নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার গণভবনে করা এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
টাকা পাচার নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক ফারজানা রূপার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নজরদারিতে আনার কারণেই সবাই জানতে পেরেছেন। আপনারা খুঁজে বের করেন নাইতো। আবার এমন এমন ব্যক্তি অর্থ পাচারের তথ্য আছে। সেটা আপনারা লিখবেন কী না আমার সন্দেহ আছে। বহু তথ্য...অনেক স্বনামধন্যদের ব্যাপারেও তথ্য আমার কাছে আছে। এটা আমাদের দুদক ও ব্যাংকের মাধ্যমে তথ্য আসছে। তবে সেটা আপনারা লিখবেন কী না সেটা দেখব।’
সুইস ব্যাংকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহু আগে আমরা তালিকা চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা আসেনি। সবাই হাওয়াই কথা বলে যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য দিয়ে বলতে পারে না।’
ডলার নিয়ে বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন তিনি। করোনা সময়ে খরচ কম থাকায় দেশের রিজার্ভ বেড়েছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে আমদানি বাড়ায় রিজার্ভ কমেছে। তবে বাংলাদেশ ঋণ সঠিক সময়ে পরিশোধ করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই ঋণখেলাপি হইনি। সেটা করতে গিয়েই রিজার্ভে টান পড়ে।’
ডলার নিয়ে কিছু শ্রেণি কারসাজি করেছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেটা মনিটরিং করায় স্থিতিশীল পরিবেশ হয়েছে।
চলমান বৈশ্বিক সংকট নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘হয়তো সামনের বছর এই সংকট আরও বেশি দেখা দেবে বিশ্বব্যাপী।’ সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে অর্থনীতির চরম দুরবস্থা দেখা দিতে পারে।’
পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে আগে থেকে সঞ্চয় ও সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে থেকে তা না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যদি এই যুদ্ধ বন্ধ না হয়, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হয়।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, তবুওতো আমরা চালাচ্ছি। ইউরোপ, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য যা যা করণীয় সেটা সরকার করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের মনোভাব জানতে চান সাংবাদিক নঈম নিজাম। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত মনে করে রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন এখানে থাকায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রাকৃতিক সংকট তৈরি হয়েছে। ওদের নিজেদের (রোহিঙ্গা) দ্বন্দ্বে মাদক পাচার, মানবপাচার, খুনোখুনি হচ্ছে। ভারতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। তাদের সাড়াটা ছিল ইতিবাচক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমারের সরকারের দিক থেকে। তাদের যে যতটা পারুক চাপ দেয়। কিন্তু এরা কিছু করে না। নিজেরাই দ্বন্দ্বে, সংঘাতে লিপ্ত হয়ে গেছে। সেটাই বড় সমস্যা। ভারত সব সময় মনে করে এটার সমাধান হওয়া উচিত।’
আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে জায়গা দিয়েছি। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে এটা বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তারপরও তারাতো মানুষ, ফেলে দিতে পারি না। সারা বিশ্বেই যুদ্ধের কারণে শরণার্থী বেড়েছে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার গণভবনে করা এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
টাকা পাচার নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক ফারজানা রূপার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নজরদারিতে আনার কারণেই সবাই জানতে পেরেছেন। আপনারা খুঁজে বের করেন নাইতো। আবার এমন এমন ব্যক্তি অর্থ পাচারের তথ্য আছে। সেটা আপনারা লিখবেন কী না আমার সন্দেহ আছে। বহু তথ্য...অনেক স্বনামধন্যদের ব্যাপারেও তথ্য আমার কাছে আছে। এটা আমাদের দুদক ও ব্যাংকের মাধ্যমে তথ্য আসছে। তবে সেটা আপনারা লিখবেন কী না সেটা দেখব।’
সুইস ব্যাংকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহু আগে আমরা তালিকা চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা আসেনি। সবাই হাওয়াই কথা বলে যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য দিয়ে বলতে পারে না।’
ডলার নিয়ে বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন তিনি। করোনা সময়ে খরচ কম থাকায় দেশের রিজার্ভ বেড়েছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে আমদানি বাড়ায় রিজার্ভ কমেছে। তবে বাংলাদেশ ঋণ সঠিক সময়ে পরিশোধ করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই ঋণখেলাপি হইনি। সেটা করতে গিয়েই রিজার্ভে টান পড়ে।’
ডলার নিয়ে কিছু শ্রেণি কারসাজি করেছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেটা মনিটরিং করায় স্থিতিশীল পরিবেশ হয়েছে।
চলমান বৈশ্বিক সংকট নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘হয়তো সামনের বছর এই সংকট আরও বেশি দেখা দেবে বিশ্বব্যাপী।’ সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে অর্থনীতির চরম দুরবস্থা দেখা দিতে পারে।’
পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে আগে থেকে সঞ্চয় ও সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে থেকে তা না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যদি এই যুদ্ধ বন্ধ না হয়, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হয়।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, তবুওতো আমরা চালাচ্ছি। ইউরোপ, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য যা যা করণীয় সেটা সরকার করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের মনোভাব জানতে চান সাংবাদিক নঈম নিজাম। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত মনে করে রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন এখানে থাকায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রাকৃতিক সংকট তৈরি হয়েছে। ওদের নিজেদের (রোহিঙ্গা) দ্বন্দ্বে মাদক পাচার, মানবপাচার, খুনোখুনি হচ্ছে। ভারতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। তাদের সাড়াটা ছিল ইতিবাচক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমারের সরকারের দিক থেকে। তাদের যে যতটা পারুক চাপ দেয়। কিন্তু এরা কিছু করে না। নিজেরাই দ্বন্দ্বে, সংঘাতে লিপ্ত হয়ে গেছে। সেটাই বড় সমস্যা। ভারত সব সময় মনে করে এটার সমাধান হওয়া উচিত।’
আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে জায়গা দিয়েছি। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে এটা বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তারপরও তারাতো মানুষ, ফেলে দিতে পারি না। সারা বিশ্বেই যুদ্ধের কারণে শরণার্থী বেড়েছে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
২২ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না।
২ ঘণ্টা আগেসমান্তরাল জায়গায় মাটি ভরাট করে পাথর ফেলে তার ওপর বসানো হয় রেললাইন। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত মাত্রায় পাথর থাকা অত্যন্ত জরুরি। অভিযোগ উঠেছে, রেললাইনের নিচে থাকার কথা ৮ ইঞ্চি পাথরের স্তর; কিন্তু সব জায়গায় তা নেই। এতে লাইনের শক্তি কমে যায়। তাই প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রেলপথে অব্যবস্থাপনা এবং যাত্রী হয়রানি-সংক্র
৬ ঘণ্টা আগেকাজের ব্যস্ততায় একমাত্র ছেলেকে তেমন সময় দিতে পারেন না সরকারি চাকুরে সায়মা মুসলিমীন। তাই ছেলের বিনোদনের জন্য বেছে নিয়েছেন খেলার মাঠ। রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসিন্দা সায়মা ‘গুলশান ইয়ুথ ক্লাব’-এর ব্যবস্থাপনায় থাকা সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন মাঠে পাঠান সন্তানকে। কিন্তু এ জন্য ক্রমবর্ধমান ব্যয় তাঁর জন্য
৯ ঘণ্টা আগে