অর্চি হক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরবঙ্গ) মো. সারজিস আলম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল শনিবার ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। সারজিস লেখেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।’
সারজিস আলমের ওই পোস্টের নিজে কমেন্টে অনেকেই তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অসংখ্য নেটিজেন এমন আকাঙ্ক্ষার কথা বলছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সারজিস আলম ও অনেক নেটিজেনের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে হলে কয়েকটি উপায়ের যে কোনো এক বা একাধিক উপায় বাস্তবায়িত হতে হবে।
এর একটি হলো: মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে হবে। তিনি নিজে অবশ্য ভোটে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত কখনো দেননি। রাজনীতিকে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই, এ কথা তিনি একাধিকবার বলেছেন।
ড. ইউনূসকে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বড় ধরনের জোট না হলে কেবল একমাত্র বিএনপির পক্ষে এমন সমর্থনের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব।
বর্তমান রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থায় অন্য ‘সম্ভাব্য বিকল্প’ যা হতে পারে, তা হলো, রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম কোর্টের মত নিতে হতে পারে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কোন প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘যখন উনি নিয়োগ পেয়েছিলেন, তখন কোর্ট থেকে রায়ের মাধ্যমে এটা (প্রধানমন্ত্রিত্ব) হতে পারত। সংবিধানের ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সে, সেটার আলোকে উনি হতে পারতেন যে, “বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁকে এত দিনের জন্য” দায়িত্ব দেওয়া হলো।’
কিন্তু এখন এই প্রক্রিয়ায় ড. ইউনূসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘এখন তাঁর সামনে বিকল্প হলো, যদি তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এনসিপিতে যোগ দেন এবং এনসিপি থেকে যদি নির্বাচিত হন। এনসিপির মাধ্যমেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। এ ছাড়া তাঁর কাছে আর বিকল্প নেই।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরবঙ্গ) মো. সারজিস আলম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল শনিবার ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। সারজিস লেখেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।’
সারজিস আলমের ওই পোস্টের নিজে কমেন্টে অনেকেই তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অসংখ্য নেটিজেন এমন আকাঙ্ক্ষার কথা বলছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সারজিস আলম ও অনেক নেটিজেনের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে হলে কয়েকটি উপায়ের যে কোনো এক বা একাধিক উপায় বাস্তবায়িত হতে হবে।
এর একটি হলো: মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে হবে। তিনি নিজে অবশ্য ভোটে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত কখনো দেননি। রাজনীতিকে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই, এ কথা তিনি একাধিকবার বলেছেন।
ড. ইউনূসকে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বড় ধরনের জোট না হলে কেবল একমাত্র বিএনপির পক্ষে এমন সমর্থনের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব।
বর্তমান রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থায় অন্য ‘সম্ভাব্য বিকল্প’ যা হতে পারে, তা হলো, রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম কোর্টের মত নিতে হতে পারে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কোন প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘যখন উনি নিয়োগ পেয়েছিলেন, তখন কোর্ট থেকে রায়ের মাধ্যমে এটা (প্রধানমন্ত্রিত্ব) হতে পারত। সংবিধানের ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সে, সেটার আলোকে উনি হতে পারতেন যে, “বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁকে এত দিনের জন্য” দায়িত্ব দেওয়া হলো।’
কিন্তু এখন এই প্রক্রিয়ায় ড. ইউনূসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘এখন তাঁর সামনে বিকল্প হলো, যদি তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এনসিপিতে যোগ দেন এবং এনসিপি থেকে যদি নির্বাচিত হন। এনসিপির মাধ্যমেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। এ ছাড়া তাঁর কাছে আর বিকল্প নেই।’
সম্প্রতি চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এই রাজ্যগুলোকে ল্যান্ডলকড বা স্থলবেষ্টিত উল্লেখ করে তাদের সমুদ্রপথে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘গার্ডিয়ান’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এ নিয়ে ভারতে
৩ মিনিট আগেচলতি সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৭ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এসব খাদ্য ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আমেরিকান কৃষকদের উৎপাদিত এই খাদ্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে জরুরি সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে সরবরাহ করা হবে
২০ মিনিট আগেএর আগে আজ বিকেলের দিকে রোহিঙ্গা সংকট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন।
৩২ মিনিট আগেআশুলিয়া ও রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে খসড়া প্রতিবেদন পেয়েছি। সম্প্রতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা গণহত্যার মামলার খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হাতে পাবো। আর হাতে পাওয়া মাত্রই তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে...
১ ঘণ্টা আগে