শাহাজাদা তালুকদার
শাহাজাদা তালুকদারের জন্ম ঢাকায়। বেড়ে ওঠা গাজীপুরে। ২০১০ সালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে দেশেই পাঁচ বছর ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে চাকরি করেন। এরপর জার্মানিতে চাকরির সময় মাইক্রোসফটে আবেদন করেন। ২০২২ সালের মার্চে মাইক্রোসফট থেকে অফার লেটার পান। বর্তমানে তিনি ‘মাইক্রোসফট আইডেনটিটি’ টিমে কাজ করছেন। বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
২০০১ সালের দিকে আম্মু আমাকে প্রথম কম্পিউটার কিনে দেন, যাতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ছিল। আমি ২০১০ সালে প্রথম চাকরি শুরু করি ASP. Net টেকনোলজি দিয়ে, যা মাইক্রোসফটের। আসলে আমার টেকনোলজি জীবন শুরুই হয়েছিল মাইক্রোসফট ইকো সিস্টেম দিয়ে। এখন এই কোম্পানিতে চাকরি করার অনুভূতি সত্যি অবর্ণনীয়।
শুরুটা যেভাবে
২০০৫ সালের আগে উইন্ডোজে টুকটাক স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছিল। কিন্তু কোর-প্রোগ্রামিং করা শুরু হয় ২০০৫ সালে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়ার পর।
আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা শুরু করি ইউনিভার্সিটি শেষ করার পরে। মাইক্রোসফটে চাকরি পাওয়ার আগে আমার কয়েক বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ছিল। এই অভিজ্ঞতা মাইক্রোসফটে চাকরির ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আর ইন্টারভিউর আগে বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি।
মাইক্রোসফটে চাকরির ধরন
মাইক্রোসফট যেহেতু অনেক বড় কোম্পানি, এখানে অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ রয়েছে। হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন শুধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরই সুযোগ রয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল জবের পাশাপাশি নন-টেকনিক্যাল জবেরও সুযোগ রয়েছে। নন-টেকনিক্যাল জবের মধ্যে রয়েছে ডিজাইন, ফিন্যান্স, এইচআর, রিক্রুটমেন্ট, মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, সেলস, নিয়োগ থেকে শুরু করে সব ধরনের চাকরি।
ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া
আমাকে মোট ছয়টি ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। প্রথমে একজন রিক্রুটারের সঙ্গে ইন্টারভিউ হয়। পরের ইন্টারভিউটা ছিল প্রোগ্রামিং নিয়ে। এই দুটি ইন্টারভিউর পরে ফাইনাল রাউন্ডে চারটি ইন্টারভিউ হয়। ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে হায়ারিং ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার একটা সুযোগ দেওয়া হয়। যেখানে আমার কিছু জানার থাকলে আমি জিজ্ঞাসা করতে পারি। এভাবে ইন্টারভিউ শেষে হওয়ার কিছুদিন পর মাইক্রোসফট থেকে অফার লেটার পাঠানো হয়।
চাকরির অনুপ্রেরণায় যাঁরা
এ পর্যন্ত তো একদিনে কেউ আসতে পারে না। জীবনের লম্বা একটা সময়ের ফসল আজকের এই জায়গা। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, এরপরে চাকরি—আমার জীবনের সবকিছুতে মায়ের উৎসর্গ ও অনুপ্রেরণাই আমাকে আজ এ পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করেছে। তাই প্রথমে আমার মা ও পরিবারের গুরুত্ব বেশি। এরপর আমার সব শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু, ভাই, পূর্ববর্তী অফিসের সহকর্মীদের অবদান। সবাই আমাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ পর্যন্ত আসার পেছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
যত সময় লাগতে পারে
আবেদন করার পর থেকে চাকরি কনফারমেশন পাওয়া পর্যন্ত দুই থেকে তিন মাস লাগতে পারে। এটা আসলে অবস্থাভেদে কারও কম-বেশি হতে পারে। আমার এ রকম সময় লেগেছিল। ইন্টারভিউ ধাপ শেষ হওয়ার পরে আসে ভিসার আবেদন-প্রক্রিয়া। কারণ যে কেউ চাকরি পেলে হয়তো ইউরোপ বা আমেরিকায় তাঁকে একটা ভিসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ থেকে চেষ্টা করলে এই প্রক্রিয়াটাও অনেক সময় সাপেক্ষ হতে পারে।
বাংলাদেশিদের সুযোগ কেমন
মাইক্রোসফট আসলে সব দেশের লোক নিতে চায়। যদি যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা যায়, তাহলে সবার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অনেকেই অনেক কর্মঠ, সেহেতু বাংলাদেশিদের অনেক সুযোগ আছে। মাইক্রোসফটে বাংলাদেশি প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার, প্রিন্সিপাল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের মতো লেভেলের লোকও রয়েছেন।
নতুনরা যা করবে
পড়ালেখা ও প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে। বুঝে পড়া, অবশই না বুঝে শুধু মুখস্থ না করা। আর ফ্রেশারদের জন্য ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদমটা একটু জানা থাকা লাগবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসের বাইরেও নিজে নিজে কিছু প্রোজেক্ট করা, যা খুব হেল্প করতে পারে। সিস্টেম ডিজাইন বা সফটওয়্যার আর্কিটেকচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে খুব বেশি চিন্তাভাবনা আমাদের দেশের লোকদের মধ্যে দেখা যায় না। সবাইকে এ ব্যাপারটা একটু গুরুত্বসহকারে দেখার পরামর্শ দেব।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
দেশের অনেকে যারা সঠিক ইনফরমেশনের অভাবে অনেক সুযোগ মিস করে। যদি কখনো সুযোগ ও সামর্থ্য হয় ইনশা আল্লাহ তাদের জন্য কিছু করব, এ ইচ্ছে আমার আছে। নিজের ব্যাপারে বলতে গেলে, একজন ভালো মানুষ হতে চাই। পাশাপাশি আল্লাহর ইচ্ছায় টেকনোলজি সেক্টরে নিজেকে ভালো একটা অবস্থানে দেখতে চাই।
শাহাজাদা তালুকদার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মাইক্রোসফট
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
শাহাজাদা তালুকদারের জন্ম ঢাকায়। বেড়ে ওঠা গাজীপুরে। ২০১০ সালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে দেশেই পাঁচ বছর ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে চাকরি করেন। এরপর জার্মানিতে চাকরির সময় মাইক্রোসফটে আবেদন করেন। ২০২২ সালের মার্চে মাইক্রোসফট থেকে অফার লেটার পান। বর্তমানে তিনি ‘মাইক্রোসফট আইডেনটিটি’ টিমে কাজ করছেন। বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
২০০১ সালের দিকে আম্মু আমাকে প্রথম কম্পিউটার কিনে দেন, যাতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ছিল। আমি ২০১০ সালে প্রথম চাকরি শুরু করি ASP. Net টেকনোলজি দিয়ে, যা মাইক্রোসফটের। আসলে আমার টেকনোলজি জীবন শুরুই হয়েছিল মাইক্রোসফট ইকো সিস্টেম দিয়ে। এখন এই কোম্পানিতে চাকরি করার অনুভূতি সত্যি অবর্ণনীয়।
শুরুটা যেভাবে
২০০৫ সালের আগে উইন্ডোজে টুকটাক স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছিল। কিন্তু কোর-প্রোগ্রামিং করা শুরু হয় ২০০৫ সালে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়ার পর।
আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা শুরু করি ইউনিভার্সিটি শেষ করার পরে। মাইক্রোসফটে চাকরি পাওয়ার আগে আমার কয়েক বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ছিল। এই অভিজ্ঞতা মাইক্রোসফটে চাকরির ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আর ইন্টারভিউর আগে বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি।
মাইক্রোসফটে চাকরির ধরন
মাইক্রোসফট যেহেতু অনেক বড় কোম্পানি, এখানে অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ রয়েছে। হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন শুধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরই সুযোগ রয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল জবের পাশাপাশি নন-টেকনিক্যাল জবেরও সুযোগ রয়েছে। নন-টেকনিক্যাল জবের মধ্যে রয়েছে ডিজাইন, ফিন্যান্স, এইচআর, রিক্রুটমেন্ট, মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, সেলস, নিয়োগ থেকে শুরু করে সব ধরনের চাকরি।
ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া
আমাকে মোট ছয়টি ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। প্রথমে একজন রিক্রুটারের সঙ্গে ইন্টারভিউ হয়। পরের ইন্টারভিউটা ছিল প্রোগ্রামিং নিয়ে। এই দুটি ইন্টারভিউর পরে ফাইনাল রাউন্ডে চারটি ইন্টারভিউ হয়। ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে হায়ারিং ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার একটা সুযোগ দেওয়া হয়। যেখানে আমার কিছু জানার থাকলে আমি জিজ্ঞাসা করতে পারি। এভাবে ইন্টারভিউ শেষে হওয়ার কিছুদিন পর মাইক্রোসফট থেকে অফার লেটার পাঠানো হয়।
চাকরির অনুপ্রেরণায় যাঁরা
এ পর্যন্ত তো একদিনে কেউ আসতে পারে না। জীবনের লম্বা একটা সময়ের ফসল আজকের এই জায়গা। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, এরপরে চাকরি—আমার জীবনের সবকিছুতে মায়ের উৎসর্গ ও অনুপ্রেরণাই আমাকে আজ এ পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করেছে। তাই প্রথমে আমার মা ও পরিবারের গুরুত্ব বেশি। এরপর আমার সব শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু, ভাই, পূর্ববর্তী অফিসের সহকর্মীদের অবদান। সবাই আমাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ পর্যন্ত আসার পেছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
যত সময় লাগতে পারে
আবেদন করার পর থেকে চাকরি কনফারমেশন পাওয়া পর্যন্ত দুই থেকে তিন মাস লাগতে পারে। এটা আসলে অবস্থাভেদে কারও কম-বেশি হতে পারে। আমার এ রকম সময় লেগেছিল। ইন্টারভিউ ধাপ শেষ হওয়ার পরে আসে ভিসার আবেদন-প্রক্রিয়া। কারণ যে কেউ চাকরি পেলে হয়তো ইউরোপ বা আমেরিকায় তাঁকে একটা ভিসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ থেকে চেষ্টা করলে এই প্রক্রিয়াটাও অনেক সময় সাপেক্ষ হতে পারে।
বাংলাদেশিদের সুযোগ কেমন
মাইক্রোসফট আসলে সব দেশের লোক নিতে চায়। যদি যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা যায়, তাহলে সবার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অনেকেই অনেক কর্মঠ, সেহেতু বাংলাদেশিদের অনেক সুযোগ আছে। মাইক্রোসফটে বাংলাদেশি প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার, প্রিন্সিপাল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের মতো লেভেলের লোকও রয়েছেন।
নতুনরা যা করবে
পড়ালেখা ও প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে। বুঝে পড়া, অবশই না বুঝে শুধু মুখস্থ না করা। আর ফ্রেশারদের জন্য ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদমটা একটু জানা থাকা লাগবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসের বাইরেও নিজে নিজে কিছু প্রোজেক্ট করা, যা খুব হেল্প করতে পারে। সিস্টেম ডিজাইন বা সফটওয়্যার আর্কিটেকচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে খুব বেশি চিন্তাভাবনা আমাদের দেশের লোকদের মধ্যে দেখা যায় না। সবাইকে এ ব্যাপারটা একটু গুরুত্বসহকারে দেখার পরামর্শ দেব।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
দেশের অনেকে যারা সঠিক ইনফরমেশনের অভাবে অনেক সুযোগ মিস করে। যদি কখনো সুযোগ ও সামর্থ্য হয় ইনশা আল্লাহ তাদের জন্য কিছু করব, এ ইচ্ছে আমার আছে। নিজের ব্যাপারে বলতে গেলে, একজন ভালো মানুষ হতে চাই। পাশাপাশি আল্লাহর ইচ্ছায় টেকনোলজি সেক্টরে নিজেকে ভালো একটা অবস্থানে দেখতে চাই।
শাহাজাদা তালুকদার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মাইক্রোসফট
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য ২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার অফিসে নিয়োগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের (এনএইচআরডিএফ) চার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (প্রশাসন ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আদমজী ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটিতে ছয় ধরনের পদে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে