মেহরাব মাসাঈদ হাবিব
ঈদে কেনাকাটার তালিকায় যেমন থাকে জামাকাপড়, তেমনই অনেক শৌখিন মানুষের তালিকায় থাকে নতুন মোটরবাইক। কেউবা জমানো টাকায়, কেউবা ঈদের বোনাস পেয়েই কিনে ফেলেন পছন্দের ঝকঝকে একখানা মোটরবাইক। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সব বাইক সবার জন্য নয়। ছাত্ররা যে বাইক কিনবেন, তা হয়তো একজন মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী কিনবেন না। আবার চাকরিজীবীদের পছন্দের বাইক নারী বাইকার বা বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো তরুনদের ভালো না-ও লাগতে পারে। তাই কম দামে কিংবা টাকা আছে বলে বেশি দামে বাইক কিনবেন না। কোন কাজে বাইক ব্যবহার করবেন, আগে সেটা ভাবুন। তারপর বাজেট করুন।
আমাদের দেশে কমিউটার বাইক, প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি বাইক, স্পোর্টস বাইক ও ক্রুজার বাইক—মোটামুটি এ চার ধরনের বাইক রয়েছে। অবশ্য এর বাইরেও কয়েকটি রকমফের রয়েছে।
কমিউটার বাইক
প্রতিদিন সাধারণত যে বাইকগুলো আমরা ব্যবহার করি, সেগুলো কমিউটার বাইক। এগুলো আরামদায়ক ও তেলসাশ্রয়ী। ইঞ্জিন সাধারণত ৮০ থেকে ১২৫ সিসি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কমিউটার বাইকের মধ্যে একটু কেতাদুরস্তগুলো প্রিমিয়াম কমিউটার। ইঞ্জিনের শক্তি একই হলেও সৌন্দর্যের কারণে কমিউটারের চেয়ে এগুলোর দাম একটু বেশি। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ অপেক্ষাকৃত সহজ। রাস্তায় চলাচলকারী মোটরবাইকগুলোর বেশির ভাগই কমিউটার ক্যাটাগরির বাইক।
কেনার সময় বিবেচনায় রাখুন
প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি বাইক
১৫০ থেকে ১৬০ সিসি ইঞ্জিনের বাইকগুলো সাধারণত প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির বাইক। ইয়ামাহা ফেজার ও এফ জেড, সুজুকি জিক্সার ও জিক্সার এস এফ, টিভিএস অ্যাপাচি ১৫০ ও ১৬০, বাজাজ পালসার ও পালসার এন এস, হিরো হাঙ্ক, হোন্ডা হর্নেট—এগুলো জনপ্রিয় প্রিমিয়াম বাইক। এগুলো দেবে শক্তিশালী ইঞ্জিন, নিয়ন্ত্রণ আর গতির উদ্দামতা। তেল খরচের দিক থেকে অবশ্য এগুলোর খরচ কমিউটার বাইকের তুলনায় বেশি। দামও একটু বেশি।
স্পোর্টস বাইক
টিভিতে দেখা বাইকের রেসে যে বাইকগুলো ব্যবহার হয় সেগুলোই স্পোর্টস বাইক। আমাদের দেশে বাইকের সিসির সীমাবদ্ধতা থাকায় আসল স্পোর্টস বাইক পাওয়া যায় না। তবে একই রকম দেখতে এবং সিসি সীমার মধ্যে শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি বেশ কিছু বাইক বাজারে আছে। যেমন, ইয়ামাহার ভি১৫–এর বিভিন্ন সংস্করণ এবং হোন্ডা সিবিআর ১৫০-এর কিছু সংস্করণ। এর বাইরে চায়নিজ কোম্পানি লিফানও এ ধরনের বাইক বাজারে এনেছে।
শক্তিশালী ইঞ্জিন, মসৃণ গিয়ার পরিবর্তন, কেতাদুরস্ত স্পোর্টিংশৈলীর এই বাইকগুলো আপনাকে দেবে একজন রেসারের অনুভূতি। বাইকগুলো তেল খরচ ও দামের দিক থেকে বেশ ওপরের দিকে। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ যত্ন নিয়ে করতে হবে। দাম ৩ থেকে ৫ বা ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
ক্রুজার বাইক
বেশ বড় আকারের ভারী ফ্রেম আর আরামদায়ক বসার ব্যবস্থাসহ যে বাইকগুলো দেখা যায় আমাদের দেশে, সেগুলোই ক্রুজার বাইক। এ বাইকগুলো আপনাকে দেবে আরামদায়ক যাত্রার অনুভূতি। জনপ্রিয় ক্রুজার বাইকের মধ্যে আছে সুজুকি ইন্ট্রুডার, রিগাল র্যাপ্টর, ইউ এম কমান্ডার।
চাকরিজীবী ও ছাত্রদের জন্য
বাইক কেনার সঙ্গে যেমন অর্থনৈতিক সংগতি দরকার, তেমনি দরকার প্রয়োজনের দিক বিবেচনা করা। ফলে শুধু বাইকের দাম কম দেখে বা সামর্থ্য আছে বলেই দামি বাইক কিনবেন না। এমনও হতে পারে, আপনি কম দামে একটি বাইক কিনলেন, কিন্তু কেন কিনলেন সেটা না জানার জন্য আপনার বাইক কেনার পর খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে। তখন কম টাকায় বাইক কেনার পরও আপনার প্রয়োজন মিটবে না। তাই শুধু দাম কম দেখেই বাইক কিনে ফেললে হবে না। আবার শুধু ফ্যান্সি ডিজাইন দেখে বাইক কিনে ফেললেই হবে না। হয়তো বাইকটা ফ্যান্সি ডিজাইনের, কিন্তু দেখা গেল সেটি অলিগলিতে ঢোকানো যায় না। সে ক্ষেত্রে বাইকটি যতই ফ্যান্সি হোক, কিনে লাভ নেই।
চাকরিজীবীদের জন্য এ দেশের জনপ্রিয় কিছু বাইকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রানার বুলেট, রানার টার্বো ১২৫, হোন্ডা লিভো, হিরো গ্লামার, বাজাজ ডিসকোভার, টিভিএস স্ট্রাইকার ইত্যাদি। এই সব বাইকই ১০০ থেকে ১২৫ সিসির মধ্যে, টপ স্পিড ১০০ থেকে ১০৫ কিলোমিটারের মধ্যে এবং দাম ৯১ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে বা একটু এদিক সেদিক।
নারীদের জন্য বাইক
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এখন শহরের রাস্তায় বাইক চালাচ্ছেন। আমাদের দেশে নারীদের কাছে সাধারণত জনপ্রিয় বাইক হলো রানার স্কুটি। এ ছাড়া আছে রানার কাইট প্লাস, ভেসপা, হোন্ডা ডিও, টিভিএস রকজ।
রানার স্কুটি ১০৪ সিসি ইঞ্জিনের। এই স্কুটিটির দাম ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। এটি নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও দামের দিক থেকে অবশ্য রানার কাইট প্লাস এগিয়ে রয়েছে। ১১০ সিসির এই বাইকটির মূল্য ৯১ হাজার টাকা। টিভিএস রকজ, ১২৫ সিসি ইঞ্জিনের এই বাইকটির দাম একটু বেশি হলেও পারফরম্যান্স এবং অন্য বিষয়গুলো বেশ ভালো।
লেখক: ফাউন্ডার ও সিইও, বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস
ঈদে কেনাকাটার তালিকায় যেমন থাকে জামাকাপড়, তেমনই অনেক শৌখিন মানুষের তালিকায় থাকে নতুন মোটরবাইক। কেউবা জমানো টাকায়, কেউবা ঈদের বোনাস পেয়েই কিনে ফেলেন পছন্দের ঝকঝকে একখানা মোটরবাইক। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সব বাইক সবার জন্য নয়। ছাত্ররা যে বাইক কিনবেন, তা হয়তো একজন মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী কিনবেন না। আবার চাকরিজীবীদের পছন্দের বাইক নারী বাইকার বা বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো তরুনদের ভালো না-ও লাগতে পারে। তাই কম দামে কিংবা টাকা আছে বলে বেশি দামে বাইক কিনবেন না। কোন কাজে বাইক ব্যবহার করবেন, আগে সেটা ভাবুন। তারপর বাজেট করুন।
আমাদের দেশে কমিউটার বাইক, প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি বাইক, স্পোর্টস বাইক ও ক্রুজার বাইক—মোটামুটি এ চার ধরনের বাইক রয়েছে। অবশ্য এর বাইরেও কয়েকটি রকমফের রয়েছে।
কমিউটার বাইক
প্রতিদিন সাধারণত যে বাইকগুলো আমরা ব্যবহার করি, সেগুলো কমিউটার বাইক। এগুলো আরামদায়ক ও তেলসাশ্রয়ী। ইঞ্জিন সাধারণত ৮০ থেকে ১২৫ সিসি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কমিউটার বাইকের মধ্যে একটু কেতাদুরস্তগুলো প্রিমিয়াম কমিউটার। ইঞ্জিনের শক্তি একই হলেও সৌন্দর্যের কারণে কমিউটারের চেয়ে এগুলোর দাম একটু বেশি। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ অপেক্ষাকৃত সহজ। রাস্তায় চলাচলকারী মোটরবাইকগুলোর বেশির ভাগই কমিউটার ক্যাটাগরির বাইক।
কেনার সময় বিবেচনায় রাখুন
প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি বাইক
১৫০ থেকে ১৬০ সিসি ইঞ্জিনের বাইকগুলো সাধারণত প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির বাইক। ইয়ামাহা ফেজার ও এফ জেড, সুজুকি জিক্সার ও জিক্সার এস এফ, টিভিএস অ্যাপাচি ১৫০ ও ১৬০, বাজাজ পালসার ও পালসার এন এস, হিরো হাঙ্ক, হোন্ডা হর্নেট—এগুলো জনপ্রিয় প্রিমিয়াম বাইক। এগুলো দেবে শক্তিশালী ইঞ্জিন, নিয়ন্ত্রণ আর গতির উদ্দামতা। তেল খরচের দিক থেকে অবশ্য এগুলোর খরচ কমিউটার বাইকের তুলনায় বেশি। দামও একটু বেশি।
স্পোর্টস বাইক
টিভিতে দেখা বাইকের রেসে যে বাইকগুলো ব্যবহার হয় সেগুলোই স্পোর্টস বাইক। আমাদের দেশে বাইকের সিসির সীমাবদ্ধতা থাকায় আসল স্পোর্টস বাইক পাওয়া যায় না। তবে একই রকম দেখতে এবং সিসি সীমার মধ্যে শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি বেশ কিছু বাইক বাজারে আছে। যেমন, ইয়ামাহার ভি১৫–এর বিভিন্ন সংস্করণ এবং হোন্ডা সিবিআর ১৫০-এর কিছু সংস্করণ। এর বাইরে চায়নিজ কোম্পানি লিফানও এ ধরনের বাইক বাজারে এনেছে।
শক্তিশালী ইঞ্জিন, মসৃণ গিয়ার পরিবর্তন, কেতাদুরস্ত স্পোর্টিংশৈলীর এই বাইকগুলো আপনাকে দেবে একজন রেসারের অনুভূতি। বাইকগুলো তেল খরচ ও দামের দিক থেকে বেশ ওপরের দিকে। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ যত্ন নিয়ে করতে হবে। দাম ৩ থেকে ৫ বা ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
ক্রুজার বাইক
বেশ বড় আকারের ভারী ফ্রেম আর আরামদায়ক বসার ব্যবস্থাসহ যে বাইকগুলো দেখা যায় আমাদের দেশে, সেগুলোই ক্রুজার বাইক। এ বাইকগুলো আপনাকে দেবে আরামদায়ক যাত্রার অনুভূতি। জনপ্রিয় ক্রুজার বাইকের মধ্যে আছে সুজুকি ইন্ট্রুডার, রিগাল র্যাপ্টর, ইউ এম কমান্ডার।
চাকরিজীবী ও ছাত্রদের জন্য
বাইক কেনার সঙ্গে যেমন অর্থনৈতিক সংগতি দরকার, তেমনি দরকার প্রয়োজনের দিক বিবেচনা করা। ফলে শুধু বাইকের দাম কম দেখে বা সামর্থ্য আছে বলেই দামি বাইক কিনবেন না। এমনও হতে পারে, আপনি কম দামে একটি বাইক কিনলেন, কিন্তু কেন কিনলেন সেটা না জানার জন্য আপনার বাইক কেনার পর খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে। তখন কম টাকায় বাইক কেনার পরও আপনার প্রয়োজন মিটবে না। তাই শুধু দাম কম দেখেই বাইক কিনে ফেললে হবে না। আবার শুধু ফ্যান্সি ডিজাইন দেখে বাইক কিনে ফেললেই হবে না। হয়তো বাইকটা ফ্যান্সি ডিজাইনের, কিন্তু দেখা গেল সেটি অলিগলিতে ঢোকানো যায় না। সে ক্ষেত্রে বাইকটি যতই ফ্যান্সি হোক, কিনে লাভ নেই।
চাকরিজীবীদের জন্য এ দেশের জনপ্রিয় কিছু বাইকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রানার বুলেট, রানার টার্বো ১২৫, হোন্ডা লিভো, হিরো গ্লামার, বাজাজ ডিসকোভার, টিভিএস স্ট্রাইকার ইত্যাদি। এই সব বাইকই ১০০ থেকে ১২৫ সিসির মধ্যে, টপ স্পিড ১০০ থেকে ১০৫ কিলোমিটারের মধ্যে এবং দাম ৯১ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে বা একটু এদিক সেদিক।
নারীদের জন্য বাইক
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এখন শহরের রাস্তায় বাইক চালাচ্ছেন। আমাদের দেশে নারীদের কাছে সাধারণত জনপ্রিয় বাইক হলো রানার স্কুটি। এ ছাড়া আছে রানার কাইট প্লাস, ভেসপা, হোন্ডা ডিও, টিভিএস রকজ।
রানার স্কুটি ১০৪ সিসি ইঞ্জিনের। এই স্কুটিটির দাম ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। এটি নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও দামের দিক থেকে অবশ্য রানার কাইট প্লাস এগিয়ে রয়েছে। ১১০ সিসির এই বাইকটির মূল্য ৯১ হাজার টাকা। টিভিএস রকজ, ১২৫ সিসি ইঞ্জিনের এই বাইকটির দাম একটু বেশি হলেও পারফরম্যান্স এবং অন্য বিষয়গুলো বেশ ভালো।
লেখক: ফাউন্ডার ও সিইও, বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস
বলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
১ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
১ দিন আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
১ দিন আগে