নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত ৫ শতাংশ বিশেষ ভাতার আদেশ পুনর্বিবেচনা, নবম পে-স্কেল ও রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায়ে মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদে মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী জানান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংগঠনের ব্যানারে ২০১৯ সাল থেকে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, বিভাগীয় সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয় জানান ও তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে মন্ত্রীর সঙ্গে বেতন বৃদ্ধি ও ভাতাদির অসংগতি দূর করার আশ্বাসমূলক আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাসমাবেশে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির সকল আশাকে নিরাশায় পরিণত করে সরকার ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।’
বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে এ মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘সরকারের এ ঘোষণায় প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরমভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা বর্তমান বাজারব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধায় ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বৈষম্য আরও বৃদ্ধি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১১-২০ গ্রেডের অধিকাংশ কর্মচারীদের মূল বেতন ২০ হাজার টাকার নিচে, তাদের আগামী ৪-৫ বছরেও বিশেষ সুবিধা সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে উঠবে না। অথচ ১-৯ গ্রেডের কর্মচারীদের এ সুবিধা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকবে। আমরা এ ধরনের বিশেষ সুবিধা চাইনি। আমরা চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের মূল বেতন বৃদ্ধি। যাতে কর্মচারীরা পরবর্তীতে এর সুবিধা পেতে পারে।’
ওয়ারেছ আলী আরও বলেন, ‘যেখানে গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ভাইদের বেতন ২০২৩ সালে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার করা হয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন গ্রেড ৮ হাজার ২৫০ টাকা। এটি অত্যন্ত অমানবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এ অবস্থায় সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা পুনর্বিবেচনা করে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান সময়ের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে, তা মূল বেতনের সঙ্গে সংযোজন ও সকল ভাতা যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তারা।
আগামী ৯ মের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন, ১২ মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২১ মে রাজধানীর আগারগাঁও, ২৯ মে মহাখালী ও ৫ জুন সেগুনবাগিচায় আঞ্চলিক সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি-আমাদের এই দাবিগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে, আমরা সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত ৫ শতাংশ বিশেষ ভাতার আদেশ পুনর্বিবেচনা, নবম পে-স্কেল ও রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায়ে মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদে মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী জানান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংগঠনের ব্যানারে ২০১৯ সাল থেকে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, বিভাগীয় সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয় জানান ও তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে মন্ত্রীর সঙ্গে বেতন বৃদ্ধি ও ভাতাদির অসংগতি দূর করার আশ্বাসমূলক আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাসমাবেশে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির সকল আশাকে নিরাশায় পরিণত করে সরকার ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।’
বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে এ মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘সরকারের এ ঘোষণায় প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরমভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা বর্তমান বাজারব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধায় ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বৈষম্য আরও বৃদ্ধি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১১-২০ গ্রেডের অধিকাংশ কর্মচারীদের মূল বেতন ২০ হাজার টাকার নিচে, তাদের আগামী ৪-৫ বছরেও বিশেষ সুবিধা সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে উঠবে না। অথচ ১-৯ গ্রেডের কর্মচারীদের এ সুবিধা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকবে। আমরা এ ধরনের বিশেষ সুবিধা চাইনি। আমরা চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের মূল বেতন বৃদ্ধি। যাতে কর্মচারীরা পরবর্তীতে এর সুবিধা পেতে পারে।’
ওয়ারেছ আলী আরও বলেন, ‘যেখানে গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ভাইদের বেতন ২০২৩ সালে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার করা হয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন গ্রেড ৮ হাজার ২৫০ টাকা। এটি অত্যন্ত অমানবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এ অবস্থায় সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা পুনর্বিবেচনা করে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান সময়ের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে, তা মূল বেতনের সঙ্গে সংযোজন ও সকল ভাতা যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তারা।
আগামী ৯ মের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন, ১২ মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২১ মে রাজধানীর আগারগাঁও, ২৯ মে মহাখালী ও ৫ জুন সেগুনবাগিচায় আঞ্চলিক সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি-আমাদের এই দাবিগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে, আমরা সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
আশুলিয়া ও রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে খসড়া প্রতিবেদন পেয়েছি। সম্প্রতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা গণহত্যার মামলার খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হাতে পাবো। আর হাতে পাওয়া মাত্রই তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে...
২ মিনিট আগেভারতকে আত্মসমালোচনা করতে হবে। কী ভুল হয়েছে, এটি তাদের বুঝতে হবে। ভারতীয় সরকার ক্ষমতাচ্যুত (হাসিনা) সরকারকে অস্বাভাবিক নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে এবং অনেক বাংলাদেশি ভারতকেই স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য দায়ী করে। ভারত যদি সম্পর্ক পুনঃস্থাপন বা ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়, তবে
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের মতো কিছুই হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান।
৪ ঘণ্টা আগে