অনলাইন ডেস্ক
চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
জাতিসংঘের এই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকটি স্বাভাবিকভাবেই কম জনসংখ্যার জন্য নাম কামিয়েছে। শুনে অবাক হবেন এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে ৭৩ হাজার মানুষের বাস, আর কম জনসংখ্যার দেশের বেলায় এটি ৫০০-র কিছু ওপরে। ও একটি কথা বিবিসি সায়েন্স ফোকাস অবলম্বনে তালিকাটি আমরা করেছি উল্টো দিক থেকে, অর্থাৎ কম জনসংখ্যার দিক থেকে তালিকায় দশে থাকা দেশটি থেকে এর শুরু।
১০. ডোমিনিকা
জাতিসংঘের হিসেবে ডোমিনিকার জনসংখ্যা ৭৩ হাজার ৬ জন। আয়তনেও অবশ্য বড় নয় দেশটি, ৭৫১ বর্গ কিলোমিটার। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দুই দ্বীপ দেশ পুয়ের্তো রিকো ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মোটামুটি মাঝখানে অবস্থান এর।
সর্বশেষ যে ক্যারিবিয়ান দেশ ইউরোপীয়দের কলোনি ছিল সেটা ডোমিনিকা। দ্বীপদেশটি স্বাধীন হয় ১৯৭৮ সালে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পায় ডোমিনিকা। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মেরি ইউজিনিয়া চার্লস।
৯. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৪৭ হাজার ৭৪৫। পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে ছোট স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে।
দেশটির ২৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গ কিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপের ৯৩ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যার পাশাপাশি আয়তনেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের একটি চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশটি। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৮. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম, আরও পরিষ্কারভাবে বললে ৪১ হাজার ৯৫২। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৭. লিচটেনস্টেইন
জাতিসংঘের হিসেবে লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৯ হাজার ৫৫৮। রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশের ছোট পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে এর। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট পাহাড়গুলো।
তবে আকারে ছোট হলে কী হবে আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৬. মোনাকো
লিচটেনস্টাইনের মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ক্যাসিনো এবং ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে আনুমানিক ৩৩ হাজার ৬৪৪। আয়তন ৬১ বর্গ কিলোমিটার। ফিফার পুরুষ ফুটবল দলগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে বেশির ভাগ সময়ে তলানিতে থাকা দেশটি মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্য কীর্তির জন্য বিখ্যাত।
৪. পালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। জনসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটির জনসংখ্যা কেবল ১৮ হাজার ৫৮ জন।
যদ্দুর জানা যায় ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
৩. নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯ জন। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে।
২. টুভালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে টুভালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭ জন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নয়টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি।
নয়টি দ্বীপ মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি।
১. ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৫১৭-র আশপাশে। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময় ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি, সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
জাতিসংঘের এই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকটি স্বাভাবিকভাবেই কম জনসংখ্যার জন্য নাম কামিয়েছে। শুনে অবাক হবেন এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে ৭৩ হাজার মানুষের বাস, আর কম জনসংখ্যার দেশের বেলায় এটি ৫০০-র কিছু ওপরে। ও একটি কথা বিবিসি সায়েন্স ফোকাস অবলম্বনে তালিকাটি আমরা করেছি উল্টো দিক থেকে, অর্থাৎ কম জনসংখ্যার দিক থেকে তালিকায় দশে থাকা দেশটি থেকে এর শুরু।
১০. ডোমিনিকা
জাতিসংঘের হিসেবে ডোমিনিকার জনসংখ্যা ৭৩ হাজার ৬ জন। আয়তনেও অবশ্য বড় নয় দেশটি, ৭৫১ বর্গ কিলোমিটার। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দুই দ্বীপ দেশ পুয়ের্তো রিকো ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মোটামুটি মাঝখানে অবস্থান এর।
সর্বশেষ যে ক্যারিবিয়ান দেশ ইউরোপীয়দের কলোনি ছিল সেটা ডোমিনিকা। দ্বীপদেশটি স্বাধীন হয় ১৯৭৮ সালে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পায় ডোমিনিকা। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মেরি ইউজিনিয়া চার্লস।
৯. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৪৭ হাজার ৭৪৫। পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে ছোট স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে।
দেশটির ২৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গ কিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপের ৯৩ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যার পাশাপাশি আয়তনেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের একটি চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশটি। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৮. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম, আরও পরিষ্কারভাবে বললে ৪১ হাজার ৯৫২। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৭. লিচটেনস্টেইন
জাতিসংঘের হিসেবে লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৯ হাজার ৫৫৮। রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশের ছোট পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে এর। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট পাহাড়গুলো।
তবে আকারে ছোট হলে কী হবে আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৬. মোনাকো
লিচটেনস্টাইনের মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ক্যাসিনো এবং ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে আনুমানিক ৩৩ হাজার ৬৪৪। আয়তন ৬১ বর্গ কিলোমিটার। ফিফার পুরুষ ফুটবল দলগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে বেশির ভাগ সময়ে তলানিতে থাকা দেশটি মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্য কীর্তির জন্য বিখ্যাত।
৪. পালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। জনসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটির জনসংখ্যা কেবল ১৮ হাজার ৫৮ জন।
যদ্দুর জানা যায় ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
৩. নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯ জন। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে।
২. টুভালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে টুভালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭ জন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নয়টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি।
নয়টি দ্বীপ মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি।
১. ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৫১৭-র আশপাশে। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময় ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি, সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে