সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলতে সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অতি সুরক্ষামূলক আচরণ এবং সন্তানের জীবনে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বোঝায়। সাধারণত হেলিকপ্টার থেকে কোনো অপরাধীকে যেমন অনুসরণ করা হয়, তেমনি এই ধরনের বাবা–মায়েরাও সন্তানের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের ছায়া বিস্তার করে রাখেন। সার্বক্ষণিক নজরদারি করেন।
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানের স্কুলের কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে প্রত্যেক কাজের ক্ষেত্রেই গভীর মনযোগ দেন। তাদের দুঃখ–কষ্ট ও হতাশা থেকে রক্ষা করার জন্যই শুধু নয়, সন্তানকে ইচ্ছা–অনিচ্ছাকে উপেক্ষা করে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে সাহায্য করতে এমনটি করে থাকেন তাঁরা। সন্তানের ছোটখাটো সব বিষয়ে জড়িয়ে থাকার প্রবণতা তাঁদের মধ্যে প্রবল।
মানসিক আরোগ্য পরিষেবা লাইফক্যাটালিস্ট থেরাপি ও কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী মিচেল এম রেনোল্ডস বলেন, ‘এ ধরনের বাবা–মায়েরা সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত রক্ষণশীল হন এবং তাদের নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করেন। তাঁরা সন্তানের প্রত্যেক কর্মকাণ্ডে অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান এবং সন্তানের চলার পথ মসৃণ করার মানসে সবকিছুতেই ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেন।’
১৯৬৯ সালে ‘বিটুইন প্যারেন্ট অ্যান্ড টিনএজার’ বইয়ে ‘হেলিকপ্টার প্যারেন্ট’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়। বইটির কিশোর চরিত্রটি বলে, তার মা হেলিকপ্টারের মতো তার ওপর নজরদারি করেন। তখন থেকেই অনেক কলেজ প্রশাসন এ শব্দযুগল এমন বাবা–মায়েদের বোঝাতে ব্যবহার শুরু করে, যারা কলেজে ওটা সন্তানের ওপর দূর থেকে নজর রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান। এরপরই অতিরিক্ত রক্ষণশীল বাবা–মায়েদের বোঝাতে এ শব্দের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।
আপনি কি হেলিকপ্টার প্যারেন্ট?
হেলিকপ্টার প্যারেন্ট চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, সন্তানদের অতি রক্ষণশীল বা তাদের কর্মকাণ্ডে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা। তবে এ সংজ্ঞাটি অসম্পূর্ণ। এ ধরনের বাবা–মায়েরা সব বিষয়ে চরম মাত্রায় জড়িয়ে পড়েন। সন্তানের শৈশব থেকে কলেজ পর্যন্ত সবকিছুতে তাঁরা এত বেশি জড়িয়ে থাকেন যে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ আর শখ–আহ্লাদ সব বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করেন না। এমনকি পরিবারের খরচের বাজেটও সন্তানের চাহিদাকে কেন্দ্র করেই নির্ধারণ করেন।
হেলিকপ্টার প্যারেন্টিংয়ের বিভিন্ন ধরন আছে: অনেক বাবা–মা স্কুল ও নানা কাজে সফল হওয়ার জন্য সন্তানের ওপর অত্যধিক চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। আবার অনেক বাবা–মা সন্তানকে নির্দিষ্ট বিষয় থেকে আড়াল করে রাখেন এবং তাদের হয়ে কাজ করে দেন।
আবার সব পরিবারে হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং একরকম হয় না। যেমন, এক ধরনের হেলিকপ্টার বাবা–মা স্কুলে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য সন্তানকে অত্যধিক চাপে রাখেন। এ চাপ শুধু স্কুলে এগিয়ে থাকা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে না। গানের স্কুল থেকে শুরু করে খেলাধুলাতেও তাঁরা চান সন্তানই যেন এগিয়ে থাকে। অনেক হেলিকপ্টার বাবা–মা সন্তানকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখতে স্কুলের হোমওয়ার্ক করে দিতেও দ্বিধা করেন না।
সন্তানের সঙ্গে কারও বিরোধ হলে এ বাবা–মায়েরা সন্তানের হয়েই সহপাঠী, শিক্ষক, কোচ বা খেলার সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেন। এমনকি সন্তানের বন্ধু বাছাই ও সামাজিক অবস্থান নির্ধারণেও হস্তক্ষেপ করেন তাঁরা। তাঁদের লক্ষ্য থাকে সন্তানের জন্য যত বেশি সম্ভব সুযোগ তৈরি করা।
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানের সব বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গেই দেখেন। অনেকেই এভাবে সন্তান লালন–পালনকে ঠিক মনে করেন। নিজের এমন আচরণকে সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ হিসেবে দেখেন তাঁরা। সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুনিয়াতে তাদের সফল হতে যা করা সম্ভব তার সবই করতে চান তাঁরা।
হেলিকপ্টার প্যারেন্টিংয়ের বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। সন্তানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়া তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা সহজে স্বাধীন ও স্বনির্ভর হতে পারে না। এভাবে লালন–পালনের কারণে শিশুরা যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে তা হলো—
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ব্যাহত হওয়া
সব বয়সের শিশুরই বয়স উপযোগী সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। পাঁচ বছরের শিশুর যেমন কোনো শব্দ কীভাবে উচ্চারণ করতে হয় তা নিজে শিখতে হয়, তেমনি চাকরির খোঁজে থাকা ২৫ বছর বয়সী তরুণকেও নিজের সমস্যা নিজ উদ্যোগে সমাধান করতে পারা উচিত। কিন্তু যেসব বাবা–মায়ের সন্তানের জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার অভ্যাস, তাঁরা সন্তানের সামান্য সমস্যার ইঙ্গিত পেলেই তা সমাধানের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ধরনের শিশুরা সমস্যা সমাধানের মূল্যবান দক্ষতা শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
বাবা–মায়ের ওপর নির্ভরশীল
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানের সব কাজ করে দেন বলে, সন্তানেরা তাঁদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। যদি ১৯ বছর বয়সী সন্তানকে সকালে ক্লাসে যাওয়ার জন্য রোজ বাবা–মাকেই ডেকে দিতে হয় তবে সে কখনোই নিজে ঘুম থেকে ওঠা শিখবে না। বাবা–মায়ের উচিত সন্তানকে তাঁদের ছাড়াই কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় এবং সাফল্য অর্জন করতে হয় তা শিখতে সহায়তা করা।
আত্মপক্ষ সমর্থনে বাধা
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা প্রায়ই কীভাবে নিজের হয়ে কথা বলতে হয় তা না শিখিয়ে সন্তানের হয়ে ওকালতি করেন। শিশুদের যখন কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় তখন প্রশ্ন করতে পারা, অকপট হতে শেখা এবং পক্ষ–বিপক্ষ নিয়ে কথা বলতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে, এই শিশুদের কোনো চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্ট বা বস মোকাবিলা করতে নিশ্চয়ই কোনো বাবা–মা থাকবেন না।
আত্মবিশ্বাস কম থাকে
বাবা–মা যদি সন্তানের প্রত্যেক কাজে নজরদারি করেন, তবে সন্তানের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হতে পারে যে, তারা কখনোই কোনো কাজ ঠিকঠাক করতে পারে না। বেড়ে ওঠার পুরো সময়টাই যদি তারা বাবা–মায়ের এমন নজরদারিতে থাকে, তবে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হেলিকপ্টার প্যারেন্টিংয়ের কারণে আত্মবিশ্বাস বা নিজের সক্ষমতার ওপর আস্থা, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, দায়িত্বজ্ঞান ও অভিযোজন ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
স্বাভাবিক পরিণতিতে বাধা
শিশুদের জীবনে নেতিবাচক কিছু ঘটলেও স্বাভাবিক পরিণতি ভোগ করতে শেখা প্রয়োজন। বাবা–মায়ের অনুপস্থিতিতে সন্তানকে ব্য়র্থতার পরিণতি ভোগ করতেই হয়। তা সত্ত্বেও হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানকে নেতিবাচক পরিণতি থেকে রক্ষা করতে তাদের প্রত্যেক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেন।
স্বেচ্ছাচারিতা
যেসব শিশুর সামাজিক, একাডেমিক ও শিক্ষাজীবন সব সময় বাবা–মা নিয়ন্ত্রণ করেছেন, এসব শিশু সব সময় সবকিছু নিজের মতো করে পেতে অভ্যস্ত থাকে। এতে তাদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব তৈরি হয়।
বাবা–মা ও সন্তানের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়ে
সন্তানের প্রতি অপত্য স্নেহের বশেই হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং করা হলেও, এতে সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদি সন্তানের মনে হয়, বাবা–মা সারাক্ষণ বাড়ির কাজের জন্য ঘ্যানঘ্যান করছেন, তার হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা তাদের প্রত্যেক কাজের ওপর নজরদারি করছেন, তবে একপর্যায়ে বাবা–মায়ের মিথস্ক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবে নেবে না। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে বরং সন্তানকে আরও দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। এমনকি তারা বাবা–মায়ের প্রতি এ সন্দেহ পোষণ করে যে, বাবা–মা তাদের সক্ষমতা ও বিচার–বিবেচনার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলতে সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অতি সুরক্ষামূলক আচরণ এবং সন্তানের জীবনে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বোঝায়। সাধারণত হেলিকপ্টার থেকে কোনো অপরাধীকে যেমন অনুসরণ করা হয়, তেমনি এই ধরনের বাবা–মায়েরাও সন্তানের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের ছায়া বিস্তার করে রাখেন। সার্বক্ষণিক নজরদারি করেন।
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানের স্কুলের কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে প্রত্যেক কাজের ক্ষেত্রেই গভীর মনযোগ দেন। তাদের দুঃখ–কষ্ট ও হতাশা থেকে রক্ষা করার জন্যই শুধু নয়, সন্তানকে ইচ্ছা–অনিচ্ছাকে উপেক্ষা করে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে সাহায্য করতে এমনটি করে থাকেন তাঁরা। সন্তানের ছোটখাটো সব বিষয়ে জড়িয়ে থাকার প্রবণতা তাঁদের মধ্যে প্রবল।
মানসিক আরোগ্য পরিষেবা লাইফক্যাটালিস্ট থেরাপি ও কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী মিচেল এম রেনোল্ডস বলেন, ‘এ ধরনের বাবা–মায়েরা সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত রক্ষণশীল হন এবং তাদের নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করেন। তাঁরা সন্তানের প্রত্যেক কর্মকাণ্ডে অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান এবং সন্তানের চলার পথ মসৃণ করার মানসে সবকিছুতেই ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেন।’
১৯৬৯ সালে ‘বিটুইন প্যারেন্ট অ্যান্ড টিনএজার’ বইয়ে ‘হেলিকপ্টার প্যারেন্ট’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়। বইটির কিশোর চরিত্রটি বলে, তার মা হেলিকপ্টারের মতো তার ওপর নজরদারি করেন। তখন থেকেই অনেক কলেজ প্রশাসন এ শব্দযুগল এমন বাবা–মায়েদের বোঝাতে ব্যবহার শুরু করে, যারা কলেজে ওটা সন্তানের ওপর দূর থেকে নজর রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান। এরপরই অতিরিক্ত রক্ষণশীল বাবা–মায়েদের বোঝাতে এ শব্দের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।
আপনি কি হেলিকপ্টার প্যারেন্ট?
হেলিকপ্টার প্যারেন্ট চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, সন্তানদের অতি রক্ষণশীল বা তাদের কর্মকাণ্ডে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা। তবে এ সংজ্ঞাটি অসম্পূর্ণ। এ ধরনের বাবা–মায়েরা সব বিষয়ে চরম মাত্রায় জড়িয়ে পড়েন। সন্তানের শৈশব থেকে কলেজ পর্যন্ত সবকিছুতে তাঁরা এত বেশি জড়িয়ে থাকেন যে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ আর শখ–আহ্লাদ সব বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করেন না। এমনকি পরিবারের খরচের বাজেটও সন্তানের চাহিদাকে কেন্দ্র করেই নির্ধারণ করেন।
হেলিকপ্টার প্যারেন্টিংয়ের বিভিন্ন ধরন আছে: অনেক বাবা–মা স্কুল ও নানা কাজে সফল হওয়ার জন্য সন্তানের ওপর অত্যধিক চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। আবার অনেক বাবা–মা সন্তানকে নির্দিষ্ট বিষয় থেকে আড়াল করে রাখেন এবং তাদের হয়ে কাজ করে দেন।
আবার সব পরিবারে হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং একরকম হয় না। যেমন, এক ধরনের হেলিকপ্টার বাবা–মা স্কুলে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য সন্তানকে অত্যধিক চাপে রাখেন। এ চাপ শুধু স্কুলে এগিয়ে থাকা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে না। গানের স্কুল থেকে শুরু করে খেলাধুলাতেও তাঁরা চান সন্তানই যেন এগিয়ে থাকে। অনেক হেলিকপ্টার বাবা–মা সন্তানকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখতে স্কুলের হোমওয়ার্ক করে দিতেও দ্বিধা করেন না।
সন্তানের সঙ্গে কারও বিরোধ হলে এ বাবা–মায়েরা সন্তানের হয়েই সহপাঠী, শিক্ষক, কোচ বা খেলার সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেন। এমনকি সন্তানের বন্ধু বাছাই ও সামাজিক অবস্থান নির্ধারণেও হস্তক্ষেপ করেন তাঁরা। তাঁদের লক্ষ্য থাকে সন্তানের জন্য যত বেশি সম্ভব সুযোগ তৈরি করা।
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানের সব বিষয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গেই দেখেন। অনেকেই এভাবে সন্তান লালন–পালনকে ঠিক মনে করেন। নিজের এমন আচরণকে সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ হিসেবে দেখেন তাঁরা। সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুনিয়াতে তাদের সফল হতে যা করা সম্ভব তার সবই করতে চান তাঁরা।
হেলিকপ্টার প্যারেন্টিংয়ের বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। সন্তানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়া তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা সহজে স্বাধীন ও স্বনির্ভর হতে পারে না। এভাবে লালন–পালনের কারণে শিশুরা যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে তা হলো—
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ব্যাহত হওয়া
সব বয়সের শিশুরই বয়স উপযোগী সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। পাঁচ বছরের শিশুর যেমন কোনো শব্দ কীভাবে উচ্চারণ করতে হয় তা নিজে শিখতে হয়, তেমনি চাকরির খোঁজে থাকা ২৫ বছর বয়সী তরুণকেও নিজের সমস্যা নিজ উদ্যোগে সমাধান করতে পারা উচিত। কিন্তু যেসব বাবা–মায়ের সন্তানের জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার অভ্যাস, তাঁরা সন্তানের সামান্য সমস্যার ইঙ্গিত পেলেই তা সমাধানের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ধরনের শিশুরা সমস্যা সমাধানের মূল্যবান দক্ষতা শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
বাবা–মায়ের ওপর নির্ভরশীল
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানের সব কাজ করে দেন বলে, সন্তানেরা তাঁদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। যদি ১৯ বছর বয়সী সন্তানকে সকালে ক্লাসে যাওয়ার জন্য রোজ বাবা–মাকেই ডেকে দিতে হয় তবে সে কখনোই নিজে ঘুম থেকে ওঠা শিখবে না। বাবা–মায়ের উচিত সন্তানকে তাঁদের ছাড়াই কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় এবং সাফল্য অর্জন করতে হয় তা শিখতে সহায়তা করা।
আত্মপক্ষ সমর্থনে বাধা
হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা প্রায়ই কীভাবে নিজের হয়ে কথা বলতে হয় তা না শিখিয়ে সন্তানের হয়ে ওকালতি করেন। শিশুদের যখন কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় তখন প্রশ্ন করতে পারা, অকপট হতে শেখা এবং পক্ষ–বিপক্ষ নিয়ে কথা বলতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে, এই শিশুদের কোনো চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্ট বা বস মোকাবিলা করতে নিশ্চয়ই কোনো বাবা–মা থাকবেন না।
আত্মবিশ্বাস কম থাকে
বাবা–মা যদি সন্তানের প্রত্যেক কাজে নজরদারি করেন, তবে সন্তানের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হতে পারে যে, তারা কখনোই কোনো কাজ ঠিকঠাক করতে পারে না। বেড়ে ওঠার পুরো সময়টাই যদি তারা বাবা–মায়ের এমন নজরদারিতে থাকে, তবে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হেলিকপ্টার প্যারেন্টিংয়ের কারণে আত্মবিশ্বাস বা নিজের সক্ষমতার ওপর আস্থা, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, দায়িত্বজ্ঞান ও অভিযোজন ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
স্বাভাবিক পরিণতিতে বাধা
শিশুদের জীবনে নেতিবাচক কিছু ঘটলেও স্বাভাবিক পরিণতি ভোগ করতে শেখা প্রয়োজন। বাবা–মায়ের অনুপস্থিতিতে সন্তানকে ব্য়র্থতার পরিণতি ভোগ করতেই হয়। তা সত্ত্বেও হেলিকপ্টার বাবা–মায়েরা সন্তানকে নেতিবাচক পরিণতি থেকে রক্ষা করতে তাদের প্রত্যেক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেন।
স্বেচ্ছাচারিতা
যেসব শিশুর সামাজিক, একাডেমিক ও শিক্ষাজীবন সব সময় বাবা–মা নিয়ন্ত্রণ করেছেন, এসব শিশু সব সময় সবকিছু নিজের মতো করে পেতে অভ্যস্ত থাকে। এতে তাদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব তৈরি হয়।
বাবা–মা ও সন্তানের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়ে
সন্তানের প্রতি অপত্য স্নেহের বশেই হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং করা হলেও, এতে সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদি সন্তানের মনে হয়, বাবা–মা সারাক্ষণ বাড়ির কাজের জন্য ঘ্যানঘ্যান করছেন, তার হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা তাদের প্রত্যেক কাজের ওপর নজরদারি করছেন, তবে একপর্যায়ে বাবা–মায়ের মিথস্ক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবে নেবে না। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে বরং সন্তানকে আরও দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। এমনকি তারা বাবা–মায়ের প্রতি এ সন্দেহ পোষণ করে যে, বাবা–মা তাদের সক্ষমতা ও বিচার–বিবেচনার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৪ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৫ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলতে সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অতি সুরক্ষামূলক আচরণ এবং সন্তানের জীবনে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বোঝায়। সাধারণত হেলিকপ্টার থেকে কোনো অপরাধীকে যেমন অনুসরণ করা হয়, তেমনি এই ধরনের বাবা–মায়েরাও সন্তানের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের ছায়া বিস্তার করে রাখেন। সার্বক্ষণিক নজরদারি
১৫ মার্চ ২০২৪
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৫ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলতে সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অতি সুরক্ষামূলক আচরণ এবং সন্তানের জীবনে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বোঝায়। সাধারণত হেলিকপ্টার থেকে কোনো অপরাধীকে যেমন অনুসরণ করা হয়, তেমনি এই ধরনের বাবা–মায়েরাও সন্তানের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের ছায়া বিস্তার করে রাখেন। সার্বক্ষণিক নজরদারি
১৫ মার্চ ২০২৪
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৫ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলতে সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অতি সুরক্ষামূলক আচরণ এবং সন্তানের জীবনে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বোঝায়। সাধারণত হেলিকপ্টার থেকে কোনো অপরাধীকে যেমন অনুসরণ করা হয়, তেমনি এই ধরনের বাবা–মায়েরাও সন্তানের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের ছায়া বিস্তার করে রাখেন। সার্বক্ষণিক নজরদারি
১৫ মার্চ ২০২৪
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৪ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেতুষ্টি মনোয়ার

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলতে সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অতি সুরক্ষামূলক আচরণ এবং সন্তানের জীবনে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপকে বোঝায়। সাধারণত হেলিকপ্টার থেকে কোনো অপরাধীকে যেমন অনুসরণ করা হয়, তেমনি এই ধরনের বাবা–মায়েরাও সন্তানের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের ছায়া বিস্তার করে রাখেন। সার্বক্ষণিক নজরদারি
১৫ মার্চ ২০২৪
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৪ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৫ ঘণ্টা আগে