
ভ্রমণ গাইড প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোরাঘুরিতে তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সহায়তা করে লোনলি প্ল্যানেট। নতুন বই বেস্ট বিচেস ইন দ্য ওয়ার্ল্ডের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পৃথিবীর নানা প্রান্তের অসাধারণ সুন্দর সব সমুদ্রসৈকতে ফিচার লেখকদের পাঠায় লোনলি প্ল্যানেট। তাদের বিবেচনায় সেরা ১০ সৈকত নিয়ে আজকের আয়োজন। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই তালিকায় নাম নেই কক্সবাজারের।
১. দ্য পাস, বায়রন বে, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
এখানকার গোলাপি, নরম বালু আকৃষ্ট করবে আপনাকে। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে পূর্ব দিকে অবস্থান এর। সৈকতের পরই শুরু হয়েছে গভীর অরণ্য। সেখানে বাস থলেযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী কোয়ালাদের।
সৈকতটি সার্ফারের স্বর্গরাজ্য। তবে ২০২৩ সালের নতুন আইন অনুসারে এখানে সার্ফ করতে চাইলে বোর্ডের সঙ্গে পায়ে বাঁধার দড়ি সংযুক্ত করতে হবে আপনাকে।
২. ইপানেমা সৈকত, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল
দুই মাইলের কাছাকাছি এলাকায় ছড়িয়ে আছে সৈকতটি। এটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত। সৈকতটিতে লাইফ গার্ডদের নানা রঙের চিহ্ন দেওয়া চেয়ার এখানকার বিভিন্ন অংশের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলে। যেমন পোস্ট ৯ আকৃষ্ট করে সার্ফারদের, ১০ ফুটবল, বিচ ভলিবলের জন্য বিখ্যাত। এদিকে ৯ ফ্যাশন-সচেতন নারী-পুরুষদের জন্য। তেমনি এটি হিপি ও শিল্পীদেরও পছন্দ।
৩. আও মায়ো, কো ফি-ফি, ক্রাবি, থাইল্যান্ড
চুনাপাথরের পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সুন্দর এই সৈকতের দৈর্ঘ্য মোটে ৮২০ ফুট। চওড়ায় ৪৯ ফুট। তবে চিত্র পরিচালক ড্যানি বয়েলের নজরে ঠিকই পড়ে যায় এটি। এখনকার নীলচে জল ও সাদা বালুর রাজ্যে দ্য বিচ ছবির শুটিং করেন তিনি। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। এতে সৈকতটির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়। দিনে ছয় হাজার পর্যটক ছোট্ট এই সৈকতে আসায় ময়লা-আবর্জনা জমা হওয়ার পাশাপাশি সৈকতের প্রবাল ও বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়।
ফলে ২০১৮ সালে সৈকতটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আবার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখন হাঁটু পর্যন্ত জলে নামা গেলেও সাঁতার কাটা বারণ।। এখন দিনে কতজন পর্যটক এখানে ভ্রমণ করতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
৪. নেমবা আইল্যান্ড, জাঞ্জিবার, তানজানিয়া
তানজানিয়ার মূল ভূমিতে কয়েকটা দিন সাফারিতে বন্য প্রাণী দেখে বেড়ানোর পর অসাধারণ সময় কাটতে পারে নেমবা দ্বীপে। কেবল অ্যান্ডবিয়ন্ড রিসোর্টের অতিথিরাই সেখানে যেতে পারেন। সাদা বালুর সৈকতটি মুগ্ধ করবে যে কাউকে। সৈকত ধরে হাঁটা, স্কুবা ডাইভিং বা স্নরকেলিংয়ের (গগলস, স্নরকেল বা শ্বাস নেওয়ার নল ও সাঁতরানোর ফিন ব্যবহার করে সাঁতার কাটা) জন্যও এটি আদর্শ।
৫. সারাকিনিকো, মিলস সিলকেলডিস, গ্রিস
এখানে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপাতি সঙ্গে করেই নিয়ে আসতে হবে আপনাকে। এজিয়ান সাগরের বুকে কিছু আগ্নেয় পাথরের সমষ্টি বলতে পারেন একে। শত শত বছরের সাগরের ঢেউ ও প্রবল বাতাসে পাথরের ভেতর তৈরি করেছে নানা ধরনের গর্ত। গ্রিসের অন্যতম জনপ্রিয় সৈকত হওয়ায় ভিড় এড়াতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ভ্রমণের সবচেয়ে উপযোগী সময়।
৬. চেস্টারম্যান সৈকত, ভ্যাঙ্কুবার আইল্যান্ড, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কানাডা
বেশির ভাগ পর্যটক এখানে যান সার্ফিংয়ের জন্য। তবে এখানকার সৌন্দর্যও আপনাকে মোহিত করবে। কুয়াশা ঢাকা সকালে সূর্যোদয় কিংবা সিডার গাছের ওপাশে সূর্যাস্ত চোখ জুড়িয়ে দেবে আপনার। কায়াকিংয়ের জন্যও এটি চমৎকার একটি জায়গা। জোয়ারের পানি জমে তৈরি হওয়া পুলগুলোতে আটকে যাওয়া শত শত বর্ণিল তারা মাছও মুগ্ধ করবে।
৭. ক্যাবো সান হুয়ান দে গিয়া, পার্কো ন্যাশনাল ন্যাচারাল তাইরোনা, কলম্বিয়া
কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান সাগর উপকূলের এলাকা সোনালি বালুর সৈকত, নারকেলবাগান ও রেইনফরেস্টের জন্য বিখ্যাত। তবে এগুলোর মধ্যে আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে ক্যাবো সান হুয়ান দে গিয়ার।
পাথুরে জমি ঘিরে রাখা সৈকতটিতে পৌঁছাতে কিছুটা পথ হাঁটতে হবে আপনাকে। তবে সেখানে একবার পৌঁছে গেলে মনে হবে এমন দৃশ্য দেখার জন্য এ কষ্ট কিছুই নয়। ও একটি কথা, এখানে প্লাস্টিকের দ্রব্য ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ।
৮. আ সো সিদার’জ, লা দিগি, সেশেলস
নারকেলগাছে শোভিত এখানকার সাদা সৈকত মোহিত করবে যেকোনো পর্যটককে। ঢেউয়ের তোড়ে পানি এসে শান্তভাবে আঘাত হানে গ্রানাইটের তৈরি বড় বড় পাথরকে। ভিড় এড়াতে সকালে আসা ভালো, তবে এখানকার অসাধারণ সূর্যাস্ত উপভোগ করাটা অবশ্যকর্তব্য।
৯. প্লাইয়া বালান্দ্রা, লা পাজ বিসিএস, মেক্সিকো
অগভীর কিন্তু নীল জলের এই সৈকত শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের জন্য আদর্শ। সাঁতারের পাশাপাশি কায়াকিং বা প্যাডল বোটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সাদা বালুর সৈকতটির পাশেই দেখা পাবেন ক্যাকটাসে ভরপুর পর্বতের। তবে সৈকতটি খুব জনপ্রিয় হলেও দিনে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ এতে ভ্রমণ করতে পারেন না। এদিকে প্রতি মাসের প্রথম রোববার কেবল স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রবেশাধিকার থাকে।
১০. পুনতা পালোমা, তারিফা, কাদিজ, স্পেন
নরম বালু, ঝিলমিল করা জল আর বালিয়াড়ি মিলিয়ে এ সৈকতের জুড়ি মেলা ভার। ঘন নীল আটলান্টিকের জল মুগ্ধ চোখে দেখতে দেখতে এখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে চমৎকার সব খাবারের স্বাদও নিতে পারবেন। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন তিমি কিংবা ডলফিনের।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

ভ্রমণ গাইড প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোরাঘুরিতে তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সহায়তা করে লোনলি প্ল্যানেট। নতুন বই বেস্ট বিচেস ইন দ্য ওয়ার্ল্ডের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পৃথিবীর নানা প্রান্তের অসাধারণ সুন্দর সব সমুদ্রসৈকতে ফিচার লেখকদের পাঠায় লোনলি প্ল্যানেট। তাদের বিবেচনায় সেরা ১০ সৈকত নিয়ে আজকের আয়োজন। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই তালিকায় নাম নেই কক্সবাজারের।
১. দ্য পাস, বায়রন বে, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
এখানকার গোলাপি, নরম বালু আকৃষ্ট করবে আপনাকে। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে পূর্ব দিকে অবস্থান এর। সৈকতের পরই শুরু হয়েছে গভীর অরণ্য। সেখানে বাস থলেযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী কোয়ালাদের।
সৈকতটি সার্ফারের স্বর্গরাজ্য। তবে ২০২৩ সালের নতুন আইন অনুসারে এখানে সার্ফ করতে চাইলে বোর্ডের সঙ্গে পায়ে বাঁধার দড়ি সংযুক্ত করতে হবে আপনাকে।
২. ইপানেমা সৈকত, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল
দুই মাইলের কাছাকাছি এলাকায় ছড়িয়ে আছে সৈকতটি। এটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত। সৈকতটিতে লাইফ গার্ডদের নানা রঙের চিহ্ন দেওয়া চেয়ার এখানকার বিভিন্ন অংশের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলে। যেমন পোস্ট ৯ আকৃষ্ট করে সার্ফারদের, ১০ ফুটবল, বিচ ভলিবলের জন্য বিখ্যাত। এদিকে ৯ ফ্যাশন-সচেতন নারী-পুরুষদের জন্য। তেমনি এটি হিপি ও শিল্পীদেরও পছন্দ।
৩. আও মায়ো, কো ফি-ফি, ক্রাবি, থাইল্যান্ড
চুনাপাথরের পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সুন্দর এই সৈকতের দৈর্ঘ্য মোটে ৮২০ ফুট। চওড়ায় ৪৯ ফুট। তবে চিত্র পরিচালক ড্যানি বয়েলের নজরে ঠিকই পড়ে যায় এটি। এখনকার নীলচে জল ও সাদা বালুর রাজ্যে দ্য বিচ ছবির শুটিং করেন তিনি। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। এতে সৈকতটির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়। দিনে ছয় হাজার পর্যটক ছোট্ট এই সৈকতে আসায় ময়লা-আবর্জনা জমা হওয়ার পাশাপাশি সৈকতের প্রবাল ও বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়।
ফলে ২০১৮ সালে সৈকতটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আবার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখন হাঁটু পর্যন্ত জলে নামা গেলেও সাঁতার কাটা বারণ।। এখন দিনে কতজন পর্যটক এখানে ভ্রমণ করতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
৪. নেমবা আইল্যান্ড, জাঞ্জিবার, তানজানিয়া
তানজানিয়ার মূল ভূমিতে কয়েকটা দিন সাফারিতে বন্য প্রাণী দেখে বেড়ানোর পর অসাধারণ সময় কাটতে পারে নেমবা দ্বীপে। কেবল অ্যান্ডবিয়ন্ড রিসোর্টের অতিথিরাই সেখানে যেতে পারেন। সাদা বালুর সৈকতটি মুগ্ধ করবে যে কাউকে। সৈকত ধরে হাঁটা, স্কুবা ডাইভিং বা স্নরকেলিংয়ের (গগলস, স্নরকেল বা শ্বাস নেওয়ার নল ও সাঁতরানোর ফিন ব্যবহার করে সাঁতার কাটা) জন্যও এটি আদর্শ।
৫. সারাকিনিকো, মিলস সিলকেলডিস, গ্রিস
এখানে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপাতি সঙ্গে করেই নিয়ে আসতে হবে আপনাকে। এজিয়ান সাগরের বুকে কিছু আগ্নেয় পাথরের সমষ্টি বলতে পারেন একে। শত শত বছরের সাগরের ঢেউ ও প্রবল বাতাসে পাথরের ভেতর তৈরি করেছে নানা ধরনের গর্ত। গ্রিসের অন্যতম জনপ্রিয় সৈকত হওয়ায় ভিড় এড়াতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ভ্রমণের সবচেয়ে উপযোগী সময়।
৬. চেস্টারম্যান সৈকত, ভ্যাঙ্কুবার আইল্যান্ড, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কানাডা
বেশির ভাগ পর্যটক এখানে যান সার্ফিংয়ের জন্য। তবে এখানকার সৌন্দর্যও আপনাকে মোহিত করবে। কুয়াশা ঢাকা সকালে সূর্যোদয় কিংবা সিডার গাছের ওপাশে সূর্যাস্ত চোখ জুড়িয়ে দেবে আপনার। কায়াকিংয়ের জন্যও এটি চমৎকার একটি জায়গা। জোয়ারের পানি জমে তৈরি হওয়া পুলগুলোতে আটকে যাওয়া শত শত বর্ণিল তারা মাছও মুগ্ধ করবে।
৭. ক্যাবো সান হুয়ান দে গিয়া, পার্কো ন্যাশনাল ন্যাচারাল তাইরোনা, কলম্বিয়া
কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান সাগর উপকূলের এলাকা সোনালি বালুর সৈকত, নারকেলবাগান ও রেইনফরেস্টের জন্য বিখ্যাত। তবে এগুলোর মধ্যে আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে ক্যাবো সান হুয়ান দে গিয়ার।
পাথুরে জমি ঘিরে রাখা সৈকতটিতে পৌঁছাতে কিছুটা পথ হাঁটতে হবে আপনাকে। তবে সেখানে একবার পৌঁছে গেলে মনে হবে এমন দৃশ্য দেখার জন্য এ কষ্ট কিছুই নয়। ও একটি কথা, এখানে প্লাস্টিকের দ্রব্য ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ।
৮. আ সো সিদার’জ, লা দিগি, সেশেলস
নারকেলগাছে শোভিত এখানকার সাদা সৈকত মোহিত করবে যেকোনো পর্যটককে। ঢেউয়ের তোড়ে পানি এসে শান্তভাবে আঘাত হানে গ্রানাইটের তৈরি বড় বড় পাথরকে। ভিড় এড়াতে সকালে আসা ভালো, তবে এখানকার অসাধারণ সূর্যাস্ত উপভোগ করাটা অবশ্যকর্তব্য।
৯. প্লাইয়া বালান্দ্রা, লা পাজ বিসিএস, মেক্সিকো
অগভীর কিন্তু নীল জলের এই সৈকত শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের জন্য আদর্শ। সাঁতারের পাশাপাশি কায়াকিং বা প্যাডল বোটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সাদা বালুর সৈকতটির পাশেই দেখা পাবেন ক্যাকটাসে ভরপুর পর্বতের। তবে সৈকতটি খুব জনপ্রিয় হলেও দিনে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ এতে ভ্রমণ করতে পারেন না। এদিকে প্রতি মাসের প্রথম রোববার কেবল স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রবেশাধিকার থাকে।
১০. পুনতা পালোমা, তারিফা, কাদিজ, স্পেন
নরম বালু, ঝিলমিল করা জল আর বালিয়াড়ি মিলিয়ে এ সৈকতের জুড়ি মেলা ভার। ঘন নীল আটলান্টিকের জল মুগ্ধ চোখে দেখতে দেখতে এখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে চমৎকার সব খাবারের স্বাদও নিতে পারবেন। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন তিমি কিংবা ডলফিনের।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
৫ মিনিট আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
৫ মিনিট আগে
মেটালের গয়নায় অ্যালার্জি থাকায় পরলে কানে ও গলায়, কখনো কখনো হাতেও চুলকানি হয় এবং ফুসকুড়ি ওঠে। তা ছাড়া জরি বা চুমকিওয়ালা শাড়ি, ব্লাউজ পরলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দানা ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
১৩ ঘণ্টা আগেফারাহ্ রহমান

বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না। এর মূল কারণ হলো ভুল ময়দা নির্বাচন করা। প্রতিটি খাবারের সঠিক গন্ধ ও স্বাদ বজায় রাখতে এর মূল উপাদান সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। তারপর নতুন বছর; ফলে এটাই বেকিংয়ের সেরা সময়। জেনে নিতে পারেন কোন খাবার বেকিংয়ে কোন ধরনের ময়দা বেছে নিতে হবে।
ময়দা আসলে কী
বিভিন্ন শস্য; যেমন ধান, গম, যব, বিভিন্ন বাদাম অথবা বিভিন্ন বীজ পিষে তৈরি করা মিহি গুঁড়াই মূলত ময়দা। আমরা সাধারণত গমের ময়দা বেশি ব্যবহার করি। ময়দার সঙ্গে পানি বা দুধ মেশালে এতে থাকা প্রোটিনগুলো মিলে ‘গ্লুটেন’ তৈরি করে। এই গ্লুটেনই খাবার নরম বানায়।
ভিন্ন ভিন্ন ময়দা এবং এর ব্যবহার
সাধারণ ময়দা
আমাদের রান্নাঘরে খুঁজলেই পাওয়া যায় এই সাধারণ ময়দা বা অল পারপাস ফ্লাওয়ার। কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি কিংবা প্যানকেক বানানোর জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এর গ্লুটেন মাঝারি মানের হওয়ায় তৈরি খাবার খুব বেশি নরম বা শক্ত হয় না।
স্ট্রং হোয়াইট ব্রেড ফ্লাওয়ার
এটি পাউরুটি বানানোর জন্য বিশেষ ময়দা। যাঁরা ঘরে পাউরুটি, পিৎজা অথবা ডোনাট বানাতে চান, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা প্রচুর গ্লুটেন তৈরি করে। ফলে পাউরুটি অনেক বেশি ফোলে এবং সুন্দর টেক্সচার তৈরি করে।
সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার
এই ময়দায় আগে থেকে বেকিং পাউডার ও লবণ মেশানো থাকে। ঝটপট কেক, মাফিন বা স্কোনস বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে আগে থেকে পরিমাণমতো সব মেশানো থাকায় পরিমাণে ভুল হওয়ার ভয় থাকে না।
হোলসাম ফ্লাওয়ার
পুরো গম পিষে এটি তৈরি করা হয়। ফলে এতে আঁশ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এটি দেখতে লাল বা বাদামি রঙের হয়। স্বাস্থ্যকর রুটি বা ভারী পাউরুটি বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটু ঘন ও দানাদার হয়।
কর্নফ্লাওয়ার
এটি আসলে বেকিংয়ের চেয়ে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়। স্যুপ অথবা ঘন সস তৈরিতে কর্নফ্লাওয়ার অতুলনীয়। তবে এটি ব্যবহার করার আগে ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করলে দলা পাকানোর ভয় থাকে না।
সঠিক নির্বাচনেই সাফল্য
যে রেসিপির জন্য যে ধরনের ময়দার কথা বলা হয়, সব সময় সেটিই ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাতের কাছে সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার না থাকলে সাধারণ ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিলে কাজ চলে যাবে। সঠিক ময়দা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে দারুণ কেক বা পাউরুটি বানাতে পারবেন।
সূত্র: গয়া বেকারি ও অন্যান্য

বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না। এর মূল কারণ হলো ভুল ময়দা নির্বাচন করা। প্রতিটি খাবারের সঠিক গন্ধ ও স্বাদ বজায় রাখতে এর মূল উপাদান সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। তারপর নতুন বছর; ফলে এটাই বেকিংয়ের সেরা সময়। জেনে নিতে পারেন কোন খাবার বেকিংয়ে কোন ধরনের ময়দা বেছে নিতে হবে।
ময়দা আসলে কী
বিভিন্ন শস্য; যেমন ধান, গম, যব, বিভিন্ন বাদাম অথবা বিভিন্ন বীজ পিষে তৈরি করা মিহি গুঁড়াই মূলত ময়দা। আমরা সাধারণত গমের ময়দা বেশি ব্যবহার করি। ময়দার সঙ্গে পানি বা দুধ মেশালে এতে থাকা প্রোটিনগুলো মিলে ‘গ্লুটেন’ তৈরি করে। এই গ্লুটেনই খাবার নরম বানায়।
ভিন্ন ভিন্ন ময়দা এবং এর ব্যবহার
সাধারণ ময়দা
আমাদের রান্নাঘরে খুঁজলেই পাওয়া যায় এই সাধারণ ময়দা বা অল পারপাস ফ্লাওয়ার। কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি কিংবা প্যানকেক বানানোর জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এর গ্লুটেন মাঝারি মানের হওয়ায় তৈরি খাবার খুব বেশি নরম বা শক্ত হয় না।
স্ট্রং হোয়াইট ব্রেড ফ্লাওয়ার
এটি পাউরুটি বানানোর জন্য বিশেষ ময়দা। যাঁরা ঘরে পাউরুটি, পিৎজা অথবা ডোনাট বানাতে চান, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা প্রচুর গ্লুটেন তৈরি করে। ফলে পাউরুটি অনেক বেশি ফোলে এবং সুন্দর টেক্সচার তৈরি করে।
সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার
এই ময়দায় আগে থেকে বেকিং পাউডার ও লবণ মেশানো থাকে। ঝটপট কেক, মাফিন বা স্কোনস বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে আগে থেকে পরিমাণমতো সব মেশানো থাকায় পরিমাণে ভুল হওয়ার ভয় থাকে না।
হোলসাম ফ্লাওয়ার
পুরো গম পিষে এটি তৈরি করা হয়। ফলে এতে আঁশ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এটি দেখতে লাল বা বাদামি রঙের হয়। স্বাস্থ্যকর রুটি বা ভারী পাউরুটি বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটু ঘন ও দানাদার হয়।
কর্নফ্লাওয়ার
এটি আসলে বেকিংয়ের চেয়ে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়। স্যুপ অথবা ঘন সস তৈরিতে কর্নফ্লাওয়ার অতুলনীয়। তবে এটি ব্যবহার করার আগে ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করলে দলা পাকানোর ভয় থাকে না।
সঠিক নির্বাচনেই সাফল্য
যে রেসিপির জন্য যে ধরনের ময়দার কথা বলা হয়, সব সময় সেটিই ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাতের কাছে সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার না থাকলে সাধারণ ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিলে কাজ চলে যাবে। সঠিক ময়দা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে দারুণ কেক বা পাউরুটি বানাতে পারবেন।
সূত্র: গয়া বেকারি ও অন্যান্য

ভ্রমণ গাইড প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোরাঘুরির বিষয়ে তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সহায়তা করে লোনলি প্ল্যানেট। লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় বিশ্বের সেরা ১০ সৈকতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই তালিকায় নাম নেই কক্সবাজারের।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
৫ মিনিট আগে
মেটালের গয়নায় অ্যালার্জি থাকায় পরলে কানে ও গলায়, কখনো কখনো হাতেও চুলকানি হয় এবং ফুসকুড়ি ওঠে। তা ছাড়া জরি বা চুমকিওয়ালা শাড়ি, ব্লাউজ পরলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দানা ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের পাশাপাশি ভেজ আইটেমও তো রাখা চাই। কী থাকতে পারে ভেজ আইটেমে?
হানি রোস্টেড ক্যারট
উপকরণ
ছোট গাজর ১ কেজি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, খাঁটি মধু ৩ টেবিল চামচ, তাজা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, থাইম গুঁড়া সামান্য, লবণ এবং গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন। গাজরের গোড়া ও আগার অংশ কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিন। গাজর মোটা হলে লম্বালম্বি অর্ধেক বা লম্বালম্বি চার টুকরো করে কেটে নিয়ে একটি বড় বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার এগুলোর ওপর অলিভ অয়েল ঢেলে দিন। এরপর ওপর থেকে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মেশান। তারপর ওভেনে ১৫ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। প্রায় নরম ও হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত বেক করতে থাকুন। কতটা সময় বেক করতে হবে, তা নির্ভর করবে গাজর কতটা পুরু তার ওপর।
এই ফাঁকে একটি বাটিতে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। এবার ওভেন থেকে গাজরের ট্রে বের করে নিয়ে বেক করা গাজরের ওপর মধু ও লেবুর মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। সামান্য থাইম পাতার গুঁড়াও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার সবকিছু হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে আরও ৮-১০ মিনিটের জন্য ওভেনে বেক করুন। গাজরে চকচকে ভাব এলে বের করে পরিবেশন করুন।
এই রেসিপি ভেগানদের জন্য তৈরি করতে, মধুর পরিবর্তে ম্যাপল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন।
রেড ক্যাবেজ স্যালাড
উপকরণ
মাখন ১ চা-চামচ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, সরু করে কাটা পেঁয়াজ ১টি, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা- চামচ, জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, ঝিরি ঝিরি করে কাটা লাল বাঁধাকপি ৬০০ গ্রাম, ব্রাউন সুগার ৩ টেবিল চামচ, খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে করা আপেল ৩টি, সিরকা এক টেবিল চামচ, থাইম পাতা সাজানোর জন্য।
প্রণালি
একটি বড় ঢাকনাযুক্ত সসপ্যানে মাখন এবং তেল গরম করুন। গরম হলে পেঁয়াজ দিন এবং নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার অন্যান্য মসলা দিয়ে নাড়ুন। তারপর বাঁধাকপি যোগ করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। এভাবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাজুন। এবার চিনি, আপেল কুচি ও সিরকা দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট ধরে রান্না করুন। সবশেষ নিজের পছন্দমতো ডিশে পরিবেশন করুন।
পারফেক্ট রোস্ট পটেটো
উপকরণ
যেকোনো উদ্ভিজ্জ তেল ৩ টেবিল চামচ, ৪ ভাগ করে কাটা মাঝারি আকারের আলু ২০০ গ্রাম, লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রিহিট করুন। চুলায় আলুগুলো প্যানে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। আধা সেদ্ধ হলে আলুগুলো চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে আলুর সঙ্গে লেগে থাকা বাড়তি পানি শুকিয়ে ফেলুন। এবার ট্রেতে করে আলুগুলো ১০ মিনিটের জন্য বাতাসের নিচে রাখুন। ওভেন ট্রেতে তেল দিয়ে আলুগুলো ছড়িয়ে দিন। ভালোভাবে তেল ও আলু মাখা হয়ে গেলে ওভেনে ২০ মিনিট ধরে বেক করুন। এরপর বের করে আলুগুলো উল্টেপাল্টে দিয়ে আরও ২০-৩০ মিনিটের জন্য অথবা সোনালি ও মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন। হয়ে গেলে আলুর ওপর লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
সূত্র: বিবিসি ইউকে

আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের পাশাপাশি ভেজ আইটেমও তো রাখা চাই। কী থাকতে পারে ভেজ আইটেমে?
হানি রোস্টেড ক্যারট
উপকরণ
ছোট গাজর ১ কেজি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, খাঁটি মধু ৩ টেবিল চামচ, তাজা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, থাইম গুঁড়া সামান্য, লবণ এবং গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন। গাজরের গোড়া ও আগার অংশ কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিন। গাজর মোটা হলে লম্বালম্বি অর্ধেক বা লম্বালম্বি চার টুকরো করে কেটে নিয়ে একটি বড় বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার এগুলোর ওপর অলিভ অয়েল ঢেলে দিন। এরপর ওপর থেকে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মেশান। তারপর ওভেনে ১৫ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। প্রায় নরম ও হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত বেক করতে থাকুন। কতটা সময় বেক করতে হবে, তা নির্ভর করবে গাজর কতটা পুরু তার ওপর।
এই ফাঁকে একটি বাটিতে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। এবার ওভেন থেকে গাজরের ট্রে বের করে নিয়ে বেক করা গাজরের ওপর মধু ও লেবুর মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। সামান্য থাইম পাতার গুঁড়াও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার সবকিছু হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে আরও ৮-১০ মিনিটের জন্য ওভেনে বেক করুন। গাজরে চকচকে ভাব এলে বের করে পরিবেশন করুন।
এই রেসিপি ভেগানদের জন্য তৈরি করতে, মধুর পরিবর্তে ম্যাপল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন।
রেড ক্যাবেজ স্যালাড
উপকরণ
মাখন ১ চা-চামচ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, সরু করে কাটা পেঁয়াজ ১টি, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা- চামচ, জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, ঝিরি ঝিরি করে কাটা লাল বাঁধাকপি ৬০০ গ্রাম, ব্রাউন সুগার ৩ টেবিল চামচ, খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে করা আপেল ৩টি, সিরকা এক টেবিল চামচ, থাইম পাতা সাজানোর জন্য।
প্রণালি
একটি বড় ঢাকনাযুক্ত সসপ্যানে মাখন এবং তেল গরম করুন। গরম হলে পেঁয়াজ দিন এবং নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার অন্যান্য মসলা দিয়ে নাড়ুন। তারপর বাঁধাকপি যোগ করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। এভাবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাজুন। এবার চিনি, আপেল কুচি ও সিরকা দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট ধরে রান্না করুন। সবশেষ নিজের পছন্দমতো ডিশে পরিবেশন করুন।
পারফেক্ট রোস্ট পটেটো
উপকরণ
যেকোনো উদ্ভিজ্জ তেল ৩ টেবিল চামচ, ৪ ভাগ করে কাটা মাঝারি আকারের আলু ২০০ গ্রাম, লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রিহিট করুন। চুলায় আলুগুলো প্যানে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। আধা সেদ্ধ হলে আলুগুলো চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে আলুর সঙ্গে লেগে থাকা বাড়তি পানি শুকিয়ে ফেলুন। এবার ট্রেতে করে আলুগুলো ১০ মিনিটের জন্য বাতাসের নিচে রাখুন। ওভেন ট্রেতে তেল দিয়ে আলুগুলো ছড়িয়ে দিন। ভালোভাবে তেল ও আলু মাখা হয়ে গেলে ওভেনে ২০ মিনিট ধরে বেক করুন। এরপর বের করে আলুগুলো উল্টেপাল্টে দিয়ে আরও ২০-৩০ মিনিটের জন্য অথবা সোনালি ও মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন। হয়ে গেলে আলুর ওপর লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
সূত্র: বিবিসি ইউকে

ভ্রমণ গাইড প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোরাঘুরির বিষয়ে তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সহায়তা করে লোনলি প্ল্যানেট। লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় বিশ্বের সেরা ১০ সৈকতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই তালিকায় নাম নেই কক্সবাজারের।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
৫ মিনিট আগে
মেটালের গয়নায় অ্যালার্জি থাকায় পরলে কানে ও গলায়, কখনো কখনো হাতেও চুলকানি হয় এবং ফুসকুড়ি ওঠে। তা ছাড়া জরি বা চুমকিওয়ালা শাড়ি, ব্লাউজ পরলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দানা ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
১৩ ঘণ্টা আগেশোভন সাহা

প্রশ্ন: মেটালের গয়নায় অ্যালার্জি থাকায় পরলে কানে ও গলায়, কখনো কখনো হাতেও চুলকানি হয় এবং ফুসকুড়ি ওঠে। তা ছাড়া জরি বা চুমকিওয়ালা শাড়ি, ব্লাউজ পরলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দানা ওঠে। তবে নিরাপদ কোনো ঘরোয়া সমাধান কি আছে এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচার?
তুলতুল খান, ঢাকা
এ ধরনের অ্যালার্জি অনেকের থাকে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় বেছে নিতে হবে। খাঁটি সোনা ও রুপার গয়না পরে দেখতে পারেন। এ ধরনের গয়নায় অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা কম। এর বাইরে অন্যান্য মেটালের গয়নার পরিবর্তে কাপড়, ক্লে, পার্ল বা মাটির গয়না ব্যবহার করতে পারেন। কাপড়ের বেলায়ও নরম ও পরতে আরাম এমন বিকল্প বেছে নিতে হবে।
প্রশ্ন: আমার চুলের ওপরের দিক ঘন আর নিচের দিকে একেবারে পাতলা ও সরু। সমান ঘনত্বের জন্য কি কোনো সমাধান আছে? বছরে দুবার আমি চুলের আগা ছাঁটাই করি।
রোকেয়া সারোয়ার, নোয়াখালী
চুল ভালো রাখার জন্য মাসে একবার ট্রিম করা জরুরি। দীর্ঘদিন ট্রিম না করালে চুলের আগা একেবারে লেজের মতো সরু হয়ে যায়। এ ছাড়া চুল পড়ার সমস্যা যদি থাকে, তাহলে মাসে একবার ভালো পারলার থেকে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন: শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রেচ মার্ক আছে। এগুলো দূর করতে কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে কোলাজেন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। এ ছাড়া কোলাজেনসমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরও কাজ না হলে একজন লেজার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

প্রশ্ন: মেটালের গয়নায় অ্যালার্জি থাকায় পরলে কানে ও গলায়, কখনো কখনো হাতেও চুলকানি হয় এবং ফুসকুড়ি ওঠে। তা ছাড়া জরি বা চুমকিওয়ালা শাড়ি, ব্লাউজ পরলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দানা ওঠে। তবে নিরাপদ কোনো ঘরোয়া সমাধান কি আছে এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচার?
তুলতুল খান, ঢাকা
এ ধরনের অ্যালার্জি অনেকের থাকে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় বেছে নিতে হবে। খাঁটি সোনা ও রুপার গয়না পরে দেখতে পারেন। এ ধরনের গয়নায় অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা কম। এর বাইরে অন্যান্য মেটালের গয়নার পরিবর্তে কাপড়, ক্লে, পার্ল বা মাটির গয়না ব্যবহার করতে পারেন। কাপড়ের বেলায়ও নরম ও পরতে আরাম এমন বিকল্প বেছে নিতে হবে।
প্রশ্ন: আমার চুলের ওপরের দিক ঘন আর নিচের দিকে একেবারে পাতলা ও সরু। সমান ঘনত্বের জন্য কি কোনো সমাধান আছে? বছরে দুবার আমি চুলের আগা ছাঁটাই করি।
রোকেয়া সারোয়ার, নোয়াখালী
চুল ভালো রাখার জন্য মাসে একবার ট্রিম করা জরুরি। দীর্ঘদিন ট্রিম না করালে চুলের আগা একেবারে লেজের মতো সরু হয়ে যায়। এ ছাড়া চুল পড়ার সমস্যা যদি থাকে, তাহলে মাসে একবার ভালো পারলার থেকে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন: শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রেচ মার্ক আছে। এগুলো দূর করতে কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে কোলাজেন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। এ ছাড়া কোলাজেনসমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরও কাজ না হলে একজন লেজার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

ভ্রমণ গাইড প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোরাঘুরির বিষয়ে তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সহায়তা করে লোনলি প্ল্যানেট। লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় বিশ্বের সেরা ১০ সৈকতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই তালিকায় নাম নেই কক্সবাজারের।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
৫ মিনিট আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
৫ মিনিট আগে
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।
উপকরণ
মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।
উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

ম্যারিনেশন প্রণালি
মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।
টিপস
ব্যাটার তৈরি
ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

কোটিং
ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।
টিপস
ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।
ভাজা
যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
পরিবেশন

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।
উপকরণ
মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।
উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

ম্যারিনেশন প্রণালি
মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।
টিপস
ব্যাটার তৈরি
ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

কোটিং
ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।
টিপস
ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।
ভাজা
যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
পরিবেশন

ভ্রমণ গাইড প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোরাঘুরির বিষয়ে তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সহায়তা করে লোনলি প্ল্যানেট। লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় বিশ্বের সেরা ১০ সৈকতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই তালিকায় নাম নেই কক্সবাজারের।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
৫ মিনিট আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
৫ মিনিট আগে
মেটালের গয়নায় অ্যালার্জি থাকায় পরলে কানে ও গলায়, কখনো কখনো হাতেও চুলকানি হয় এবং ফুসকুড়ি ওঠে। তা ছাড়া জরি বা চুমকিওয়ালা শাড়ি, ব্লাউজ পরলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দানা ওঠে।
১ ঘণ্টা আগে