সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালি মালা
নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল নীলপথে,
এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল-বনগিরিপর্বতে।’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঋতু সবে বর্ষার সঙ্গে শ্রাবণ মাসের হিসাব চুকিয়ে নিল। পালাবদলে শরৎ এবার আসন পেতেছে ভাদ্রের দুয়ারে। শরতের ভাবমূর্তি কখনো ঝকঝকে নীল আকাশে উঁকিঝুঁকি দিলেও বর্ষা নাছোড়বান্দার মতোই। আলতো করে ধূসর মেঘে ছড়িয়ে দিতে যে ভুলবে না সময় অসময়ে, এ জানা কথা। শরৎ বাবুর সঙ্গে সংসার যেন পেতেই ছাড়বে সে! শরতের শুরুটা কাটে এমনই খুনসুটিতে।
মুগ্ধতার এক ঋতু এই শরৎ। আজ ১ ভাদ্র ১৪২৮, সোমবার। শরতের প্রথম দিন। আষাঢ়–শ্রাবণের ঘন বর্ষার রেশ কেটে যাওয়ার পর ভাদ্র আসে এক নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে। শ্রাবণের ধুয়ে রাখা কাপড় এবার ভাদ্রের রোদে শুকিয়ে নেবার পালা। আশ্বিনে সমস্ত স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে কাশবনে। সোনাঝরা রোদে হেসে ওঠে শিউলি ফুল। শুধু শিউলি আর কাশফুলের গান গাইলে চলবে কেন। এ সময়ে গাছে গাছে ফোটে ছাতিম, দোলনচাঁপা, জারুল, মধু মঞ্জুরি, কামিনী, নয়নতারাসহ আরও কত ফুল। এসব ফুলের অনেকগুলোই শরতের আগমনী বাণী নিয়ে আসে।
শহরে শরৎকে ঘিরে আনন্দ–উৎসব চললেও গ্রামীণ পরিবেশে শরৎকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করা যায়। টলটলে নীল নদীর ধার ঘেঁষে সাদা কাশফুল ফুটে থাকে। মৃদুমন্দ হাওয়ায় দুলে ওঠে তারা। নদীর ওপার ছুঁয়ে থাকা আকাশে ভেসে বেড়ায় শুভ্র মেঘের ভেলা। আর আঁধার নামলে স্বচ্ছ আকাশ আঁচলে ফুটে ওঠে লক্ষ কোটি তারা।
রবী ঠাকুরের কথা দিয়েই যদি শেষ করি, তাহলে বলি এই শরৎকে ঘিরে তাঁর স্মৃতি রয়েছে। ‘জোড়াসাঁকোর বাড়ির প্রাণের একটি ঝরনাতলা ছিল দক্ষিণের বারান্দা। শুকিয়ে গেল এর স্রোত, বড় দাদা চলে গেলেন শান্তিনিকেতন আশ্রমে। আমার কেবল মাঝে মাঝে মনে পড়ে, ঐ বারান্দার সামনেকার বাগানে মন কেমন করা শরতের রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়েছে, আমি নতুন গান তৈরি করতে যাচ্ছি–আজি শরৎ তপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরাণ কী যে চায়। ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কি যে গায়।’
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনস্মৃতিতে এই স্মৃতিচারণটুকু করেছিলেন।
শরতের প্রকৃতি সবার মনকেই জাগ্রত করে। এ সময়ে রোদ-বৃষ্টির খুনসুটি চলে যেমন, তেমনি সহসা মৃদু হাওয়া ও শুভ্রনীল আকাশ মনকে করে তোলে প্রফুল্ল। আর এ জন্যই কবিগুরু বলেছেন, ‘শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি।/ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি।।/শরৎ, তোমার শিশির-ধোয়া কুন্তলে/বনের-পথে-লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে/আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি।’
‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালি মালা
নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল নীলপথে,
এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল-বনগিরিপর্বতে।’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঋতু সবে বর্ষার সঙ্গে শ্রাবণ মাসের হিসাব চুকিয়ে নিল। পালাবদলে শরৎ এবার আসন পেতেছে ভাদ্রের দুয়ারে। শরতের ভাবমূর্তি কখনো ঝকঝকে নীল আকাশে উঁকিঝুঁকি দিলেও বর্ষা নাছোড়বান্দার মতোই। আলতো করে ধূসর মেঘে ছড়িয়ে দিতে যে ভুলবে না সময় অসময়ে, এ জানা কথা। শরৎ বাবুর সঙ্গে সংসার যেন পেতেই ছাড়বে সে! শরতের শুরুটা কাটে এমনই খুনসুটিতে।
মুগ্ধতার এক ঋতু এই শরৎ। আজ ১ ভাদ্র ১৪২৮, সোমবার। শরতের প্রথম দিন। আষাঢ়–শ্রাবণের ঘন বর্ষার রেশ কেটে যাওয়ার পর ভাদ্র আসে এক নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে। শ্রাবণের ধুয়ে রাখা কাপড় এবার ভাদ্রের রোদে শুকিয়ে নেবার পালা। আশ্বিনে সমস্ত স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে কাশবনে। সোনাঝরা রোদে হেসে ওঠে শিউলি ফুল। শুধু শিউলি আর কাশফুলের গান গাইলে চলবে কেন। এ সময়ে গাছে গাছে ফোটে ছাতিম, দোলনচাঁপা, জারুল, মধু মঞ্জুরি, কামিনী, নয়নতারাসহ আরও কত ফুল। এসব ফুলের অনেকগুলোই শরতের আগমনী বাণী নিয়ে আসে।
শহরে শরৎকে ঘিরে আনন্দ–উৎসব চললেও গ্রামীণ পরিবেশে শরৎকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করা যায়। টলটলে নীল নদীর ধার ঘেঁষে সাদা কাশফুল ফুটে থাকে। মৃদুমন্দ হাওয়ায় দুলে ওঠে তারা। নদীর ওপার ছুঁয়ে থাকা আকাশে ভেসে বেড়ায় শুভ্র মেঘের ভেলা। আর আঁধার নামলে স্বচ্ছ আকাশ আঁচলে ফুটে ওঠে লক্ষ কোটি তারা।
রবী ঠাকুরের কথা দিয়েই যদি শেষ করি, তাহলে বলি এই শরৎকে ঘিরে তাঁর স্মৃতি রয়েছে। ‘জোড়াসাঁকোর বাড়ির প্রাণের একটি ঝরনাতলা ছিল দক্ষিণের বারান্দা। শুকিয়ে গেল এর স্রোত, বড় দাদা চলে গেলেন শান্তিনিকেতন আশ্রমে। আমার কেবল মাঝে মাঝে মনে পড়ে, ঐ বারান্দার সামনেকার বাগানে মন কেমন করা শরতের রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়েছে, আমি নতুন গান তৈরি করতে যাচ্ছি–আজি শরৎ তপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরাণ কী যে চায়। ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কি যে গায়।’
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনস্মৃতিতে এই স্মৃতিচারণটুকু করেছিলেন।
শরতের প্রকৃতি সবার মনকেই জাগ্রত করে। এ সময়ে রোদ-বৃষ্টির খুনসুটি চলে যেমন, তেমনি সহসা মৃদু হাওয়া ও শুভ্রনীল আকাশ মনকে করে তোলে প্রফুল্ল। আর এ জন্যই কবিগুরু বলেছেন, ‘শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি।/ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি।।/শরৎ, তোমার শিশির-ধোয়া কুন্তলে/বনের-পথে-লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে/আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি।’
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে