো গুছিয়ে পড়ুন। দণ্ডবিধির অপরাধের সংজ্ঞা, উপাদান, শাস্তি ও শাস্তির ধরন ভালোভাবে পড়তে হবে। এ ছাড়া সাক্ষ্য আইনের কোনো ধারাই বাদ দেওয়া উচিত হবে না।
ভূমি আইন: রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব ও অধিগ্রহণ আইনের ১৭ থেকে ২০, ৬০ক, ৮৩ থেকে ১০৯, ১১৯ থেকে ১২৫, ১৪৩ থেকে ১৪৪খ ধারাগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। আর অকৃষি ও সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের সব ধারা জানতে হবে। রেজিস্ট্রেশন আইনের ১ থেকে ৩৫, ৪৬ থেকে ৫০, ৫৫ থেকে ৮০ পর্যন্ত ধারাগুলো বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। তবে চুক্তি আইন পড়া বাদ দেওয়া যেতে পারে।
বিশেষ আইন: বিশেষ আইনগুলো পড়তে হবে মূল আইন থেকে। বলা বাহুল্য, এই আইনগুলোর সব ধারাই পড়া উচিত। তা ছাড়া বিশেষ আইনের সংজ্ঞা, তদন্ত, জামিন, অপরাধের ধরন, ব্যাখ্যা, উপাদান, শাস্তি, আপিলেট ফোরাম সম্পর্কে মনোযোগ দিয়ে পড়লে এই অংশে ভালো নম্বর তোলা সম্ভব।
বিশেষ পরামর্শ: আইন অংশের প্রস্তুতি সমৃদ্ধ করতে বিচারপতি হামিদুল হকের লেখা বিচারপ্রক্রিয়া বইটি খুব ভালো করে পড়বেন। ইংরেজির তুলনায় বাংলায় আইন পড়লে কম সময়ে বেশি পড়া আয়ত্ত করা যায়। তাই বাংলায় আইন বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য পড়তে পারেন। সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরে পরীক্ষক তুলনামূলক বেশি প্রাধান্য দেন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে। তাই সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ঘটনা, বিচার্য বিষয়, সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্তের কারণের ব্যাখ্যা বর্ণনা করে উত্তর লেখার চেষ্টা করুন। আর তত্ত্বীয় উত্তর লেখার চেষ্টা করুন ভূমিকা, মূল আলোচনা ও উপসংহার–এই তিন ধাপে বিভক্ত করে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
সম্প্রতি ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রায় এক মাস সময় পাচ্ছেন প্রস্তুতির জন্য। চূড়ান্ত এই সময় ব্যবহার করে বিজেএস পরীক্ষায় প্রার্থীদের সফল হওয়ার জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ দিচ্ছেন ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান।
বাংলা: বিজেএস পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশে ভালো করতে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বই (পুরোনো ভার্সন) থেকে সিলেবাস অনুযায়ী পড়ুন। আবেদনপত্র, রচনা, প্রতিবেদন, ভাবসম্প্রসারণের মতো বিষয়ের জন্য বাজারে প্রচলিত বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক যেকোনো বই থেকে ফরম্যাট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। আর বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন, শূন্যস্থান পূরণ, এককথায় প্রকাশ, বিপরীত ও সমার্থক শব্দ পড়ুন ড. সৌমিত্র শেখরের লেখা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই থেকে। বাংলা লিখিত অংশে সচরাচর পরীক্ষায় হুবহু প্রশ্ন কমন পড়ে না। তাই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং দক্ষতা অর্জন করা জরুরি।
ইংরেজি: বিজেএস পরীক্ষার ইংরেজি ব্যাকরণ অংশে সাধারণত মৌলিক প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের ধারণা পেতে বাজারে প্রচলিত বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক যেকোনো বই অনুসরণ করতে পারেন। এ ছাড়া পরীক্ষায় লেখার সময় ইংরেজিতে সহজ ও আকর্ষণীয় শব্দ প্রয়োগের চেষ্টা করবেন। এ জন্য পড়ার সময় তথ্য ও তত্ত্বের ভারসাম্য রেখে পড়তে হবে। যত বেশি পড়বেন, তত ভালো ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
গণিত: গণিতে ভালো করার জন্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির গণিত বই সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবশেষ ২০২০ সালের সংস্করণের বই পড়লেও চলবে। তবে যত বেশি পুরোনো বই সমাধান করা সম্ভব, প্রস্তুতি তত পোক্ত হবে। যা-ই হোক, সিলেবাস অনুযায়ী পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি উদাহরণসহ অনুশীলনীগুলো বারবার অনুশীলন করুন। বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিন।
বিজ্ঞান: বিজ্ঞানে ভালো করার জন্য ১০ম থেকে ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আসিওরেন্স বা ওরাকল প্রকাশনীর বই থেকে পড়তে পারেন। নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ও ভূগোল বইও (২০২০ সালের আগের যেকোনো সংস্করণ) বেশ সহায়ক। এ দুটো বই পড়ার সময় পদার্থ, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক: এই অংশে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, ভৌগোলিক অবস্থান, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, রাজনীতি, স্বাধীনতাযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, উন্নয়ন কার্যক্রমের কার্যকারিতা ও দেশের আর্থসামাজিক কাঠামো, বিরাজমান সামাজিক সমস্যা ও তার প্রতিকার-প্রতিরোধ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান রাখা উচিত। আন্তর্জাতিক অংশের প্রস্তুতি হিসেবে সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক সংকট, বিশেষ করে সামরিক, বেসামরিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, বৈশ্বিক মেরুকরণ বিষয়ে জানা আবশ্যক। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, আফ্রিকা মহাদেশে বিবদমান সংকট ও দ্বন্দ্বের ইতিহাস, পক্ষ, কারণ ও সম্ভাব্য সমাধানের মতো বিষয়গুলো বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক যেকোনো বই থেকে পড়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসান জাহিদের MENs মাসিক সম্পাদকীয় সমাচার, মাসিক মুহিদ’স সম্পাদকীয় সমাচার কিংবা আলমগীর হোসেনের হ্যান্ডবুক অনুসরণ করা যেতে পারে।
আইনের অংশের প্রস্তুতি: বিগত বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় আসা আইনের সব প্রশ্ন ধারাবাহিকভাবে পড়ুন। এর মধ্য দিয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে।
দেওয়ানি আইন: দেওয়ানি কার্যবিধির মূল আইন থেকে অর্ডার ১ থেকে ১৫, ১৮, ২১, ২৩, ২৬, ৩৫, ৩৯, ৪১, ৪৩, ৪৭ এবং ধারা ১ থেকে ৪০, ৫৪, ৭০ থেকে ৮০, ৮৯ক, ১২১ থেকে ১২৯ ও ১৫০ থেকে ১৫৩ পর্যন্ত ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, সিভিল কোর্ট আইনসহ তামাদি আইনের প্রতিটি ধারা পড়তে হবে।
ফৌজদারি আইন: ফৌজদারি আইন মূল আইনের পাশাপাশি আইন পাঠ থেকে পড়া ভালো। আদালতের শ্রেণি বিভাগ, শাস্তি আরোপ করার ক্ষমতা, গ্রেপ্তার বিষয়ে পুলিশের ক্ষমতা ও কার্যপদ্ধতি, তল্লাশি ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ক্রোক, শান্তি ভঙ্গজনিত অপরাধ, দখলজনিত বিরোধ মোকাবিলাসংক্রান্ত বিধান, পুলিশি তদন্ত, পুলিশি সাক্ষ্য, রিমান্ড, পুলিশ রিপোর্ট, ম্যাজিস্ট্রেটের অপরাধ আমলে নেওয়া ও পরীক্ষা করা, বিচার করার পদ্ধতি, মামলা হস্তান্তর, আপিল, রিভিউ, রিভিশন, জামিন, আদালতের সহজাত ক্ষমতাসংক্রান্ত ধারাগুলো গুছিয়ে পড়ুন। দণ্ডবিধির অপরাধের সংজ্ঞা, উপাদান, শাস্তি ও শাস্তির ধরন ভালোভাবে পড়তে হবে। এ ছাড়া সাক্ষ্য আইনের কোনো ধারাই বাদ দেওয়া উচিত হবে না।
ভূমি আইন: রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব ও অধিগ্রহণ আইনের ১৭ থেকে ২০, ৬০ক, ৮৩ থেকে ১০৯, ১১৯ থেকে ১২৫, ১৪৩ থেকে ১৪৪খ ধারাগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। আর অকৃষি ও সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের সব ধারা জানতে হবে। রেজিস্ট্রেশন আইনের ১ থেকে ৩৫, ৪৬ থেকে ৫০, ৫৫ থেকে ৮০ পর্যন্ত ধারাগুলো বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। তবে চুক্তি আইন পড়া বাদ দেওয়া যেতে পারে।
বিশেষ আইন: বিশেষ আইনগুলো পড়তে হবে মূল আইন থেকে। বলা বাহুল্য, এই আইনগুলোর সব ধারাই পড়া উচিত। তা ছাড়া বিশেষ আইনের সংজ্ঞা, তদন্ত, জামিন, অপরাধের ধরন, ব্যাখ্যা, উপাদান, শাস্তি, আপিলেট ফোরাম সম্পর্কে মনোযোগ দিয়ে পড়লে এই অংশে ভালো নম্বর তোলা সম্ভব।
বিশেষ পরামর্শ: আইন অংশের প্রস্তুতি সমৃদ্ধ করতে বিচারপতি হামিদুল হকের লেখা বিচারপ্রক্রিয়া বইটি খুব ভালো করে পড়বেন। ইংরেজির তুলনায় বাংলায় আইন পড়লে কম সময়ে বেশি পড়া আয়ত্ত করা যায়। তাই বাংলায় আইন বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য পড়তে পারেন। সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরে পরীক্ষক তুলনামূলক বেশি প্রাধান্য দেন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে। তাই সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ঘটনা, বিচার্য বিষয়, সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্তের কারণের ব্যাখ্যা বর্ণনা করে উত্তর লেখার চেষ্টা করুন। আর তত্ত্বীয় উত্তর লেখার চেষ্টা করুন ভূমিকা, মূল আলোচনা ও উপসংহার–এই তিন ধাপে বিভক্ত করে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
১ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে