সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার পদত্যাগ করেছেন গত ২৯ অক্টোবর। পুরো কমিশনের এই পদত্যাগে শূন্যতা তৈরি হয়েছে আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটিতে। পদত্যাগের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিই গঠন করা যায়নি। আর কমিশন না থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রমে।
এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কমিশনের এখতিয়ারে থাকা কাজগুলো হচ্ছে না। নতুন করে মামলার অনুমোদন, চার্জশিট অনুমোদন, ক্রোক সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, দুদক আইন ও বিধিতে তাদের (চেয়ারম্যান ও কমিশনার) যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফাংশন করা সম্ভব না। তবে যেসব অনুসন্ধান ও তদন্তকাজ আগেই অনুমোদন হয়েছে, সেগুলো চলমান রয়েছে। কমিশন না থাকায় নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।
দুদকের একটি সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত তিন মাসে দুই শতাধিক অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদ্য বিদায় নেওয়া দুদক কমিশন। এসব সিদ্ধান্তের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে অন্তত শতাধিক মামলা অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে আছে। ফাইলবন্দী হয়ে আছে অনেক চার্জশিটের সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি নতুন অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তও আটকে আছে।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুদকের এখতিয়ার থাকা সত্ত্বেও কমিশন না থাকায় দোষী ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। আদালতের কাছে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অপরাধীদের দেশত্যাগ ও আত্মগোপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র বলেছে, সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সার্চ কমিটির বিষয়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ৭ ধারায় বলা আছে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠিত হবে। এই আইনের ৬-এর ১ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘কমিশনারগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৭ অনুসারে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন।’
দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই কমিশনের পদত্যাগ করারই কথা ছিল। এখন দ্রুত সার্চ কমিটি করে কমিশন গঠন করা উচিত হবে। কমিশন গঠনে দুদক সংস্কার কমিশন কোনো ভূমিকা রাখব কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কমিশন গঠন সংস্কার কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয়। তবে সরকার চাইলে আমরা এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করতে পারি।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের এই প্রধান মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকতে পারলে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা সম্ভব। অন্তর্বর্তী সরকার যে সুযোগ পেয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার পদত্যাগ করেছেন গত ২৯ অক্টোবর। পুরো কমিশনের এই পদত্যাগে শূন্যতা তৈরি হয়েছে আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটিতে। পদত্যাগের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিই গঠন করা যায়নি। আর কমিশন না থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রমে।
এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কমিশনের এখতিয়ারে থাকা কাজগুলো হচ্ছে না। নতুন করে মামলার অনুমোদন, চার্জশিট অনুমোদন, ক্রোক সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, দুদক আইন ও বিধিতে তাদের (চেয়ারম্যান ও কমিশনার) যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফাংশন করা সম্ভব না। তবে যেসব অনুসন্ধান ও তদন্তকাজ আগেই অনুমোদন হয়েছে, সেগুলো চলমান রয়েছে। কমিশন না থাকায় নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।
দুদকের একটি সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত তিন মাসে দুই শতাধিক অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদ্য বিদায় নেওয়া দুদক কমিশন। এসব সিদ্ধান্তের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে অন্তত শতাধিক মামলা অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে আছে। ফাইলবন্দী হয়ে আছে অনেক চার্জশিটের সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি নতুন অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তও আটকে আছে।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুদকের এখতিয়ার থাকা সত্ত্বেও কমিশন না থাকায় দোষী ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। আদালতের কাছে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অপরাধীদের দেশত্যাগ ও আত্মগোপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র বলেছে, সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সার্চ কমিটির বিষয়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ৭ ধারায় বলা আছে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠিত হবে। এই আইনের ৬-এর ১ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘কমিশনারগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৭ অনুসারে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন।’
দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই কমিশনের পদত্যাগ করারই কথা ছিল। এখন দ্রুত সার্চ কমিটি করে কমিশন গঠন করা উচিত হবে। কমিশন গঠনে দুদক সংস্কার কমিশন কোনো ভূমিকা রাখব কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কমিশন গঠন সংস্কার কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয়। তবে সরকার চাইলে আমরা এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করতে পারি।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের এই প্রধান মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকতে পারলে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা সম্ভব। অন্তর্বর্তী সরকার যে সুযোগ পেয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
গত এক বছরে খানা জরিপে সেবা খাতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিন খাত চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে এই সময়ে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানটির খানা জরিপে একই সঙ্গে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাত
৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর প্রশাসন ক্যাডার বাদে অন্য ২৫টি ক্যাডারের উপসচিবেরা নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দাবি করে আসছেন।
১৪ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক মামলার তালিকা চেয়েছে সরকার। সব পাবলিক প্রসিকিউটরকে আগামী ১৭ ডিসেম্বর মধ্যে সলিসিটরের কাছে [email protected] ইমেইলে এই তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে গতকাল সোমবার তাদের চিঠি পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসটর অনুবিভাগ।
২০ মিনিট আগে২০২০ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স আরোহী হিসেবে একসঙ্গে পুরো পরিবার বা এক পরিবারের একাধিক সদস্য নিহতের প্রবণতা বাড়ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা যায় গত ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দে
১ ঘণ্টা আগে