Ajker Patrika

আবু সাঈদ হত্যা: চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে আগামী ৯ এপ্রিল হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

যাঁদের হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন এএসআই আমীর হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলাম ও তৎকালীন সময়ে বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশ।

এর আগে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিরা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাঁদেরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে ট্রাইব্যুনাল ৯ এপ্রিল তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলার তদন্ত প্রায় শেষ। আশা করছি, ৯ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সব ঘটনাতেই শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি। তাঁর নির্দেশেই সারা দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা পৃথকভাবে প্রতিবেদন দাখিল করব।’

আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। সহপাঠীরা সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আশুলিয়ায় টেনেহিঁচড়ে সাব-রেজিস্ট্রারকে অফিস থেকে বের করে দিল ‘ছাত্র-জনতা’

টিকিটের কালোবাজারি ঠেকাতে না পারলে চুক্তি বাতিল, সহজ ডটকমকে রেল উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, লালমনিরহাটে জেলা বিএনপির নেতা আটক

ট্রাম্পের শুল্কে বাংলাদেশের সর্বনাশ, ভারতসহ যাদের পৌষ মাস

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ভিসা স্থগিত করল সৌদি আরব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত