সিফাত রাব্বানী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের স্মরণে একটি হলের নামকরণ করা হয়েছে ‘অমর একুশে হল’। এ ছাড়া এখানে রয়েছে শহীদ বরকত স্মৃতি জাদুঘর।
অমর একুশে হল
চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভবন নিয়ে অমর একুশে হল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের নামে প্রতিটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে। চারটির মধ্যে তিনটি আবাসিক ভবনই ভাষাশহীদের নামে—শহীদ রফিক ভবন, শহীদ সালাম ভবন ও শহীদ বরকত ভবন।
শহীদ রফিক ভবন
ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়। এ ভবনে চার শয্যাবিশিষ্ট মোট ৮৩টি কক্ষ রয়েছে।
শহীদ সালাম ভবন
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়। এ ভবনে চার শয্যাবিশিষ্ট ৪০টি কক্ষ রয়েছে।
শহীদ বরকত ভবন
ভাষাশহীদ আবুল বরকতের নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়। ছয় তলা এ ভবনের ওপরের চারতলায় শিক্ষার্থীদের জন্য চার শয্যাবিশিষ্ট ৩২টি কক্ষ রয়েছে। নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মসজিদ, অফিস কক্ষ, অতিথি কক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও হল কর্মকর্তাদের আবাসন।
হলের চতুর্থ ভবনটি শহীদ জব্বার ভবন নামে পরিচিত।
ভাষাশহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা
ভাষাশহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা ঢাকার পলাশীতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ভেতরে অবস্থিত। ২০১২ সালের ১২ মার্চ জহুরুল হক হলের ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র আবুল বরকতের নামে এ স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন ভাষাসৈনিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান। তবে এখনো শহীদ রফিকের ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামই নেই এই জাদুঘরে। তাঁর ব্যবহৃত খাট ও বন্দুক এখনো রয়েছে মুর্শিদাবাদে। তাঁর পরিবার থেকে দেওয়া জিনিসপত্রও প্রদর্শন করা হয়নি এখানে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ভাষাশহীদদের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন রফিক। অনেকটা পরে হলেও শহীদ রফিককে সম্মান জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভাষা আন্দোলনের ৬২ বছর পূর্তির আগে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে পুরোনো বিজনেস স্টাডিজ ভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘ভাষাশহীদ রফিক ভবন’ নামকরণের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। ভাষাশহীদ রফিক ভবনে বাংলা ও ইতিহাস বিভাগের কার্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া সেখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ভাষাশহীদের নামে দুটি আবাসিক হল।
শহীদ সালাম-বরকত হল
এই হল ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ৪০০টি আসন। ১ঌ৮৫ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১০৬তম সভায় নাম রাখা হয় শহীদ সালাম-বরকত হল।
শহীদ রফিক-জব্বার হল ভাষাশহীদদের নামে প্রতিষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ছাত্রাবাস শহীদ রফিক-জব্বার। ২০১০ সালে হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে প্রথম ভাষাশহীদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এ হলে।
অমর একুশ
এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাস্কর্য। ভাষা আন্দোলনকে স্মরণ করে এটি তৈরি করেছিলেন স্থপতি শিল্পী জাহানারা পারভীন। এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থিত। ১৯৯১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাবেক উপাচার্য কাজী সালেহ আহমেদ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন। স্তম্ভসহ পুরো ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৩৪ ফুট।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
অমর একুশে হল
কুয়েট ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় হল অমর একুশে। এটি পাঁচতলা ভবন। ২০০৬ সালে ৫৬৩ জন ছাত্র ধারণক্ষমতা নিয়ে নির্মিত হয় এটি। হলের সামনে লম্বা বাগানসহ দুটি অ্যাপ্রোচ রোড একটি উপভোগ্য পরিবেশ তৈরি করেছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজ
শহীদ বরকত মিলনায়তন
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি তিতুমীর কলেজ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এ কলেজের একমাত্র মিলনায়তনটি ভাষাশহীদ আবুল বরকতের নামে নামকরণ করা হয়েছে। দোতলা এই মিলনায়তনের নাম ‘শহীদ বরকত মিলনায়তন’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের স্মরণে একটি হলের নামকরণ করা হয়েছে ‘অমর একুশে হল’। এ ছাড়া এখানে রয়েছে শহীদ বরকত স্মৃতি জাদুঘর।
অমর একুশে হল
চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভবন নিয়ে অমর একুশে হল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের নামে প্রতিটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে। চারটির মধ্যে তিনটি আবাসিক ভবনই ভাষাশহীদের নামে—শহীদ রফিক ভবন, শহীদ সালাম ভবন ও শহীদ বরকত ভবন।
শহীদ রফিক ভবন
ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়। এ ভবনে চার শয্যাবিশিষ্ট মোট ৮৩টি কক্ষ রয়েছে।
শহীদ সালাম ভবন
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়। এ ভবনে চার শয্যাবিশিষ্ট ৪০টি কক্ষ রয়েছে।
শহীদ বরকত ভবন
ভাষাশহীদ আবুল বরকতের নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়। ছয় তলা এ ভবনের ওপরের চারতলায় শিক্ষার্থীদের জন্য চার শয্যাবিশিষ্ট ৩২টি কক্ষ রয়েছে। নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মসজিদ, অফিস কক্ষ, অতিথি কক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও হল কর্মকর্তাদের আবাসন।
হলের চতুর্থ ভবনটি শহীদ জব্বার ভবন নামে পরিচিত।
ভাষাশহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা
ভাষাশহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা ঢাকার পলাশীতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ভেতরে অবস্থিত। ২০১২ সালের ১২ মার্চ জহুরুল হক হলের ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র আবুল বরকতের নামে এ স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন ভাষাসৈনিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান। তবে এখনো শহীদ রফিকের ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামই নেই এই জাদুঘরে। তাঁর ব্যবহৃত খাট ও বন্দুক এখনো রয়েছে মুর্শিদাবাদে। তাঁর পরিবার থেকে দেওয়া জিনিসপত্রও প্রদর্শন করা হয়নি এখানে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ভাষাশহীদদের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন রফিক। অনেকটা পরে হলেও শহীদ রফিককে সম্মান জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভাষা আন্দোলনের ৬২ বছর পূর্তির আগে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে পুরোনো বিজনেস স্টাডিজ ভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘ভাষাশহীদ রফিক ভবন’ নামকরণের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। ভাষাশহীদ রফিক ভবনে বাংলা ও ইতিহাস বিভাগের কার্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া সেখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ভাষাশহীদের নামে দুটি আবাসিক হল।
শহীদ সালাম-বরকত হল
এই হল ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ৪০০টি আসন। ১ঌ৮৫ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১০৬তম সভায় নাম রাখা হয় শহীদ সালাম-বরকত হল।
শহীদ রফিক-জব্বার হল ভাষাশহীদদের নামে প্রতিষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ছাত্রাবাস শহীদ রফিক-জব্বার। ২০১০ সালে হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে প্রথম ভাষাশহীদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এ হলে।
অমর একুশ
এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাস্কর্য। ভাষা আন্দোলনকে স্মরণ করে এটি তৈরি করেছিলেন স্থপতি শিল্পী জাহানারা পারভীন। এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থিত। ১৯৯১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাবেক উপাচার্য কাজী সালেহ আহমেদ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন। স্তম্ভসহ পুরো ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৩৪ ফুট।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
অমর একুশে হল
কুয়েট ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় হল অমর একুশে। এটি পাঁচতলা ভবন। ২০০৬ সালে ৫৬৩ জন ছাত্র ধারণক্ষমতা নিয়ে নির্মিত হয় এটি। হলের সামনে লম্বা বাগানসহ দুটি অ্যাপ্রোচ রোড একটি উপভোগ্য পরিবেশ তৈরি করেছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজ
শহীদ বরকত মিলনায়তন
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি তিতুমীর কলেজ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এ কলেজের একমাত্র মিলনায়তনটি ভাষাশহীদ আবুল বরকতের নামে নামকরণ করা হয়েছে। দোতলা এই মিলনায়তনের নাম ‘শহীদ বরকত মিলনায়তন’।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে