সানজিদা সামরিন, ঢাকা
দুজনের আঁখিবারি, গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা, প্রাণেতে গেল রয়ে।
—দুজনে দেখা হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তা ভেবেই হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। যাঁকে ভালোবাসি, যিনি পাশ কেটে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ঝটকা হাওয়া এসে গায়ে লাগে, হাওয়ায় মিশে থাকে তাঁর সুবাস। জনারণ্যেও যাঁর কণ্ঠ ঠিক এসে কানে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকেই আবার কাছে পেতে মন না চায়! সেখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান দিই যদি, তবে বলতে হবে, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও। হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তদ্দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোটাই গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় এটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য বিনিময়ও হয়। তবে তাঁর চোখমুখের ক্লান্তি ভাব আপনি বুঝে নেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার এ অনুধাবন টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁর চোখে চোখ রেখে এ ব্যাপারটাও আপনি ধরে ফেলেন। হঠাৎ চোখাচোখিতে হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। ভালোবাসার কথা আর না-ই বলি…।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, কিছু কি বোঝানো গেল? তবে যাঁরা বোঝার তাঁরা তো বুঝবেনই। হৃদ্যতার এ পর্যায়টায় প্রেম নিরাপদ। ফোকাস থাকে ব্যক্তি মানুষটিতে। একে অপরকে কাস্টমাইজ করে নেওয়ায় নয়। পাওয়ার দুঃসাহস না করলে হারানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই প্রেম নিবেদন হয়, আর তার কিছু সময় পর আমরা মানুষটাকে গড়ে নিতে চাই নিজের পছন্দের মাল-মসলায়। ঘাঁটাঘাঁটিতে লেগে পড়ি তাঁর অতীত ও ভবিষ্যতের স্তরগুলোয়। প্রেমকে তখন লালনপালনের পর্যায় থেকে নিয়ে যেতে হয় টিকে থাকার পর্যায়ে। তখন ধীরে ধীরে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের সময় আর আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কী নির্মম! কেউ যেন মগজে একটা ইরেজার দিয়ে অনেকখানি মুছে দেয় একসময়কার আরাধ্য মানুষটির নাম, গন্ধ। দিন শেষে পাশাপাশি বালিশে ঘুমালেও ভেতরে-ভেতরে দুজনেই একাকিত্বে ভোগেন। কিন্তু কেন এমন হয়?
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘প্রেম এক কথায় মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরুর দিকে রোমান্টিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। তখন আমরা সম্পূর্ণ মানুষটিকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু সম্পর্কে পরিণতি দেওয়ার সময় এলে তাতে ছেদ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে।’ কী সেই কারণ? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতম পর্যায়ে আমরা ভুলে যাই দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছুই মিলবে না দুজনের। এখানে একে অপরকে গ্রহণ করতে না পারলেই ঝামেলা হয়।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্ক দুজনের, ফলে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনেরই সমান থাকতে হবে। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
তৃতীয়ত, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন অন্যজনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অতিনির্ভরশীল হওয়া যাবে না। প্রতিটি আন্তসম্পর্কে একটি নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখতে হবে। এগুলো সম্পর্কের একটা স্তরে গিয়ে যখন দুজন মানুষ একই রেখায় ভাবতে শুরু করে, তখনকার জন্য।
চতুর্থ, প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটি হলো, আমিও ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি ঠিক কিন্তু তুমি ভুল। এ পর্যায়ে শুধু জীবনসঙ্গীর দোষ ধরবে, সমালোচনা করবে, অসম্মান করবে।
তৃতীয়ত, তুমি ঠিক, আমি ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল হবে, তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে।
চতুর্থত, আমি, তুমি দুজনই ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এগুলো মূলত সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণ। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরও ব্যাপার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়াও উদ্দেশ্য়হীনভাবেও মানুষ প্রেমে পড়ে। এটা বেশ জটিল বিষয়। এ বেলায় নির্দিষ্ট কারও জন্য প্রেম বিষয়টি অনুভূত হয়। দেখা গেল, কোথাও একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হলো। একে অপরকে ভালো লাগার ব্যাপারটি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত নন, ইউটোপিয়ায়ও পাক খাচ্ছেন। এমনকি কাছাকাছি বসে গল্পও করেন মাঝেমধ্যে। পরবর্তী সময়ে চোখের দেখায় বুকে হাতুড়ির ঢিপঢিপ শব্দ চলে। প্রথম ধাপে এটা চলে। সে ক্ষেত্রে ইউটোপিয়া পর্যন্ত এই ভালো লাগাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ বলা চলে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি।/ তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি।’ কিন্তু পরের ধাপে যদি তারা পা রাখে তাহলে কী হবে? ধরলাম ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল তাঁদের। এর পর একে অন্যের সঙ্গে কোথাও দেখা করার এবং সময় কাটানোর ইচ্ছে জাগল। বলে রাখা ভালো, এই ভালো লাগা বা একে অপরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা মনের সীমা অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত পৌঁছে যায় কখনো কখনো। তখন থেকেই ফলাফল শুরু হয়। এখানে যদি প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কে জড়ানো দুজনের একজন দেখলেন বিপরীত দিকের মানুষটি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন, ঘনিষ্ঠ হন। তখন এক ধরনের দ্বন্দ্ব ও যুক্তিতর্ক চলে। দুজনের একজন যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হতে পারে, সংসারে অশান্তি হতে পারে। ক্রমেই সেটা শারীরিক নির্যাতনের দিকে গড়াতে পারে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশ হতে পারেন। ফলে সম্পর্ক নিয়ে এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভাবা দরকার, সম্পর্কটি নিয়ে কত দূর যাবেন, কোথায় গিয়ে থামতে হবে ও কোথা থেকে ফেরত আসতে হবে।
দুজনের আঁখিবারি, গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা, প্রাণেতে গেল রয়ে।
—দুজনে দেখা হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তা ভেবেই হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। যাঁকে ভালোবাসি, যিনি পাশ কেটে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ঝটকা হাওয়া এসে গায়ে লাগে, হাওয়ায় মিশে থাকে তাঁর সুবাস। জনারণ্যেও যাঁর কণ্ঠ ঠিক এসে কানে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকেই আবার কাছে পেতে মন না চায়! সেখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান দিই যদি, তবে বলতে হবে, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও। হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তদ্দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোটাই গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় এটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য বিনিময়ও হয়। তবে তাঁর চোখমুখের ক্লান্তি ভাব আপনি বুঝে নেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার এ অনুধাবন টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁর চোখে চোখ রেখে এ ব্যাপারটাও আপনি ধরে ফেলেন। হঠাৎ চোখাচোখিতে হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। ভালোবাসার কথা আর না-ই বলি…।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, কিছু কি বোঝানো গেল? তবে যাঁরা বোঝার তাঁরা তো বুঝবেনই। হৃদ্যতার এ পর্যায়টায় প্রেম নিরাপদ। ফোকাস থাকে ব্যক্তি মানুষটিতে। একে অপরকে কাস্টমাইজ করে নেওয়ায় নয়। পাওয়ার দুঃসাহস না করলে হারানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই প্রেম নিবেদন হয়, আর তার কিছু সময় পর আমরা মানুষটাকে গড়ে নিতে চাই নিজের পছন্দের মাল-মসলায়। ঘাঁটাঘাঁটিতে লেগে পড়ি তাঁর অতীত ও ভবিষ্যতের স্তরগুলোয়। প্রেমকে তখন লালনপালনের পর্যায় থেকে নিয়ে যেতে হয় টিকে থাকার পর্যায়ে। তখন ধীরে ধীরে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের সময় আর আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কী নির্মম! কেউ যেন মগজে একটা ইরেজার দিয়ে অনেকখানি মুছে দেয় একসময়কার আরাধ্য মানুষটির নাম, গন্ধ। দিন শেষে পাশাপাশি বালিশে ঘুমালেও ভেতরে-ভেতরে দুজনেই একাকিত্বে ভোগেন। কিন্তু কেন এমন হয়?
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘প্রেম এক কথায় মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরুর দিকে রোমান্টিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। তখন আমরা সম্পূর্ণ মানুষটিকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু সম্পর্কে পরিণতি দেওয়ার সময় এলে তাতে ছেদ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে।’ কী সেই কারণ? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতম পর্যায়ে আমরা ভুলে যাই দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছুই মিলবে না দুজনের। এখানে একে অপরকে গ্রহণ করতে না পারলেই ঝামেলা হয়।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্ক দুজনের, ফলে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনেরই সমান থাকতে হবে। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
তৃতীয়ত, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন অন্যজনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অতিনির্ভরশীল হওয়া যাবে না। প্রতিটি আন্তসম্পর্কে একটি নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখতে হবে। এগুলো সম্পর্কের একটা স্তরে গিয়ে যখন দুজন মানুষ একই রেখায় ভাবতে শুরু করে, তখনকার জন্য।
চতুর্থ, প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটি হলো, আমিও ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি ঠিক কিন্তু তুমি ভুল। এ পর্যায়ে শুধু জীবনসঙ্গীর দোষ ধরবে, সমালোচনা করবে, অসম্মান করবে।
তৃতীয়ত, তুমি ঠিক, আমি ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল হবে, তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে।
চতুর্থত, আমি, তুমি দুজনই ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এগুলো মূলত সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণ। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরও ব্যাপার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়াও উদ্দেশ্য়হীনভাবেও মানুষ প্রেমে পড়ে। এটা বেশ জটিল বিষয়। এ বেলায় নির্দিষ্ট কারও জন্য প্রেম বিষয়টি অনুভূত হয়। দেখা গেল, কোথাও একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হলো। একে অপরকে ভালো লাগার ব্যাপারটি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত নন, ইউটোপিয়ায়ও পাক খাচ্ছেন। এমনকি কাছাকাছি বসে গল্পও করেন মাঝেমধ্যে। পরবর্তী সময়ে চোখের দেখায় বুকে হাতুড়ির ঢিপঢিপ শব্দ চলে। প্রথম ধাপে এটা চলে। সে ক্ষেত্রে ইউটোপিয়া পর্যন্ত এই ভালো লাগাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ বলা চলে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি।/ তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি।’ কিন্তু পরের ধাপে যদি তারা পা রাখে তাহলে কী হবে? ধরলাম ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল তাঁদের। এর পর একে অন্যের সঙ্গে কোথাও দেখা করার এবং সময় কাটানোর ইচ্ছে জাগল। বলে রাখা ভালো, এই ভালো লাগা বা একে অপরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা মনের সীমা অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত পৌঁছে যায় কখনো কখনো। তখন থেকেই ফলাফল শুরু হয়। এখানে যদি প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কে জড়ানো দুজনের একজন দেখলেন বিপরীত দিকের মানুষটি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন, ঘনিষ্ঠ হন। তখন এক ধরনের দ্বন্দ্ব ও যুক্তিতর্ক চলে। দুজনের একজন যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হতে পারে, সংসারে অশান্তি হতে পারে। ক্রমেই সেটা শারীরিক নির্যাতনের দিকে গড়াতে পারে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশ হতে পারেন। ফলে সম্পর্ক নিয়ে এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভাবা দরকার, সম্পর্কটি নিয়ে কত দূর যাবেন, কোথায় গিয়ে থামতে হবে ও কোথা থেকে ফেরত আসতে হবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে