নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বপ্নের মতো এসেছিল দিনটি। একটি দিন, একটি ঘোষণা বদলে দিয়েছিল জাতির ইতিহাস। পৃথিবীর মানচিত্রে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছিল একটি নাম–বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ইয়াহিয়া সরকার ২৫ মার্চ রাতে তাদের খুনি বাহিনী নামিয়ে দিয়েছিল এই ভূখণ্ডে। ঢাকায় তাণ্ডব চালানো হচ্ছিল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে, ঢাকার বাইরের দানব ছিল খাদিম হোসেন রাজা। তাদের প্রয়োজন ছিল এ দেশের মাটি। প্রয়োজন ছিল না এ দেশের মানুষ। তাই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন জানিয়ে দিল, অখণ্ড একটি দেশের অস্তিত্ব আর নেই।
আর অপারেশন ক্র্যাকডাউন শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চ গ্রেপ্তারের আগে প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে।
২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে যে স্বাধিকার আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ২৬ মার্চ ছিল তার সফল পরিণতি। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। সংগ্রামের এই পর্বে স্বাধীনতার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগ ভুলবার মতো নয়। সেই সব দিনে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নিপীড়নের যোগ্য জবাব দিয়েছে এ জাতি।
একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল জনযুদ্ধ। আপামর জনসাধারণ এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে নানাভাবে। যে যেভাবে পেরেছে, এগিয়ে এনেছে মুক্তির কালটি। সম্মিলিত জনসংঘ বুঝিয়ে দিয়েছে, একতা মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করে।
যুদ্ধের সেই সব দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে। কিন্তু অবাক করা বিষয়, এই যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক অবয়বকে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল একে অপরের প্রতিশব্দ। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম ২৫টি দিন মানুষ দুলেছে আশা-নিরাশার দোলাচলে। সে সময়ের পত্রপত্রিকার দিকে খেয়াল করলেই দেখা যাবে, কীভাবে ষড়যন্ত্রটি তৈরি করেছিল ইয়াহিয়া গং। একদিকে বৈঠকের নাটক, অন্যদিকে বিমানে করে সৈন্য নিয়ে আসা।
বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে। নইলে এই দেশের সরকার গঠিত হয় না। এই দেশের হৃৎস্পন্দন হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ব্যক্তিত্বই গড়ে তুলেছিল পরবর্তী নেতৃত্ব। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানরা দিকনির্দেশনা দিতে পেরেছিলেন তাঁদের নেতাকে স্মরণে নিয়েই।
একটি মানচিত্র এবং একটি পতাকা পাওয়ার পেছনে যে লক্ষ-কোটি মানুষের ত্যাগ রয়েছে, সে কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। এই মানুষেরাই নির্বাচন করেছে তাদের নেতৃত্ব।
এই মানুষেরাই গড়ে তুলেছে ঐক্য। এই মানুষেরাই একযোগে দেখেছে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন। গোটা পৃথিবী উপলব্ধি করেছে এই জাতির ত্যাগ এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতোই স্বীকার করে নিয়েছে: ‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী/ অবাক তাকিয়ে রয়:/ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার/ তবু মাথা নোয়াবার নয়।’
স্বপ্নের মতো এসেছিল দিনটি। একটি দিন, একটি ঘোষণা বদলে দিয়েছিল জাতির ইতিহাস। পৃথিবীর মানচিত্রে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছিল একটি নাম–বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ইয়াহিয়া সরকার ২৫ মার্চ রাতে তাদের খুনি বাহিনী নামিয়ে দিয়েছিল এই ভূখণ্ডে। ঢাকায় তাণ্ডব চালানো হচ্ছিল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে, ঢাকার বাইরের দানব ছিল খাদিম হোসেন রাজা। তাদের প্রয়োজন ছিল এ দেশের মাটি। প্রয়োজন ছিল না এ দেশের মানুষ। তাই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন জানিয়ে দিল, অখণ্ড একটি দেশের অস্তিত্ব আর নেই।
আর অপারেশন ক্র্যাকডাউন শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চ গ্রেপ্তারের আগে প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে।
২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে যে স্বাধিকার আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ২৬ মার্চ ছিল তার সফল পরিণতি। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। সংগ্রামের এই পর্বে স্বাধীনতার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগ ভুলবার মতো নয়। সেই সব দিনে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নিপীড়নের যোগ্য জবাব দিয়েছে এ জাতি।
একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল জনযুদ্ধ। আপামর জনসাধারণ এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে নানাভাবে। যে যেভাবে পেরেছে, এগিয়ে এনেছে মুক্তির কালটি। সম্মিলিত জনসংঘ বুঝিয়ে দিয়েছে, একতা মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করে।
যুদ্ধের সেই সব দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে। কিন্তু অবাক করা বিষয়, এই যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক অবয়বকে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল একে অপরের প্রতিশব্দ। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম ২৫টি দিন মানুষ দুলেছে আশা-নিরাশার দোলাচলে। সে সময়ের পত্রপত্রিকার দিকে খেয়াল করলেই দেখা যাবে, কীভাবে ষড়যন্ত্রটি তৈরি করেছিল ইয়াহিয়া গং। একদিকে বৈঠকের নাটক, অন্যদিকে বিমানে করে সৈন্য নিয়ে আসা।
বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে। নইলে এই দেশের সরকার গঠিত হয় না। এই দেশের হৃৎস্পন্দন হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ব্যক্তিত্বই গড়ে তুলেছিল পরবর্তী নেতৃত্ব। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানরা দিকনির্দেশনা দিতে পেরেছিলেন তাঁদের নেতাকে স্মরণে নিয়েই।
একটি মানচিত্র এবং একটি পতাকা পাওয়ার পেছনে যে লক্ষ-কোটি মানুষের ত্যাগ রয়েছে, সে কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। এই মানুষেরাই নির্বাচন করেছে তাদের নেতৃত্ব।
এই মানুষেরাই গড়ে তুলেছে ঐক্য। এই মানুষেরাই একযোগে দেখেছে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন। গোটা পৃথিবী উপলব্ধি করেছে এই জাতির ত্যাগ এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতোই স্বীকার করে নিয়েছে: ‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী/ অবাক তাকিয়ে রয়:/ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার/ তবু মাথা নোয়াবার নয়।’
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৯ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
১০ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১১ ঘণ্টা আগে