মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।
সূত্রটি আরও বলেছে, নিয়োগের জন্য অনুমোদিত ১২৩ জনের মধ্যে একজন মহাপরিচালক এবং দুজন পরিচালক সরকারের নিয়োগ করা। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছিল এনসিএসএর কার্যক্রম। সেখান থেকে দুজন অনেক আগেই বদলি হয়েছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সর্বশেষ কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে সরকার ১ জুলাই আইসিটি বিভাগে নিজস্ব কর্মস্থলে পদায়ন করেছে। ফলে ওই দিন থেকে এনসিএসএর ভার মহাপরিচালক ও দুই পরিচালকের ওপরই। অবশ্য শুরু থেকে সরকারের নির্দেশনার ভিত্তিতে কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি-সার্ট।
এ বিষয়ে এনসিএসএর মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এজেন্সিতে বর্তমানে আমরা তিনজন কাজ করছি। আমি মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক। এখানে কাজ করা সাতজন কর্মকর্তাকে ১ জুলাই তাঁদের নিজস্ব কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ৮ জুলাই তাঁদের অথবা তাঁদের সিনিয়র কাউকে পদায়ন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, যেহেতু প্রচুর জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে, তাই পুরোনো কর্মকর্তাদের পুনরায় পদায়ন করলে কাজ চালানো সহজ হবে। সরকার যদি মনে করে বিকল্প কাউকে দেবে, তাতেও আপত্তি নেই।’
এনসিএসএর মহাপরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে যখন সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করল, তখন আইনের আলোকে ১২৩ জনের পরিবর্তে ১৯০ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করে গত জুনে আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের ১২০ জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগ বিধিমালা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। নিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। কাজেই আপাতত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের অনুরূপ কর্মকর্তাদের পদায়ন করলে অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব হবে।
মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।
সূত্রটি আরও বলেছে, নিয়োগের জন্য অনুমোদিত ১২৩ জনের মধ্যে একজন মহাপরিচালক এবং দুজন পরিচালক সরকারের নিয়োগ করা। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছিল এনসিএসএর কার্যক্রম। সেখান থেকে দুজন অনেক আগেই বদলি হয়েছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সর্বশেষ কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে সরকার ১ জুলাই আইসিটি বিভাগে নিজস্ব কর্মস্থলে পদায়ন করেছে। ফলে ওই দিন থেকে এনসিএসএর ভার মহাপরিচালক ও দুই পরিচালকের ওপরই। অবশ্য শুরু থেকে সরকারের নির্দেশনার ভিত্তিতে কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি-সার্ট।
এ বিষয়ে এনসিএসএর মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এজেন্সিতে বর্তমানে আমরা তিনজন কাজ করছি। আমি মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক। এখানে কাজ করা সাতজন কর্মকর্তাকে ১ জুলাই তাঁদের নিজস্ব কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ৮ জুলাই তাঁদের অথবা তাঁদের সিনিয়র কাউকে পদায়ন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, যেহেতু প্রচুর জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে, তাই পুরোনো কর্মকর্তাদের পুনরায় পদায়ন করলে কাজ চালানো সহজ হবে। সরকার যদি মনে করে বিকল্প কাউকে দেবে, তাতেও আপত্তি নেই।’
এনসিএসএর মহাপরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে যখন সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করল, তখন আইনের আলোকে ১২৩ জনের পরিবর্তে ১৯০ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করে গত জুনে আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের ১২০ জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগ বিধিমালা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। নিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। কাজেই আপাতত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের অনুরূপ কর্মকর্তাদের পদায়ন করলে অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব হবে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে