শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন মানুষের জীবন দিন দিন সহজতর করে দিচ্ছে। উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। এর অগ্রগতির সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন যাপনও। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্মার্ট হোমের ধারণা।
একটি স্মার্ট হোমের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি স্মার্ট শোয়ার ঘর। নিজের শোয়ার ঘরকে আরামদায়ক ও তুলনামূলক সুবিধাজনক করতে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন। সুন্দর, পরিপাটি জায়গা হিসেবে এটিকে আরামদায়ক করতে পারে চমৎকার কিছু বেডরুম গ্যাজেট। ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা থেকে শুরু করে শোয়ার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি সবই এখন সম্ভব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমারোহে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন শপে পাওয়া যায় এ সমস্ত বেডরুম গ্যাজেট।
এলেক্সা
ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করা বা খোলা থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে দেওয়া কিংবা জ্বালানো, ফ্যান, এসি চালু বা বন্ধ করা, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সকালে ঘুম থেকে জাগানো, ঘুমের সময় প্রশান্তিদায়ক সংগীত বাজানো সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব একটি ডিভাইস থেকেই।
ঘরের সাধারণ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনলাইনে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি ডিভাইস এখন বেশ কম দামেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যান, এসি ইত্যাদির সঙ্গে এই বাড়তি ডিভাইস যুক্ত করার পর ঘরের সব যন্ত্রপাতি একটি যন্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর ডিভাইস হচ্ছে এলেক্সা।
এলেক্সা মূলত একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। অ্যামাজন ইকো, অ্যামাজন এলেক্সা কিংবা শুধু এলেক্সা—যে নামেই ডাকুন না কেন, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি শয়নকক্ষে আপনার জীবনকে আরেকটু সহজ করে তোলার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
এর জন্য দরকার শুধু ইন্টারনেট সংযোগ। দু–চারটি শব্দ দিয়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েই প্রায় সব কাজ করিয়ে নিতে পারবেন এই ডিভাইসটি দিয়ে।
অটোমেটিক এয়ার ফ্রেশনার
কেবল ঘামের দুর্গন্ধ সরিয়ে সারা দিন সৌরভ ছড়ানোই নয়, সুগন্ধির রয়েছে আরও নানা গুণ। সুগন্ধী মানুষের মনকে রাখে ফুরফুরে। একই সঙ্গে রুচি আর ব্যক্তিত্বও জানান দেয় এটি। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ি ফিরে বদ্ধ ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ পছন্দ নয় কারওরই। আপনার শোয়ার ঘরের এ সমস্যা দূর করতে পারে একটি অটোমেটিক এয়ার ফ্রেশনার।
অটোমেটিক এয়ার ফ্রেশনার নিয়মিত বিরতিতে ঘরে সুগন্ধি ছড়াতে থাকে। এতে সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করার সুবিধা আছে। যাতে শয়নকক্ষে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
স্লিপ ট্র্যাকার
দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থেকেও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া একটি বড় সমস্যা। নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় তৈরি হয় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতা। ঠিক কোন কারণে ঘুম হচ্ছে না বা ঘুম নিয়ন্ত্রণে কী করা প্রয়োজন তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। এমন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে অত্যাধুনিক স্লিপ ট্র্যাকার। এই ডিভাইস ব্যবহারকারীর ঘুমের সময় ও মান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। এসব তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্লিপ ট্র্যাকার এও বলে দেয় যে, রাতের কোন সময়ে ব্যবহারকারী ঘুমের কোন স্তরে ছিলেন, ঘুমে কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছিল, সে স্তরের দৈর্ঘ্য কতটুকু হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি। আর এসব তথ্য থেকে ব্যবহারকারী জানতে পারেন ঘুমের মান উন্নয়নে তাঁর কী করা উচিত।
মোশন অ্যাক্টিভেটেড বেড লাইট
আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ার পর কোনো কারণে আবার আলো জ্বালানোর প্রয়োজন হতে পারে। বড়রা অন্ধকারে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিতে পারলেও সমস্যায় পড়ে শিশুরা। এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে মোশন অ্যাক্টিভেটেড বেড লাইট নামের একটি স্মার্ট গ্যাজেট। এটির সঙ্গে যুক্ত বাতিগুলো লাগানো থাকে বিছানার নিচের অংশে। কেউ বিছানা থেকে নামলে নড়াচড়া শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিছানার পাশের ওই স্মার্ট বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেয় এই প্রযুক্তি। এ বাতিগুলোর আলো থাকে সহনীয় মাত্রার। এটি কেবল মেঝে আলোকিত করে বলে এক ঘরে একাধিক মানুষ ঘুমালেও বাকিদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে না।
অ্যান্টি স্নোর পিলো
স্মার্ট অ্যান্টি-স্নোর পিলো।, শোয়ার ঘরে প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি নাক ডাকা রোধে সহায়তা করে। সাধারণত কোনো কেউ নাক ডাকতে শুরু করলে তাঁকে হালকা ধাক্কা দিলেই বন্ধ হয়ে যায়। তাই বলে নিজের ঘুম হারাম করে সারা রাত অন্যকে ধাক্কা দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া তো সম্ভব না, খুবই বিরক্তির কাজ! আর এই বিরক্তি থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করতে পারেন আধুনিক বেডরুম গ্যাজেট অ্যান্টি স্নোর পিলো।
এই বালিশের ওপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তি নাক ডাকতে শুরু করলেই বালিশটির স্মার্ট সেন্সর সেটি শনাক্ত করে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর ভেতরে থাকা একটি ছোট এয়ারব্যাগ থেকে বাতাস বের হয়ে যায়। এতে ঘুমন্ত ব্যক্তি খানিকটা ঝাঁকুনি অনুভব করেন এবং নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। ফলে নাক ডাকাও বন্ধ হয়।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন মানুষের জীবন দিন দিন সহজতর করে দিচ্ছে। উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। এর অগ্রগতির সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন যাপনও। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্মার্ট হোমের ধারণা।
একটি স্মার্ট হোমের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি স্মার্ট শোয়ার ঘর। নিজের শোয়ার ঘরকে আরামদায়ক ও তুলনামূলক সুবিধাজনক করতে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন। সুন্দর, পরিপাটি জায়গা হিসেবে এটিকে আরামদায়ক করতে পারে চমৎকার কিছু বেডরুম গ্যাজেট। ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা থেকে শুরু করে শোয়ার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি সবই এখন সম্ভব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমারোহে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন শপে পাওয়া যায় এ সমস্ত বেডরুম গ্যাজেট।
এলেক্সা
ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করা বা খোলা থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে দেওয়া কিংবা জ্বালানো, ফ্যান, এসি চালু বা বন্ধ করা, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সকালে ঘুম থেকে জাগানো, ঘুমের সময় প্রশান্তিদায়ক সংগীত বাজানো সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব একটি ডিভাইস থেকেই।
ঘরের সাধারণ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনলাইনে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি ডিভাইস এখন বেশ কম দামেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যান, এসি ইত্যাদির সঙ্গে এই বাড়তি ডিভাইস যুক্ত করার পর ঘরের সব যন্ত্রপাতি একটি যন্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর ডিভাইস হচ্ছে এলেক্সা।
এলেক্সা মূলত একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। অ্যামাজন ইকো, অ্যামাজন এলেক্সা কিংবা শুধু এলেক্সা—যে নামেই ডাকুন না কেন, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি শয়নকক্ষে আপনার জীবনকে আরেকটু সহজ করে তোলার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
এর জন্য দরকার শুধু ইন্টারনেট সংযোগ। দু–চারটি শব্দ দিয়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েই প্রায় সব কাজ করিয়ে নিতে পারবেন এই ডিভাইসটি দিয়ে।
অটোমেটিক এয়ার ফ্রেশনার
কেবল ঘামের দুর্গন্ধ সরিয়ে সারা দিন সৌরভ ছড়ানোই নয়, সুগন্ধির রয়েছে আরও নানা গুণ। সুগন্ধী মানুষের মনকে রাখে ফুরফুরে। একই সঙ্গে রুচি আর ব্যক্তিত্বও জানান দেয় এটি। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ি ফিরে বদ্ধ ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ পছন্দ নয় কারওরই। আপনার শোয়ার ঘরের এ সমস্যা দূর করতে পারে একটি অটোমেটিক এয়ার ফ্রেশনার।
অটোমেটিক এয়ার ফ্রেশনার নিয়মিত বিরতিতে ঘরে সুগন্ধি ছড়াতে থাকে। এতে সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করার সুবিধা আছে। যাতে শয়নকক্ষে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
স্লিপ ট্র্যাকার
দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থেকেও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া একটি বড় সমস্যা। নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় তৈরি হয় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতা। ঠিক কোন কারণে ঘুম হচ্ছে না বা ঘুম নিয়ন্ত্রণে কী করা প্রয়োজন তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। এমন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে অত্যাধুনিক স্লিপ ট্র্যাকার। এই ডিভাইস ব্যবহারকারীর ঘুমের সময় ও মান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। এসব তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্লিপ ট্র্যাকার এও বলে দেয় যে, রাতের কোন সময়ে ব্যবহারকারী ঘুমের কোন স্তরে ছিলেন, ঘুমে কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছিল, সে স্তরের দৈর্ঘ্য কতটুকু হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি। আর এসব তথ্য থেকে ব্যবহারকারী জানতে পারেন ঘুমের মান উন্নয়নে তাঁর কী করা উচিত।
মোশন অ্যাক্টিভেটেড বেড লাইট
আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ার পর কোনো কারণে আবার আলো জ্বালানোর প্রয়োজন হতে পারে। বড়রা অন্ধকারে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিতে পারলেও সমস্যায় পড়ে শিশুরা। এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে মোশন অ্যাক্টিভেটেড বেড লাইট নামের একটি স্মার্ট গ্যাজেট। এটির সঙ্গে যুক্ত বাতিগুলো লাগানো থাকে বিছানার নিচের অংশে। কেউ বিছানা থেকে নামলে নড়াচড়া শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিছানার পাশের ওই স্মার্ট বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেয় এই প্রযুক্তি। এ বাতিগুলোর আলো থাকে সহনীয় মাত্রার। এটি কেবল মেঝে আলোকিত করে বলে এক ঘরে একাধিক মানুষ ঘুমালেও বাকিদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে না।
অ্যান্টি স্নোর পিলো
স্মার্ট অ্যান্টি-স্নোর পিলো।, শোয়ার ঘরে প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি নাক ডাকা রোধে সহায়তা করে। সাধারণত কোনো কেউ নাক ডাকতে শুরু করলে তাঁকে হালকা ধাক্কা দিলেই বন্ধ হয়ে যায়। তাই বলে নিজের ঘুম হারাম করে সারা রাত অন্যকে ধাক্কা দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া তো সম্ভব না, খুবই বিরক্তির কাজ! আর এই বিরক্তি থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করতে পারেন আধুনিক বেডরুম গ্যাজেট অ্যান্টি স্নোর পিলো।
এই বালিশের ওপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তি নাক ডাকতে শুরু করলেই বালিশটির স্মার্ট সেন্সর সেটি শনাক্ত করে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর ভেতরে থাকা একটি ছোট এয়ারব্যাগ থেকে বাতাস বের হয়ে যায়। এতে ঘুমন্ত ব্যক্তি খানিকটা ঝাঁকুনি অনুভব করেন এবং নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। ফলে নাক ডাকাও বন্ধ হয়।
বাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১৩ মিনিট আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১৯ মিনিট আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২৬ মিনিট আগে১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৪ দিন আগে