নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২২ সালের তুলনায় এ বছর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাগত দিক কমে এলেও বন্ধ হয়নি কিংবা এ ক্ষেত্রে অভিযোগসমূহের নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২০ জন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল এ তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আসক জানায়, ২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজার জেলায় সাজেদুল ইসলাম মান্না এবং নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গুলিতে আবুল কাশেম নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশের হেফাজতে ১৩ জন, র্যাবের হেফাজতে দুজন ও ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের হেফাজতে তিনজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ জন নাগরিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
কারা হেফাজতে মৃত্যু
এ বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন ১০৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ৪২ এবং হাজতি ৬৩ জন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কারা হেফাজতে মারা যান ৬৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৮ এবং হাজতি ৩৭ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও গুম
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সংগৃহীত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও নিখোঁজের শিকার হয়েছেন ৯ জন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, পরবর্তী সময়ে ফিরে এসেছেন তিনজন, যা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আসক জানায়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটকের ঘটনা ঘটছে এবং পরিবার ও স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার বা আটকের কোনো তথ্য না দিয়ে সরাসরি নাকচ করে দেওয়ার ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন অভিযোগে উল্লিখিত আটক ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আটক ও গ্রেপ্তার দেখানোর সময়কালের মধ্যে যে যথেষ্ট ফারাক, তার কোনো ব্যাখ্যা আমরা লক্ষ করছি না। এ ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট ব্যত্যয় লক্ষ করা গেছে।
সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের হিসাবমতে, ২০২৩ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক ৩০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে লালমনিরহাটে তিন, সুনামগঞ্জে এক, ঝিনাইদহে এক, দিনাজপুরে দুই, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচ, পঞ্চগড়ে পাঁচ, কুড়িগ্রামে এক, ঠাকুরগাঁওয়ে চার, সিলেটে এক, মৌলভীবাজারে এক ও রাজশাহীতে তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক ৩১ জন নাগরিক মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিএসএফ কর্তৃক নিহত হন ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
গণপিটুনি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিলেন ৩৬ জন।
২০২২ সালের তুলনায় এ বছর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাগত দিক কমে এলেও বন্ধ হয়নি কিংবা এ ক্ষেত্রে অভিযোগসমূহের নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২০ জন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল এ তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আসক জানায়, ২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজার জেলায় সাজেদুল ইসলাম মান্না এবং নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গুলিতে আবুল কাশেম নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশের হেফাজতে ১৩ জন, র্যাবের হেফাজতে দুজন ও ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের হেফাজতে তিনজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ জন নাগরিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
কারা হেফাজতে মৃত্যু
এ বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন ১০৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ৪২ এবং হাজতি ৬৩ জন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কারা হেফাজতে মারা যান ৬৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৮ এবং হাজতি ৩৭ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও গুম
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সংগৃহীত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও নিখোঁজের শিকার হয়েছেন ৯ জন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, পরবর্তী সময়ে ফিরে এসেছেন তিনজন, যা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আসক জানায়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটকের ঘটনা ঘটছে এবং পরিবার ও স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার বা আটকের কোনো তথ্য না দিয়ে সরাসরি নাকচ করে দেওয়ার ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন অভিযোগে উল্লিখিত আটক ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আটক ও গ্রেপ্তার দেখানোর সময়কালের মধ্যে যে যথেষ্ট ফারাক, তার কোনো ব্যাখ্যা আমরা লক্ষ করছি না। এ ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট ব্যত্যয় লক্ষ করা গেছে।
সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের হিসাবমতে, ২০২৩ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক ৩০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে লালমনিরহাটে তিন, সুনামগঞ্জে এক, ঝিনাইদহে এক, দিনাজপুরে দুই, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচ, পঞ্চগড়ে পাঁচ, কুড়িগ্রামে এক, ঠাকুরগাঁওয়ে চার, সিলেটে এক, মৌলভীবাজারে এক ও রাজশাহীতে তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক ৩১ জন নাগরিক মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিএসএফ কর্তৃক নিহত হন ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
গণপিটুনি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিলেন ৩৬ জন।
ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৯ মিনিট আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদ্বেগ। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শিক্ষা, আন্দোলনের সুফল এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য।
১ ঘণ্টা আগেরোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চলমান সংকট ঝুলে রয়েছে বছরের পর বছর। সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের এই নাগরিকদের বাংলাদেশে ঢোকা থামানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে