কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে চায়। সব ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়ানো ছাড়াও সম্পর্ক গভীরতর করার পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে দুই দেশ কাজ করবে। ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে লাভরভ এই মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে, তখন লাভরভের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুই মন্ত্রীর আলোচনায় রাশিয়ার প্রযুক্তি ও অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের হালচাল, দেশটি থেকে এলএনজি আমদানিসহ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো এবং রোহিঙ্গা-সংকটসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় স্থান পেয়েছে।
লাভরভ ব্রিফিংয়ে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলছে। নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে। এই কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের পর বাংলাদেশকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, ২০২২ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে ৩০০ কোটি ডলারের। কী করে বাণিজ্য বাড়ানো যায়, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার আন্তসরকার কমিশন খতিয়ে দেখবে।
রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম বাংলাদেশে গ্যাসের ২০টি কূপ খনন করেছে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, খননকাজ চলতে থাকবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সরবরাহব্যবস্থা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন বিঘ্নিত হওয়ার কথা স্বীকার করেন রুশ মন্ত্রী।
লাভরভ বলেন, দুই দেশ নিজেদের মুদ্রায় কী করে লেনদেন শুরু করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে রাশিয়াকে ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর বাইরে রাশিয়াকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে। দেশটি থেকে এলএনজি, গম ও সার আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
ভারতের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল সরবরাহের বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায় বলে এই কূটনীতিক জানান।
রোহিঙ্গা বিষয়ে লাভরভ বলেন, তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তার প্রতি রাশিয়ার সমর্থন আছে। বাইরের অন্য শক্তিগুলো বড়জোর ফেরার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে, যেমনটি রাশিয়া করছে।
মিয়ানমারের নাম উল্লেখ না করে লাভরভ বলেন, কিছু বিদেশি শক্তি একটি দেশের ওপর রোহিঙ্গা বিষয়ে যে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ করায় এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে দ্বিপক্ষীয় কোনো স্মারক অথবা চুক্তি সই হয়নি।
কমবেশি ১৬ ঘণ্টার সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টার দিকে জাকার্তা থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার ভালো সম্পর্ক থাকলেও গত ৫২ বছর দেশটি থেকে এটাই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর।
লাভরভ শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল ১০টায় দিল্লির পথে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে চায়। সব ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়ানো ছাড়াও সম্পর্ক গভীরতর করার পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে দুই দেশ কাজ করবে। ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে লাভরভ এই মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে, তখন লাভরভের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুই মন্ত্রীর আলোচনায় রাশিয়ার প্রযুক্তি ও অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের হালচাল, দেশটি থেকে এলএনজি আমদানিসহ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো এবং রোহিঙ্গা-সংকটসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় স্থান পেয়েছে।
লাভরভ ব্রিফিংয়ে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলছে। নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে। এই কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের পর বাংলাদেশকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, ২০২২ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে ৩০০ কোটি ডলারের। কী করে বাণিজ্য বাড়ানো যায়, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার আন্তসরকার কমিশন খতিয়ে দেখবে।
রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম বাংলাদেশে গ্যাসের ২০টি কূপ খনন করেছে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, খননকাজ চলতে থাকবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সরবরাহব্যবস্থা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন বিঘ্নিত হওয়ার কথা স্বীকার করেন রুশ মন্ত্রী।
লাভরভ বলেন, দুই দেশ নিজেদের মুদ্রায় কী করে লেনদেন শুরু করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে রাশিয়াকে ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর বাইরে রাশিয়াকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে। দেশটি থেকে এলএনজি, গম ও সার আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
ভারতের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল সরবরাহের বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায় বলে এই কূটনীতিক জানান।
রোহিঙ্গা বিষয়ে লাভরভ বলেন, তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তার প্রতি রাশিয়ার সমর্থন আছে। বাইরের অন্য শক্তিগুলো বড়জোর ফেরার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে, যেমনটি রাশিয়া করছে।
মিয়ানমারের নাম উল্লেখ না করে লাভরভ বলেন, কিছু বিদেশি শক্তি একটি দেশের ওপর রোহিঙ্গা বিষয়ে যে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ করায় এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে দ্বিপক্ষীয় কোনো স্মারক অথবা চুক্তি সই হয়নি।
কমবেশি ১৬ ঘণ্টার সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টার দিকে জাকার্তা থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার ভালো সম্পর্ক থাকলেও গত ৫২ বছর দেশটি থেকে এটাই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর।
লাভরভ শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল ১০টায় দিল্লির পথে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৭ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৯ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে