কলকাতা সংবাদদাতা
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে যাঁরা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের শাসক দল বিজেপি। আজ সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে একটি সিডিতে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এই আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়কেরা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের হাতে ওই স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় অগ্নিমিত্রা পাল, মালতি রাই, সুকুমার রাইসহ বিজেপির আরও অন্তত ২০ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি দিয়ে মিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ গ্যালারিতে ১৫ মিনিটের আলাপচারিতার পর শুভেন্দুর নেতৃত্বে বের হয়ে যায় দলটি।
স্মারকলিপির বিষয়ে জানতে চাইলে শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, `বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা নাক গলাতে চাই না। কিন্তু সেই আন্দোলনে ভারতবিরোধী স্লোগান উঠেছে। আমরা সিডি দিয়ে অনুরোধ করেছি—তাঁদের চিহ্নিত করুন এবং যথাযথ শাস্তি দিন।’
শুভেন্দু এ সময় অভিযোগ করেন, বিজেপি বিধায়কেরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাঁদের পথ আটকেছে। মমতার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ’রাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার এখতিয়ার নেই। দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ করছে। এর নিন্দা জানাই।’
শুভেন্দু আরও বলেন, ’বিজেপি সিএএর মাধ্যমে বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয়ের কথা বলেছে। মমতা তা মানছেন না। অথচ তিনি মুখে বলছেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ আশ্রয় চাইলে দেবেন। এটা দ্বিচারিতা নয়? আসলে উনি এসব বলে জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকারের হাত শক্ত করতে চাইছেন।’
শুভেন্দুর অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মাজেদকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল পার্ক সার্কাস এলাকায়। বাংলাদেশে যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস তাদেরই আশ্রয় দিয়েছে। বিজেপি বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধিতা চায় না বলেও জানান শুভেন্দু।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হলে ২১ জুলাই মমতা বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে এ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কেউ আশ্রয় (শরণার্থী হয়ে) নিতে চাইলে তিনি তাদের ফেরাবেন না।
বাংলাদেশ নিয়ে মমতার ওই মন্তব্যের পরই শোরগোল শুরু হয়। মমতার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি নেতারা এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ সরকারও।
এরপর ২৫ জুলাই মমতার মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। পরদিন মমতাও পাল্টা জবাব দেন। তিনি বলেন, সাতবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও বিদেশনীতি তিনি খুব ভালো জানেন। এসব তাঁকে শেখানো উচিত নয়; বরং যাঁরা তাঁর সমালোচনা করেন, পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে তাঁদেরই শেখা উচিত।
মমতার দাবি, তিনি মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করেই বাংলাদেশ থেকে কেউ গেলে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে যাঁরা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের শাসক দল বিজেপি। আজ সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে একটি সিডিতে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এই আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়কেরা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের হাতে ওই স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় অগ্নিমিত্রা পাল, মালতি রাই, সুকুমার রাইসহ বিজেপির আরও অন্তত ২০ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি দিয়ে মিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ গ্যালারিতে ১৫ মিনিটের আলাপচারিতার পর শুভেন্দুর নেতৃত্বে বের হয়ে যায় দলটি।
স্মারকলিপির বিষয়ে জানতে চাইলে শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, `বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা নাক গলাতে চাই না। কিন্তু সেই আন্দোলনে ভারতবিরোধী স্লোগান উঠেছে। আমরা সিডি দিয়ে অনুরোধ করেছি—তাঁদের চিহ্নিত করুন এবং যথাযথ শাস্তি দিন।’
শুভেন্দু এ সময় অভিযোগ করেন, বিজেপি বিধায়কেরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাঁদের পথ আটকেছে। মমতার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ’রাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার এখতিয়ার নেই। দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ করছে। এর নিন্দা জানাই।’
শুভেন্দু আরও বলেন, ’বিজেপি সিএএর মাধ্যমে বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয়ের কথা বলেছে। মমতা তা মানছেন না। অথচ তিনি মুখে বলছেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ আশ্রয় চাইলে দেবেন। এটা দ্বিচারিতা নয়? আসলে উনি এসব বলে জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকারের হাত শক্ত করতে চাইছেন।’
শুভেন্দুর অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মাজেদকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল পার্ক সার্কাস এলাকায়। বাংলাদেশে যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস তাদেরই আশ্রয় দিয়েছে। বিজেপি বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধিতা চায় না বলেও জানান শুভেন্দু।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হলে ২১ জুলাই মমতা বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে এ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কেউ আশ্রয় (শরণার্থী হয়ে) নিতে চাইলে তিনি তাদের ফেরাবেন না।
বাংলাদেশ নিয়ে মমতার ওই মন্তব্যের পরই শোরগোল শুরু হয়। মমতার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি নেতারা এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ সরকারও।
এরপর ২৫ জুলাই মমতার মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। পরদিন মমতাও পাল্টা জবাব দেন। তিনি বলেন, সাতবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও বিদেশনীতি তিনি খুব ভালো জানেন। এসব তাঁকে শেখানো উচিত নয়; বরং যাঁরা তাঁর সমালোচনা করেন, পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে তাঁদেরই শেখা উচিত।
মমতার দাবি, তিনি মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করেই বাংলাদেশ থেকে কেউ গেলে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছেন।
উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হওয়ার পর প্রকল্পে ব্যবহৃত গাড়ির বেশির ভাগই সরকারি দপ্তরে জমা হয় না। প্রভাবশালীরা কৌশলে এসব গাড়ি ব্যবহার করেন। ফলে প্রকল্পের গাড়ির ব্যবহার ও জমা দেওয়ার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
১৯ মিনিট আগেবিচারপতি রুহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিদিন ১ হাজার ৩৪০টি অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে। সে হিসাবে ঘণ্টায় অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে ৫৬টি। দেশে অপরিণত শিশু জন্মে প্রতিরোধ কার্যক্রমে গতি নেই। এখনো বছরে সাড়ে চার লাখ অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে