ইসির সঙ্গে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনব্যবস্থার ওপর সৃষ্ট আস্থার ঘাটতিকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা কাটিয়ে ওঠায় জোর দিচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে তাদের সহায়তা করবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ দুই পক্ষের মধ্যে অতীতে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইসি ও সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নতুন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য বদ্ধপরিকর। আমরাও আমাদের অবস্থান থেকে সুচারুভাবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে সংস্কার প্রস্তাব দেব। যেগুলো তারা কিছু বাস্তবায়ন করবে, আবার কিছু সরকার বাস্তবায়ন করবে। আর কিছু সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করবে।’
সংস্কার কমিশন প্রধান জানান ইসি ও তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের দায়দায়িত্ব, ক্ষমতা, স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সাধারণভাবে আলোচনা হয়েছে। খুঁটিনাটি কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কার হওয়া উচিত, আদালতের ভূমিকা কী থাকবে, হলফনামা, ‘না’ ভোট, সংসদীয় আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ, পোস্টাল ব্যালট, প্রবাসী ভোটার, ভোটার তালিকা, নির্বাচনী অপরাধ, এনআইডিসহ নির্বাচনের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের এখনো প্রায় এক মাস সময় আছে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দেব। আমরা উনাদের (ইসি) কিছু মতামত চেয়েছি। উনারা চাইলে কিছু শেয়ার করবেন।’
সাংবাদিকদের ব্রিফ করার একপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আস্থার ঘাটতি আছে। সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। যে জায়গাতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে কীভাবে একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা যায়। আপনারাও জানেন প্রেক্ষাপট, আমরাও জানি। মেজর ডেফিশিয়েন্সিগুলো (বড় ঘাটতি) নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ইসির চোখে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় ঘাটতিগুলো কী—এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় ডেফিশিয়েন্সি হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থার ঘাটতি। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সংস্কার কমিশনের কিছু পর্যবেক্ষণ
অতীতে নির্বাচন কমিশন তাদের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারত না—এই বিষয়ে ইসিকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে তারা দিনকে রাত, রাতকে দিন করা ছাড়া সবই করতে পারে। আমাদের আইনে বলা আছে এবং আদালতের রায়েও সুস্পষ্ট বলা আছে। যেখানে অস্পষ্টতা আছে যেখানে গ্যাপ (শূন্যতা) আছে সেগুলো তারা পূরণ করতে পারে।’
নতুন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘মনে হলো আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নাই ৷ উনারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সহায়তা করতে একপায়ে রাজি আছি।’
বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো অপরাধ হয়েছে। এই অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। সেটাও আমরা আলোচনা করেছি।’
বিগত তিন কমিশন নাকি সব কমিশনকে বিচারের আওতায় আনা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘যারাই অপরাধ করেছে সকলকে আসতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ৭৩ থেকে ৯০ ধারার মধ্যে নির্বাচনের অপরাধের বিষয়গুলো বর্ণনা আছে। এগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ফলাফল হওয়ার পরে আর অপরাধের শাস্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না—আগের কমিশনের এ যুক্তির বিষয়টি সামনে আনলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তাঁরা ইচ্ছে করলেই করতে পারতেন। গেজেট হওয়ার আগে তদন্ত সাপেক্ষে তাঁরা নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। তদন্ত সাপেক্ষে পুনর্নির্বাচন দেওয়ার ক্ষমতাও তাঁদের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে ক্ষমতা তাঁরা ব্যবহার করেননি।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশন প্রধান নেতিবাচক জবাব দেন।
সভায় সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ও সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনব্যবস্থার ওপর সৃষ্ট আস্থার ঘাটতিকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা কাটিয়ে ওঠায় জোর দিচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে তাদের সহায়তা করবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ দুই পক্ষের মধ্যে অতীতে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইসি ও সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নতুন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য বদ্ধপরিকর। আমরাও আমাদের অবস্থান থেকে সুচারুভাবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে সংস্কার প্রস্তাব দেব। যেগুলো তারা কিছু বাস্তবায়ন করবে, আবার কিছু সরকার বাস্তবায়ন করবে। আর কিছু সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করবে।’
সংস্কার কমিশন প্রধান জানান ইসি ও তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের দায়দায়িত্ব, ক্ষমতা, স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সাধারণভাবে আলোচনা হয়েছে। খুঁটিনাটি কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কার হওয়া উচিত, আদালতের ভূমিকা কী থাকবে, হলফনামা, ‘না’ ভোট, সংসদীয় আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ, পোস্টাল ব্যালট, প্রবাসী ভোটার, ভোটার তালিকা, নির্বাচনী অপরাধ, এনআইডিসহ নির্বাচনের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের এখনো প্রায় এক মাস সময় আছে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দেব। আমরা উনাদের (ইসি) কিছু মতামত চেয়েছি। উনারা চাইলে কিছু শেয়ার করবেন।’
সাংবাদিকদের ব্রিফ করার একপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আস্থার ঘাটতি আছে। সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। যে জায়গাতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে কীভাবে একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা যায়। আপনারাও জানেন প্রেক্ষাপট, আমরাও জানি। মেজর ডেফিশিয়েন্সিগুলো (বড় ঘাটতি) নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ইসির চোখে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় ঘাটতিগুলো কী—এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় ডেফিশিয়েন্সি হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থার ঘাটতি। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সংস্কার কমিশনের কিছু পর্যবেক্ষণ
অতীতে নির্বাচন কমিশন তাদের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারত না—এই বিষয়ে ইসিকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে তারা দিনকে রাত, রাতকে দিন করা ছাড়া সবই করতে পারে। আমাদের আইনে বলা আছে এবং আদালতের রায়েও সুস্পষ্ট বলা আছে। যেখানে অস্পষ্টতা আছে যেখানে গ্যাপ (শূন্যতা) আছে সেগুলো তারা পূরণ করতে পারে।’
নতুন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘মনে হলো আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নাই ৷ উনারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সহায়তা করতে একপায়ে রাজি আছি।’
বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো অপরাধ হয়েছে। এই অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। সেটাও আমরা আলোচনা করেছি।’
বিগত তিন কমিশন নাকি সব কমিশনকে বিচারের আওতায় আনা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘যারাই অপরাধ করেছে সকলকে আসতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ৭৩ থেকে ৯০ ধারার মধ্যে নির্বাচনের অপরাধের বিষয়গুলো বর্ণনা আছে। এগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ফলাফল হওয়ার পরে আর অপরাধের শাস্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না—আগের কমিশনের এ যুক্তির বিষয়টি সামনে আনলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তাঁরা ইচ্ছে করলেই করতে পারতেন। গেজেট হওয়ার আগে তদন্ত সাপেক্ষে তাঁরা নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। তদন্ত সাপেক্ষে পুনর্নির্বাচন দেওয়ার ক্ষমতাও তাঁদের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে ক্ষমতা তাঁরা ব্যবহার করেননি।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশন প্রধান নেতিবাচক জবাব দেন।
সভায় সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ও সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।
৪২ মিনিট আগেবাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেআন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনে উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার দেশের সব অফিসে এক ঘণ্টা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। শনিবার পূর্ত ভবনে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সভায় মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর
৩ ঘণ্টা আগেদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থার সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিদেশে সেবা নিতে যাচ্ছেন রোগীরা। এতে দেশে অর্থনৈতিক খাতে প্রভাব পড়ছে। ‘চিকিৎসা সেবায় বিদেশমুখীতা: আমাদের উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশীজনদের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে। আজ শনিবার রাজধানীর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
৩ ঘণ্টা আগে