অলকানন্দা রায়, ঢাকা
পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় চা। চা-পাতা শরীর ও মনকে যেমন চাঙা করে, তেমনি এর ব্যবহার ত্বকে নিয়ে আসে লাবণ্য। চায়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে কাজ করে। আর তাই ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে চা-পাতা। হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন মৌসুমী জানিয়েছেন ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে চায়ের পাতা।
টোনার হিসেবে
প্রতিদিনের কাজে বাইরে ছোটাছুটিতে ধুলো-ময়লায় আমাদের ত্বক অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে এটাই হতে পারে ত্বকের নানা রকম ক্ষতির কারণ। চা-পাতা দিয়ে খুব সহজেই টোনার তৈরি করে ত্বক পরিষ্কার করা যায়। চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ করে।
ফুটন্ত গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন প্রথমে। তারপর ঠান্ডা হয়ে এলে লিকারে তুলোর বল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বক আলতো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুছে নিতে হবে। অথবা পুরো পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এটি ত্বকে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করবে।
চোখের যত্নে
চোখের চারপাশ কিংবা চোখের পাতা অনিয়মিত ঘুম, ক্লান্তিসহ বিভিন্ন কারণে ফুলে থাকে। এই ফোলা ভাব কমাতে পারে টি ব্যাগ। পূর্বে ব্যবহার করা হয়েছে এমন দুটি টি ব্যাগ বা নতুন একটি টি ব্যাগ নিয়ে সামান্য কুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে ১ থেকে ২ মিনিট। তারপর অতিরিক্ত পানি চেপে ফেলে দিয়ে চোখের ওপর চাপা দিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে চোখের চারপাশের ফোলা ভাব কমে যাবে অনেকটাই। এমনকি চায়ের পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের আশপাশের বলিরেখাও কমাতে সাহায্য করবে।
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে
চায়ে উপস্থিত ট্যানিক অ্যাসিড ত্বকের কালো ভাব দূর করতেও সাহায্য করে। এর জন্য একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ চা-পাতা পানিতে ফোটাতে হবে। এরপর ঠান্ডা হলে এক টুকরো নরম সুতি কাপড় কিংবা তোয়ালে ত্বকের কালচে বা রোদে পুড়ে যাওয়া অংশে চেপে ধরে রাখতে হবে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। এটি কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
ব্রণ দূর করতে
চায়ের লিকার ঠান্ডা করে এতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি বোতলে সংরক্ষণ করা যাবে। এই মিশ্রণে প্রতিদিন তুলো ভিজিয়ে ব্রণের ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখতে হবে। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে ব্রণ হওয়া থেকে ত্বক রক্ষা পাবে।
ফেসপ্যাক তৈরিতে
দুটি ব্যবহৃত গ্রিন টি-ব্যাগ থেকে চা-পাতা বের করে একটি পাত্রে রাখতে হবে। এবার দুই চা-চামচ মধু, আধা চা-চামচ টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। ত্বক শুকিয়ে এলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই ফেসপ্যাক ত্বক দাগহীন রাখবে।
স্ক্রাব হিসেবে
টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে সেগুলো স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য ব্যবহার করা টি ব্যাগ শুকিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর প্যাক খুলে পাতাগুলো বের করে আবার পানি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আলতো হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভেজা মুখ মুছে নিয়ে লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বকের ওপর জমে থাকা ময়লা, মৃত চামড়া, লোমকূপে জমা অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বক করবে সতেজ, উজ্জ্বল।
চুলের বৃদ্ধিতে
চায়ে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’সহ রয়েছে নানা রকম উপকারী উপাদান। এসব উপাদান চুলের বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। দুই কাপ পানিতে চা-পাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করার পর ছেঁকে নিতে হবে। এবার সেই পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। চুল শ্যাম্পু করার পরে এই পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে নিন। এই উপকরণ চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে
চা-পাতা অনেকটা সময় জ্বাল দিয়ে গাঢ় ও ঘন লিকার তৈরি করে নিতে হবে। শ্যাম্পু করার পর এই ঘন লিকার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। চাইলে পানি দিয়ে হালকা করে ধুয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই পানি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে চকচকে ও মোলায়েম। আর এটি যেকোনো ধরনের চুলেই ব্যবহার করা যাবে।
চুল রাঙাতে
সঙ্গে যদি থাকে মেহেদি পাতা তবে চুল রাঙাতে চা-পাতার জুড়ি নেই। চুল রাঙাতে হলে এক টেবিল চামচ চা-পাতা মেহেদি গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর তা চুলে লাগান যেভাবে মেহেদি লাগানো হয় চুলে। এতে পাকা চুল সাময়িক সময়ের জন্য রাঙা হয়ে থাকবে।
পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় চা। চা-পাতা শরীর ও মনকে যেমন চাঙা করে, তেমনি এর ব্যবহার ত্বকে নিয়ে আসে লাবণ্য। চায়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে কাজ করে। আর তাই ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে চা-পাতা। হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন মৌসুমী জানিয়েছেন ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে চায়ের পাতা।
টোনার হিসেবে
প্রতিদিনের কাজে বাইরে ছোটাছুটিতে ধুলো-ময়লায় আমাদের ত্বক অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে এটাই হতে পারে ত্বকের নানা রকম ক্ষতির কারণ। চা-পাতা দিয়ে খুব সহজেই টোনার তৈরি করে ত্বক পরিষ্কার করা যায়। চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ করে।
ফুটন্ত গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন প্রথমে। তারপর ঠান্ডা হয়ে এলে লিকারে তুলোর বল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বক আলতো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুছে নিতে হবে। অথবা পুরো পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এটি ত্বকে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করবে।
চোখের যত্নে
চোখের চারপাশ কিংবা চোখের পাতা অনিয়মিত ঘুম, ক্লান্তিসহ বিভিন্ন কারণে ফুলে থাকে। এই ফোলা ভাব কমাতে পারে টি ব্যাগ। পূর্বে ব্যবহার করা হয়েছে এমন দুটি টি ব্যাগ বা নতুন একটি টি ব্যাগ নিয়ে সামান্য কুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে ১ থেকে ২ মিনিট। তারপর অতিরিক্ত পানি চেপে ফেলে দিয়ে চোখের ওপর চাপা দিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে চোখের চারপাশের ফোলা ভাব কমে যাবে অনেকটাই। এমনকি চায়ের পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের আশপাশের বলিরেখাও কমাতে সাহায্য করবে।
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে
চায়ে উপস্থিত ট্যানিক অ্যাসিড ত্বকের কালো ভাব দূর করতেও সাহায্য করে। এর জন্য একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ চা-পাতা পানিতে ফোটাতে হবে। এরপর ঠান্ডা হলে এক টুকরো নরম সুতি কাপড় কিংবা তোয়ালে ত্বকের কালচে বা রোদে পুড়ে যাওয়া অংশে চেপে ধরে রাখতে হবে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। এটি কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
ব্রণ দূর করতে
চায়ের লিকার ঠান্ডা করে এতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি বোতলে সংরক্ষণ করা যাবে। এই মিশ্রণে প্রতিদিন তুলো ভিজিয়ে ব্রণের ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখতে হবে। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে ব্রণ হওয়া থেকে ত্বক রক্ষা পাবে।
ফেসপ্যাক তৈরিতে
দুটি ব্যবহৃত গ্রিন টি-ব্যাগ থেকে চা-পাতা বের করে একটি পাত্রে রাখতে হবে। এবার দুই চা-চামচ মধু, আধা চা-চামচ টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। ত্বক শুকিয়ে এলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই ফেসপ্যাক ত্বক দাগহীন রাখবে।
স্ক্রাব হিসেবে
টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে সেগুলো স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য ব্যবহার করা টি ব্যাগ শুকিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর প্যাক খুলে পাতাগুলো বের করে আবার পানি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আলতো হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভেজা মুখ মুছে নিয়ে লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বকের ওপর জমে থাকা ময়লা, মৃত চামড়া, লোমকূপে জমা অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বক করবে সতেজ, উজ্জ্বল।
চুলের বৃদ্ধিতে
চায়ে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’সহ রয়েছে নানা রকম উপকারী উপাদান। এসব উপাদান চুলের বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। দুই কাপ পানিতে চা-পাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করার পর ছেঁকে নিতে হবে। এবার সেই পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। চুল শ্যাম্পু করার পরে এই পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে নিন। এই উপকরণ চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে
চা-পাতা অনেকটা সময় জ্বাল দিয়ে গাঢ় ও ঘন লিকার তৈরি করে নিতে হবে। শ্যাম্পু করার পর এই ঘন লিকার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। চাইলে পানি দিয়ে হালকা করে ধুয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই পানি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে চকচকে ও মোলায়েম। আর এটি যেকোনো ধরনের চুলেই ব্যবহার করা যাবে।
চুল রাঙাতে
সঙ্গে যদি থাকে মেহেদি পাতা তবে চুল রাঙাতে চা-পাতার জুড়ি নেই। চুল রাঙাতে হলে এক টেবিল চামচ চা-পাতা মেহেদি গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর তা চুলে লাগান যেভাবে মেহেদি লাগানো হয় চুলে। এতে পাকা চুল সাময়িক সময়ের জন্য রাঙা হয়ে থাকবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৪ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৪ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৪ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৪ দিন আগে