ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টের প্রশ্ন: পুলিশ শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন দিলেই মঞ্জুর করবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ২৩: ০২

উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও আসামি এবং তাদের স্বজনদের নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় নির্দেশ অনুযায়ী হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন শরীয়তপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান।

আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে হাজির হন তিনি।

শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশ শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন দিলেই আপনি সেটা মঞ্জুর করবেন? তাহলে বিচারক হয়েছেন কেন? জুডিশিয়াল মাইন্ড প্রয়োগ করতে হবে। মামলার নথিপত্র দেখে আদেশ দিতে হবে।

রোববার শুনানির সময় নির্দেশ অনুযায়ী আদালতে নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে। কিন্তু দু–একজন সদস্যের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য পুরো বাহিনীকে দায়ি করা ঠিক নয়।

আদালত বলেন, আমরা আসামিদের আগাম জামিন দিয়েছি। সেই জামিনের ল’ইয়ার সার্টিফিকেটও ছিড়ে ফেলেছেন অভিযুক্তরা (পুলিশ)। শুধু ছিড়েই ফেলেননি, আসামিদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ধৃষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার পর এখন তারা আবার সবকিছু অস্বীকারও করছে। যেন ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই নাই।’ পরে এই বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আবেদনকারী পক্ষে মজিবুর রহমান শুনানি করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত