নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও মাইলেজসহ পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ (সোমবার) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুধু পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পই নয়, অনেক জায়গায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর–বেনাপোল রেলপথে ৪ ঘণ্টার মতো। প্রতিটি সেকশনে পথ কমবে অর্ধেকের বেশি। ফলে এই পথের এক একজোড়া ট্রেনকে দুইবার চালানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হবে না।’
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
এদিকে চালক সংকটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারা দেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।
রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ট্রেন চালক, সহ–চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই–তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
রেলওয়ে মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তাঁরা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত ৩০ অক্টোবর রানিং স্টাফরা এক বৈঠকে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের অংশ হলেও ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তখন সভায় রেলপথ সচিব আবদুল বাকী বলেন, তাঁদের এ দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে রানিং স্টাফরা ৩০ দিনের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ১ ডিসেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না। আর কর্মী সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ১৬০ বছরের প্রচলিত নিয়ম হঠাৎ বন্ধ করা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বহুবার সময় দিয়েছি এবং আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছি।
রানিং স্টাফরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে রেলওয়ের কার্যক্রমে আরও দীর্ঘ অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রেলের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বপ্রথম এ ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবছি আমরা।
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও মাইলেজসহ পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ (সোমবার) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুধু পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পই নয়, অনেক জায়গায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর–বেনাপোল রেলপথে ৪ ঘণ্টার মতো। প্রতিটি সেকশনে পথ কমবে অর্ধেকের বেশি। ফলে এই পথের এক একজোড়া ট্রেনকে দুইবার চালানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হবে না।’
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
এদিকে চালক সংকটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারা দেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।
রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ট্রেন চালক, সহ–চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই–তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
রেলওয়ে মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তাঁরা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত ৩০ অক্টোবর রানিং স্টাফরা এক বৈঠকে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের অংশ হলেও ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তখন সভায় রেলপথ সচিব আবদুল বাকী বলেন, তাঁদের এ দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে রানিং স্টাফরা ৩০ দিনের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ১ ডিসেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না। আর কর্মী সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ১৬০ বছরের প্রচলিত নিয়ম হঠাৎ বন্ধ করা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বহুবার সময় দিয়েছি এবং আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছি।
রানিং স্টাফরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে রেলওয়ের কার্যক্রমে আরও দীর্ঘ অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রেলের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বপ্রথম এ ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবছি আমরা।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার যে চুক্তি আছে বাংলাদেশের সেটি আদালত বাতিল না করলে, অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনার মাধ্যমে ক্রয়মূল্য কমানোর চেষ্টা করবে। জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান গতকাল রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই কথা জানিয়েছেন। আদানির প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদ
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পার্বত্য জেলাগুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে নানামুখী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বেকারত্ব কমবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং জীবনযাত্রার উন্নতি ও সামাজিক...
১ ঘণ্টা আগেদেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দিয়েছে। কমিটি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনে দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং ভয়ংকর রকমের আর্থিক কারচুপির যে চিত্র পাওয়া গেছে, তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর এ চুক্তি হলেও এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি এর অনেক শর্ত।
১১ ঘণ্টা আগে