ফিচার ডেস্ক
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশ হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জেন জি প্রজন্মের প্রায় ৬০ শতাংশকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেদনে জেন জি প্রজন্মের এমন অবস্থার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
উদ্দীপনার অভাব
জেন জি প্রজন্ম নিয়ে সাধারণ ধারণা হলো, তাদের মধ্যে উদ্দীপনার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে যারা আশির দশকে জন্মেছে তারা মনে করে, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া জেন জি প্রজন্ম সাফল্য পেতে চায়। কিন্তু চাকরি থেকে তাদের আগ্রহ কমা অথবা চাকরিচ্যুত হওয়ার পেছনে শুধু তাদের দায়ী করলেই হবে না। ২০০৮ থেকে করোনা পর্যন্ত পরিবার ও চারপাশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখেছে জেন জি প্রজন্ম। এর সঙ্গে চাকরিতে অনিশ্চয়তা, বেতন কেটে নেওয়া বা হুট করে চাকরিচ্যুত হওয়ার মতো বিষয়গুলো চাকরির প্রতি তাদের আগ্রহ দিন দিন কমিয়ে দিয়েছে। আর তারা যখন চাকরির বাজারে প্রবেশ করে তখন এই বিষয়গুলোর কারণে পেশাদার জায়গায় উদ্দীপনার অভাব দেখা দেয়। তবে জেন জি প্রজন্ম যে চাকরির ব্যাপারে পুরোপুরি অনাগ্রহী, সেটিও ঢালাওভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের কথা ভেবে কাজের পরিবেশ তৈরি করতে পারছে বা যেখানে নিজেদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা রয়েছে সেখানে তারা উদ্দীপনা নিয়েই কাজ করছে।
মোটকথা, পুরোনো নিয়ম কানুন যেসব প্রতিষ্ঠানে বহাল আছে, সেগুলোতে এ প্রজন্মের সদস্যরা চাকরি করতে আগ্রহী হচ্ছে না। আর যারা সেসব প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে চাকরিতে ঢুকে গেছে তারা উদ্যমী হতে পারছে না। ফলে তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই হচ্ছে।
যোগাযোগে দক্ষতার অভাব
কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগের বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা পড়তে হয় জেন জি প্রজন্মকে। যেহেতু তাদের বেশির ভাগ বেড়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিমজ্জিত থেকে, তাই মুখোমুখি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছ তাদের। হার্ভার্ড ল স্কুলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়া এক প্রতিবেদনে এর কারণ হিসেব উল্লেখ করা হয় করোনার সময়কে। জেন জি প্রজন্মের পেশাদার জীবন শুরু হয় হোম অফিস অর্থাৎ বাসা থেকে অফিসের মধ্য দিয়ে। প্রায় দুই বছর ঘর থেকে অফিস করার চর্চা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে তাদের যাত্রা শুরু। এটি তাদের যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করেছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে অফিসের নিয়মানুবর্তিতা শেখার সুযোগ না পাওয়ার সেই প্রভাব তাদের মধ্যে রয়ে গেছে।
জীবন শুধু কাজের জন্য নয়
৯টা থেকে ৫টা অফিস করে এক জীবন পার করে দেওয়ার মানসিকতা ধারণ করে না জেন জি প্রজন্ম। তারা চায় জীবনকে উপভোগ করতে, কাজের পরে ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে। শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই যে জীবনে সফল হওয়া সম্ভব, এমন চিন্তায় বিশ্বাসী নয় এ প্রজন্ম। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবন অতিবাহিত করতে চায় তারা। ফলে এ প্রজন্মের মানুষেরা এমন কোথাও কাজ করতে আগ্রহী নয়, যেখানে ব্যক্তিগত জীবন বিষিয়ে উঠবে। জেন জি প্রজন্ম ক্যারিয়ারের অগ্রগতির চেয়ে ব্যক্তিগত সুস্থতা ও মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে বেশি ইচ্ছুক।
জেন জি প্রজন্মকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হলেও তার দোষ পুরোপুরি তাদের নয়। তারা এমন একটা সময়ে বেড়ে উঠেছে যখন বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। অ্যানালগ থেকে সবকিছু ডিজিটাল হতে শুরু করেছে। চাকরিজীবী জীবনের নানান অনিশ্চয়তা দেখেছে তারা। জেন জি প্রজন্ম বিশ্বাস করে, যে প্রতিষ্ঠান তাদের কাজকে উৎসাহ দেয় না তাদের হয়ে কাজ করার চেয়ে জীবনে অনেক কিছু অর্জন করার রয়েছে।
জেন জি প্রজন্মকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তার মানে এই নয় যে তারা ‘বখে যাওয়া প্রজন্ম’। বরং চিরাচরিত কাজের নিয়ম থেকে তারা বের হতে চায়। কর্মস্থলে কর্মীদের বেঁধে রাখার চেয়ে তাদের কাজের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা চায় জেনারেশন জেড প্রজন্মের মানুষেরা।
সূত্র: ফোর্বস ম্যাগাজিন
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশ হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জেন জি প্রজন্মের প্রায় ৬০ শতাংশকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেদনে জেন জি প্রজন্মের এমন অবস্থার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
উদ্দীপনার অভাব
জেন জি প্রজন্ম নিয়ে সাধারণ ধারণা হলো, তাদের মধ্যে উদ্দীপনার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে যারা আশির দশকে জন্মেছে তারা মনে করে, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া জেন জি প্রজন্ম সাফল্য পেতে চায়। কিন্তু চাকরি থেকে তাদের আগ্রহ কমা অথবা চাকরিচ্যুত হওয়ার পেছনে শুধু তাদের দায়ী করলেই হবে না। ২০০৮ থেকে করোনা পর্যন্ত পরিবার ও চারপাশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখেছে জেন জি প্রজন্ম। এর সঙ্গে চাকরিতে অনিশ্চয়তা, বেতন কেটে নেওয়া বা হুট করে চাকরিচ্যুত হওয়ার মতো বিষয়গুলো চাকরির প্রতি তাদের আগ্রহ দিন দিন কমিয়ে দিয়েছে। আর তারা যখন চাকরির বাজারে প্রবেশ করে তখন এই বিষয়গুলোর কারণে পেশাদার জায়গায় উদ্দীপনার অভাব দেখা দেয়। তবে জেন জি প্রজন্ম যে চাকরির ব্যাপারে পুরোপুরি অনাগ্রহী, সেটিও ঢালাওভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের কথা ভেবে কাজের পরিবেশ তৈরি করতে পারছে বা যেখানে নিজেদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা রয়েছে সেখানে তারা উদ্দীপনা নিয়েই কাজ করছে।
মোটকথা, পুরোনো নিয়ম কানুন যেসব প্রতিষ্ঠানে বহাল আছে, সেগুলোতে এ প্রজন্মের সদস্যরা চাকরি করতে আগ্রহী হচ্ছে না। আর যারা সেসব প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে চাকরিতে ঢুকে গেছে তারা উদ্যমী হতে পারছে না। ফলে তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই হচ্ছে।
যোগাযোগে দক্ষতার অভাব
কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগের বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা পড়তে হয় জেন জি প্রজন্মকে। যেহেতু তাদের বেশির ভাগ বেড়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিমজ্জিত থেকে, তাই মুখোমুখি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছ তাদের। হার্ভার্ড ল স্কুলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়া এক প্রতিবেদনে এর কারণ হিসেব উল্লেখ করা হয় করোনার সময়কে। জেন জি প্রজন্মের পেশাদার জীবন শুরু হয় হোম অফিস অর্থাৎ বাসা থেকে অফিসের মধ্য দিয়ে। প্রায় দুই বছর ঘর থেকে অফিস করার চর্চা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে তাদের যাত্রা শুরু। এটি তাদের যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করেছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে অফিসের নিয়মানুবর্তিতা শেখার সুযোগ না পাওয়ার সেই প্রভাব তাদের মধ্যে রয়ে গেছে।
জীবন শুধু কাজের জন্য নয়
৯টা থেকে ৫টা অফিস করে এক জীবন পার করে দেওয়ার মানসিকতা ধারণ করে না জেন জি প্রজন্ম। তারা চায় জীবনকে উপভোগ করতে, কাজের পরে ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে। শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই যে জীবনে সফল হওয়া সম্ভব, এমন চিন্তায় বিশ্বাসী নয় এ প্রজন্ম। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবন অতিবাহিত করতে চায় তারা। ফলে এ প্রজন্মের মানুষেরা এমন কোথাও কাজ করতে আগ্রহী নয়, যেখানে ব্যক্তিগত জীবন বিষিয়ে উঠবে। জেন জি প্রজন্ম ক্যারিয়ারের অগ্রগতির চেয়ে ব্যক্তিগত সুস্থতা ও মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে বেশি ইচ্ছুক।
জেন জি প্রজন্মকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হলেও তার দোষ পুরোপুরি তাদের নয়। তারা এমন একটা সময়ে বেড়ে উঠেছে যখন বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। অ্যানালগ থেকে সবকিছু ডিজিটাল হতে শুরু করেছে। চাকরিজীবী জীবনের নানান অনিশ্চয়তা দেখেছে তারা। জেন জি প্রজন্ম বিশ্বাস করে, যে প্রতিষ্ঠান তাদের কাজকে উৎসাহ দেয় না তাদের হয়ে কাজ করার চেয়ে জীবনে অনেক কিছু অর্জন করার রয়েছে।
জেন জি প্রজন্মকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তার মানে এই নয় যে তারা ‘বখে যাওয়া প্রজন্ম’। বরং চিরাচরিত কাজের নিয়ম থেকে তারা বের হতে চায়। কর্মস্থলে কর্মীদের বেঁধে রাখার চেয়ে তাদের কাজের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা চায় জেনারেশন জেড প্রজন্মের মানুষেরা।
সূত্র: ফোর্বস ম্যাগাজিন
রসুন আমাদের রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ। এর ব্যবহার খাবারের ঘ্রাণ ও স্বাদ যেমন বাড়িয়ে দেয়, তেমনি রয়েছে ঔষধি গুণ। যদিও রসুন সারা বছর পাওয়া যায়। তবে ঝামেলা এড়াতে দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগেপাহাড়, ঝরনা, বন আর স্থানীয় মানুষের বর্ণিল কিন্তু শান্ত জীবনযাপন চিরকালই আকর্ষণ করে এসেছে পর্যটকদের। এ রূপের সঙ্গে রাঙামাটিতে এখন যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন রিসোর্ট। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি এসব রিসোর্ট এখন নজর কাড়ছে সবার। পর্যটকদের জন্য প্রায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এসব জায়গায়। এসব
২০ ঘণ্টা আগেখ্রিষ্টীয় নববর্ষে হবে নতুন নতুন ভ্রমণ পরিকল্পনা। ফলে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হবে নতুন ভ্রমণ ট্রেন্ড। এমএমজিওয়াইয়ের ‘পোর্ট্রেট অব আমেরিকান ট্রাভেলার্স’-এর ফল এডিশন (সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনুসারে, ১০ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৮ জন আগামী ১২ মাসের মধ্যে একবারের জন্য হলেও ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। নতুন গন্তব্যের অন
২০ ঘণ্টা আগেভ্রমণের জন্য নিরাপদ ১৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশন’। এতে এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। তবে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইতালির মতো ভ্রমণবান্ধব দেশগুলোর নাম নেই তালিকায়।
২০ ঘণ্টা আগে