নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পত্রপত্রিকা কি লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ারও কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। বরং দেখবেন, এর কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে সেটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন, পড়ারও দরকার নেই। এটা হলো আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ। আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না।’
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর ও এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা ২০১৫ সাল থেকে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। তার কারণ, আমি চাই যারা কাজ করবেন তাদের যদি অনবরত নিজের সংসার নিয়ে চিন্তা থাকতে হয়, তাহলে দেশের কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেটা বিবেচনা করেই আপনাদের জীবনটা যাতে সুন্দর হয়, সে জন্য বাসস্থান থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, বিদেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ সব দিকে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন গড়তে চাই, সেই সঙ্গে যারা কাজ করেন তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাতে অর্জিত হয় সেদিকেও দৃষ্টি দিয়েছি।’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে কোনো অনিয়ম দেখা দেবে, আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। অবশ্যই এখন আমরা দুর্নীতির জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। দুর্নীতি ধরতে গেলে পরে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়—আমরা এটা বিশ্বাস করি না। দুর্নীতি খুব কম লোকেই করে কিন্তু তার বদনামটা হয় বেশি। এ কারণে যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের বদনাম হবে কি না, সেটা কেয়ার করি না। আমি সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করে দেশের মানুষ কল্যাণে কাজ করে সেই ব্যবস্থাটা নিতে চাই। সেই পদক্ষেপটা নিয়েছি যে, কোনো মতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না।’ এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা আনার নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার অনুরোধ পত্র-পত্রিকায় কি লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ারও কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। বরং দেখবেন এর কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে, ওইটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। ওইটা পড়ারও দরকার নেই। এটা হলো—আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না। কেন? দেশটা আমার। দেশকে ভালোভাবে চিনি, জানি। সেই ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জন্ম নিয়েছি জাতির পিতার ঘরে। এ দেশের কীভাবে ভালো হয়, মন্দ হয় আমাদের জানার কথা বেশি, আর কারও না। আর কেউ জানতে পারে না।’ এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের করতালি দিতে দেখা যায়।
সরকারি কর্মকর্তাদের দেশের পরিচালক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেশের পরিচালক। আমরা পাঁচ বছরের জন্য আসি। আপনারা স্থায়ী সময় নিয়ে আসেন। আমরা দেশের মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে এত দূর এসেছি। হঠাৎ করে অস্ত্র হাতে ক্ষমতা দখল করে, টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসি নাই। তাই দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি-মানুষ আমার চেনা। দেশের উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। সেটা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কে কি লিখল, সেটাতে ঘাবড়ে যাওয়া, সেটা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত না। নিজের আত্মবিশ্বাস, বিবেক-বিবেচনা নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করবেন। এ আত্মবিশ্বাস, মর্যাদা নিয়ে কাজ করলে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।’
এবারে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারে বন্যা আসার সম্ভাবনা আরও বেশি। একটা সময় প্রচণ্ড খরা ছিল। হিমালয়ের বরফ অনেক গলেছে। যে পানিটা চলে গেছে নদী ও সাগরে। যদি সাগরে পানি আরও উচ্চস্তরে পৌঁছে যায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সামনে শ্রাবণ-ভাদ্র মাস। এ মাসে বন্যাটা বেশি দেখা দেয়। প্রথমে উত্তর দিকে, ভাদ্র মাসে যায় দক্ষিণ দিকে। সেই দিকে মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তুত নিতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পত্রপত্রিকা কি লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ারও কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। বরং দেখবেন, এর কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে সেটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন, পড়ারও দরকার নেই। এটা হলো আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ। আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না।’
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর ও এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা ২০১৫ সাল থেকে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। তার কারণ, আমি চাই যারা কাজ করবেন তাদের যদি অনবরত নিজের সংসার নিয়ে চিন্তা থাকতে হয়, তাহলে দেশের কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেটা বিবেচনা করেই আপনাদের জীবনটা যাতে সুন্দর হয়, সে জন্য বাসস্থান থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, বিদেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ সব দিকে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন গড়তে চাই, সেই সঙ্গে যারা কাজ করেন তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাতে অর্জিত হয় সেদিকেও দৃষ্টি দিয়েছি।’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে কোনো অনিয়ম দেখা দেবে, আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। অবশ্যই এখন আমরা দুর্নীতির জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। দুর্নীতি ধরতে গেলে পরে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়—আমরা এটা বিশ্বাস করি না। দুর্নীতি খুব কম লোকেই করে কিন্তু তার বদনামটা হয় বেশি। এ কারণে যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের বদনাম হবে কি না, সেটা কেয়ার করি না। আমি সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করে দেশের মানুষ কল্যাণে কাজ করে সেই ব্যবস্থাটা নিতে চাই। সেই পদক্ষেপটা নিয়েছি যে, কোনো মতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না।’ এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা আনার নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার অনুরোধ পত্র-পত্রিকায় কি লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ারও কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। বরং দেখবেন এর কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে, ওইটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। ওইটা পড়ারও দরকার নেই। এটা হলো—আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না। কেন? দেশটা আমার। দেশকে ভালোভাবে চিনি, জানি। সেই ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জন্ম নিয়েছি জাতির পিতার ঘরে। এ দেশের কীভাবে ভালো হয়, মন্দ হয় আমাদের জানার কথা বেশি, আর কারও না। আর কেউ জানতে পারে না।’ এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের করতালি দিতে দেখা যায়।
সরকারি কর্মকর্তাদের দেশের পরিচালক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেশের পরিচালক। আমরা পাঁচ বছরের জন্য আসি। আপনারা স্থায়ী সময় নিয়ে আসেন। আমরা দেশের মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে এত দূর এসেছি। হঠাৎ করে অস্ত্র হাতে ক্ষমতা দখল করে, টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসি নাই। তাই দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি-মানুষ আমার চেনা। দেশের উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। সেটা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কে কি লিখল, সেটাতে ঘাবড়ে যাওয়া, সেটা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত না। নিজের আত্মবিশ্বাস, বিবেক-বিবেচনা নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করবেন। এ আত্মবিশ্বাস, মর্যাদা নিয়ে কাজ করলে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।’
এবারে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারে বন্যা আসার সম্ভাবনা আরও বেশি। একটা সময় প্রচণ্ড খরা ছিল। হিমালয়ের বরফ অনেক গলেছে। যে পানিটা চলে গেছে নদী ও সাগরে। যদি সাগরে পানি আরও উচ্চস্তরে পৌঁছে যায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সামনে শ্রাবণ-ভাদ্র মাস। এ মাসে বন্যাটা বেশি দেখা দেয়। প্রথমে উত্তর দিকে, ভাদ্র মাসে যায় দক্ষিণ দিকে। সেই দিকে মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তুত নিতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
দেশে গত বোরো মৌসুমের পরই বাড়তে থাকে চালের দাম। ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুম শুরু হলে দাম কমবে। কিন্তু আশা দুরাশাই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। মোকামে আমন ধান আসতে শুরু করলেও চালের বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েও পণ্যটির দাম কমিয়ে আনতে পারছে না।
৩২ মিনিট আগেবাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ম
৭ ঘণ্টা আগে‘আওয়ামী লীগও অন্য যে কোনো দলের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে তাদের আচরণ এবং অতীতে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায় মেনে নিতে হবে। একবার তাঁরা আইনি বাধাগুলো কাটিয়ে উঠলে নির্বাচনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’
৯ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে দিলে এই আইন সম্পর্কে ধারণা ও বাস্তবায়ন বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
৯ ঘণ্টা আগে