অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীতে মুদ্রার ধারণা উদ্ভাবনের আগে প্রচলন ছিল বিনিময় প্রথার। এক পণ্য বা সেবার বিনিময়ে আরেকটি পণ্য বা সেবা পাওয়া যেত। পরবর্তীকালে লেনদেনের জন্য মুদ্রা হিসেবে খাদ্যপণ্য, হাড়, পাথর, ধাতু ইত্যাদির ব্যবহার শুরু হয়। রোমান সাম্রাজ্যে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো লবণ।
ঐতিহাসিকভাবে রোমান সাম্রাজ্যকে সবচেয়ে প্রভাবশালী সভ্যতা হিসেবে দেখার একটি প্রধান কারণ হলো—দেশটির সেনাবাহিনীর দক্ষতা। রোমান সেনাদের ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো বেতনও দেওয়া হতো। তখন অর্থ প্রদানের একটি মাধ্যম ছিল লবণ। সেই সময় লবণ ছিল অপ্রতুল, ফলে মূল্যবানও ছিল। পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে লবণ ব্যবহার করা হতো।
লাতিন শব্দ ‘স্যালেরিয়াম’ থেকে ইংরেজি ‘স্যালারি’ (বেতন) শব্দটি এসেছে। স্যালেরিয়াম শব্দটির মূলে রয়েছে ‘sal’ যার অর্থ লবণ। রোমান সেনাদের বেতন হিসেবে লবণ দেওয়া হতো, যা ‘স্যালেরিয়াম আর্জেন্টাম’ নামে পরিচিত। সেনারা রেশন সংরক্ষণে লবণ ব্যবহার করতেন। এটি খাবারের পচন রোধ করত। এর মাধ্যমে দীর্ঘযাত্রায় সেনারা নিজেদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা মেটাতে পারতেন।
সে সময় লবণ এত মূল্যবান কেন ছিল, তা জানার জন্য প্রাচীন সভ্যতার জীবনধারাকে বুঝতে হবে। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই লবণ ব্যবহার করা হতো না। এটি খাবার সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে মাংস ও মাছ সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করা হতো। খাবার সংরক্ষণের আর বিকল্প কোনো উপায় তখনো উদ্ভাবিত হয়নি। ফলে তীব্র শীতে ও দীর্ঘ ভ্রমণের সময় পুরো সম্প্রদায়ের বেঁচে থাকা লবণের ওপর নির্ভর করত।
রোমান সমাজে সেনাবাহিনীর বাইরেও মূল্যবান ছিল লবণ। এটি খাদ্য সংরক্ষণের অপরিহার্য উপাদানের পাশাপাশি বিলাসিতারও প্রতীক ছিল। ধনী ব্যক্তিরা প্রায়ই সামাজিক মর্যাদা ও সম্পদ প্রদর্শন করার জন্য অস্বাভাবিক লবণাক্ত ভোজের আয়োজন করতেন।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আচার ও ঐতিহ্যেও লবণের গুরুত্ব রয়েছে। অনেক সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধতা, সুরক্ষা ও আতিথেয়তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় লবণ। প্রায়ই বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই উপাদান। যেমন—খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের আশীর্বাদের সময় লবণের ব্যবহার দেখা যায়।
মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার শুধু রোমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিশ্বের অন্যান্য অংশে লবণ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
সমাজ যেমন উন্নত হয়েছে, তেমনি তাদের মুদ্রার ধারণাও উন্নত হয়েছে। বহনযোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা থেকে মুদ্রার প্রচলন হয়। পরবর্তীকালে কাগজের ব্যবহার শুরু হলে অর্থ হিসেবে কাগজের টাকার প্রচলন হয়। বিনিময়ের একটি প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে ধীরে ধীরে লবণ তার মর্যাদা হারিয়েছে। তবে দৈনন্দিন জীবনে রান্নার জন্য লবণ একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে রয়েছে।
মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার ঐতিহাসিক নথিতেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়; ভাষা ও সংস্কৃতিতেও বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। রোমান সেনাদের বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে লবণের ব্যবহার থেকে ‘ওয়ার্থ ওয়ানস সল্ট’ প্রবাদটি এসেছে। এটি এমন কাউকে বোঝায় যে বেতন পাওয়ার যোগ্য একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী।
অর্থ হিসেবে লবণের ধারণাটি আধুনিক সমাজের প্রেক্ষাপটে অদ্ভুত মনে হতে পারে। তবে প্রাচীন সভ্যতার জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করলে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে লবণের ব্যবহারিক মূল্য ও তাৎপর্য বোঝা যায়। এটি প্রাচীন রোমান সভ্যতার শক্তিমত্তার প্রতীক। সেনাবাহিনীকে টিকিয়ে রাখার একটি উপায় ও দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
পৃথিবীতে মুদ্রার ধারণা উদ্ভাবনের আগে প্রচলন ছিল বিনিময় প্রথার। এক পণ্য বা সেবার বিনিময়ে আরেকটি পণ্য বা সেবা পাওয়া যেত। পরবর্তীকালে লেনদেনের জন্য মুদ্রা হিসেবে খাদ্যপণ্য, হাড়, পাথর, ধাতু ইত্যাদির ব্যবহার শুরু হয়। রোমান সাম্রাজ্যে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো লবণ।
ঐতিহাসিকভাবে রোমান সাম্রাজ্যকে সবচেয়ে প্রভাবশালী সভ্যতা হিসেবে দেখার একটি প্রধান কারণ হলো—দেশটির সেনাবাহিনীর দক্ষতা। রোমান সেনাদের ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো বেতনও দেওয়া হতো। তখন অর্থ প্রদানের একটি মাধ্যম ছিল লবণ। সেই সময় লবণ ছিল অপ্রতুল, ফলে মূল্যবানও ছিল। পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে লবণ ব্যবহার করা হতো।
লাতিন শব্দ ‘স্যালেরিয়াম’ থেকে ইংরেজি ‘স্যালারি’ (বেতন) শব্দটি এসেছে। স্যালেরিয়াম শব্দটির মূলে রয়েছে ‘sal’ যার অর্থ লবণ। রোমান সেনাদের বেতন হিসেবে লবণ দেওয়া হতো, যা ‘স্যালেরিয়াম আর্জেন্টাম’ নামে পরিচিত। সেনারা রেশন সংরক্ষণে লবণ ব্যবহার করতেন। এটি খাবারের পচন রোধ করত। এর মাধ্যমে দীর্ঘযাত্রায় সেনারা নিজেদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা মেটাতে পারতেন।
সে সময় লবণ এত মূল্যবান কেন ছিল, তা জানার জন্য প্রাচীন সভ্যতার জীবনধারাকে বুঝতে হবে। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই লবণ ব্যবহার করা হতো না। এটি খাবার সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে মাংস ও মাছ সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করা হতো। খাবার সংরক্ষণের আর বিকল্প কোনো উপায় তখনো উদ্ভাবিত হয়নি। ফলে তীব্র শীতে ও দীর্ঘ ভ্রমণের সময় পুরো সম্প্রদায়ের বেঁচে থাকা লবণের ওপর নির্ভর করত।
রোমান সমাজে সেনাবাহিনীর বাইরেও মূল্যবান ছিল লবণ। এটি খাদ্য সংরক্ষণের অপরিহার্য উপাদানের পাশাপাশি বিলাসিতারও প্রতীক ছিল। ধনী ব্যক্তিরা প্রায়ই সামাজিক মর্যাদা ও সম্পদ প্রদর্শন করার জন্য অস্বাভাবিক লবণাক্ত ভোজের আয়োজন করতেন।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আচার ও ঐতিহ্যেও লবণের গুরুত্ব রয়েছে। অনেক সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধতা, সুরক্ষা ও আতিথেয়তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় লবণ। প্রায়ই বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই উপাদান। যেমন—খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের আশীর্বাদের সময় লবণের ব্যবহার দেখা যায়।
মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার শুধু রোমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিশ্বের অন্যান্য অংশে লবণ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
সমাজ যেমন উন্নত হয়েছে, তেমনি তাদের মুদ্রার ধারণাও উন্নত হয়েছে। বহনযোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা থেকে মুদ্রার প্রচলন হয়। পরবর্তীকালে কাগজের ব্যবহার শুরু হলে অর্থ হিসেবে কাগজের টাকার প্রচলন হয়। বিনিময়ের একটি প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে ধীরে ধীরে লবণ তার মর্যাদা হারিয়েছে। তবে দৈনন্দিন জীবনে রান্নার জন্য লবণ একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে রয়েছে।
মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার ঐতিহাসিক নথিতেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়; ভাষা ও সংস্কৃতিতেও বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। রোমান সেনাদের বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে লবণের ব্যবহার থেকে ‘ওয়ার্থ ওয়ানস সল্ট’ প্রবাদটি এসেছে। এটি এমন কাউকে বোঝায় যে বেতন পাওয়ার যোগ্য একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী।
অর্থ হিসেবে লবণের ধারণাটি আধুনিক সমাজের প্রেক্ষাপটে অদ্ভুত মনে হতে পারে। তবে প্রাচীন সভ্যতার জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করলে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে লবণের ব্যবহারিক মূল্য ও তাৎপর্য বোঝা যায়। এটি প্রাচীন রোমান সভ্যতার শক্তিমত্তার প্রতীক। সেনাবাহিনীকে টিকিয়ে রাখার একটি উপায় ও দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে