কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে বা দক্ষিণ এশিয়ার এই ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কারের আগে থেকেই গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কৃত হয়নি, পনোরো শ শতকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে সিলেটে আজ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে র্যাবের প্রশংসা করাসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন আইন প্রণেতাদের কারণে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, দুই দেশের ৫০ বছরের বেশ ভালো সম্পর্ক। আমাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে। হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা আসায় বাংলাদেশ বিস্মিত।’
চিঠিতে র্যাবের প্রশংসা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে আবারও পর্যালোচনা করার সুযোগ রয়েছে বলে বাংলাদেশ মনে করে। ১০ বছরে র্যাব ৬০০ মানুষকে জোরপূর্বক গুম করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখের মতো মানুষ হারিয়ে যায়। কিন্তু সেগুলোকে কেউ জোরপূর্বক গুম বলে না। প্রতিবছর শত মানুষ মার্কিন পুলিশ মেরে ফেলে। এগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ‘কিল ইন দ্য লাইন অব ডিউটি’ বা দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় হত্যা বলে থাকে। আর বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পত্রিকায় বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা। দুটিই বিচারবহির্ভূত হত্যা। সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি।
বাংলাদেশ ও মার্কিন মানবাধিকার তুলনা করে তা লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এগুলো হাসির খোরাকের মতো। আর অনেকটা মনে হচ্ছে যে, ওদের জিনিসটা ঠিক হয়নি। এখানে সুযোগ রয়েছে বিষয়টি পর্যালোচনা করার। এ কথাটাই আবার চিঠিতে লিখেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনালাপ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র। আমরা তখন জানিয়েছি যে, গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের ভিত্তিই হচ্ছে গণতন্ত্র। আর আমাদের দেশে গণতন্ত্র নতুন না। যখন যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কৃত হয়নি, আমাদের দেশে যদু মানুষের থ্রো অ্যা প্রোসেস অব ডেমোক্রেসি, জালালউদ্দিন নাম নিয়ে এখানে সরকার গঠন করে। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। সুতরাং আমাদের গণতন্ত্রের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ শতাংশ মানুষ ভোট দিলে ভালো ভোট মনে করা হয়। আর বাংলাদেশে ৭০-৮০ শতাংশ ভোট পড়া সাধারণ ব্যাপার। বাংলাদেশের মানুষ অনেক জাগ্রত।
মানবাধিকারও বাংলাদেশের বিষয়। কারণ বাংলাদেশও মানবাধিকারের জন্য সব সময়ে সোচ্চার। আর এ বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো আপস করে না। এমনকি র্যাব যেখানে আইন লঙ্ঘন করেছে, সেখানে শাস্তি হয়েছে। এ বিষয়গুলোই চিঠিতে লেখা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন। আর দুই পর্যায়ে ১৪১৫-১৪১৬ সাল এবং ১৪১৮-১৪৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন জালালউদ্দিন মুহম্মদ শাহ। বাংলার এই সুলতান ছিলেন রাজা গণেশের পুত্র। তাঁর বাল্য নাম ছিল যদু এবং ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন নাম নেন জালালউদ্দিন মুহম্মদ। ১৪১৬ সালে রাজা গণেশ তাঁকে সিংহাসনচ্যুত ও বন্দী করে পুনরায় ধর্মান্তরিত করেন। জালালউদ্দিনের প্রকৃত শাসন শুরু হয় ১৪১৮ সালে রাজা গণেশ ও তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র মহেন্দ্রের চূড়ান্ত উৎখাতের পর।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, জালালউদ্দিন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। রাজধানী পান্ডুয়া থেকে গৌড়ে স্থানান্তর করেন। তাঁর সাম্রাজ্য ছিল উত্তরবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে। হানাফি মাজহাবের অনুসারী জালালউদ্দিন উলামা ও শেখদের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছিলেন।
জালালউদ্দিন অমুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সহিষ্ণু ও উদার ছিলেন বলেই জানা যায়। রাজ্যধর নামে একজন হিন্দুকে সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন। পণ্ডিত ও ব্রাহ্মণদের পৃষ্ঠপোষকতাও দেন। পান্ডুয়ার বিখ্যাত একলাখী সমাধিসৌধে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বা দক্ষিণ এশিয়ার এই ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কারের আগে থেকেই গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কৃত হয়নি, পনোরো শ শতকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে সিলেটে আজ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে র্যাবের প্রশংসা করাসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন আইন প্রণেতাদের কারণে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, দুই দেশের ৫০ বছরের বেশ ভালো সম্পর্ক। আমাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে। হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা আসায় বাংলাদেশ বিস্মিত।’
চিঠিতে র্যাবের প্রশংসা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে আবারও পর্যালোচনা করার সুযোগ রয়েছে বলে বাংলাদেশ মনে করে। ১০ বছরে র্যাব ৬০০ মানুষকে জোরপূর্বক গুম করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখের মতো মানুষ হারিয়ে যায়। কিন্তু সেগুলোকে কেউ জোরপূর্বক গুম বলে না। প্রতিবছর শত মানুষ মার্কিন পুলিশ মেরে ফেলে। এগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ‘কিল ইন দ্য লাইন অব ডিউটি’ বা দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় হত্যা বলে থাকে। আর বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পত্রিকায় বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা। দুটিই বিচারবহির্ভূত হত্যা। সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি।
বাংলাদেশ ও মার্কিন মানবাধিকার তুলনা করে তা লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এগুলো হাসির খোরাকের মতো। আর অনেকটা মনে হচ্ছে যে, ওদের জিনিসটা ঠিক হয়নি। এখানে সুযোগ রয়েছে বিষয়টি পর্যালোচনা করার। এ কথাটাই আবার চিঠিতে লিখেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনালাপ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র। আমরা তখন জানিয়েছি যে, গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের ভিত্তিই হচ্ছে গণতন্ত্র। আর আমাদের দেশে গণতন্ত্র নতুন না। যখন যুক্তরাষ্ট্র আবিষ্কৃত হয়নি, আমাদের দেশে যদু মানুষের থ্রো অ্যা প্রোসেস অব ডেমোক্রেসি, জালালউদ্দিন নাম নিয়ে এখানে সরকার গঠন করে। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। সুতরাং আমাদের গণতন্ত্রের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ শতাংশ মানুষ ভোট দিলে ভালো ভোট মনে করা হয়। আর বাংলাদেশে ৭০-৮০ শতাংশ ভোট পড়া সাধারণ ব্যাপার। বাংলাদেশের মানুষ অনেক জাগ্রত।
মানবাধিকারও বাংলাদেশের বিষয়। কারণ বাংলাদেশও মানবাধিকারের জন্য সব সময়ে সোচ্চার। আর এ বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো আপস করে না। এমনকি র্যাব যেখানে আইন লঙ্ঘন করেছে, সেখানে শাস্তি হয়েছে। এ বিষয়গুলোই চিঠিতে লেখা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন। আর দুই পর্যায়ে ১৪১৫-১৪১৬ সাল এবং ১৪১৮-১৪৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন জালালউদ্দিন মুহম্মদ শাহ। বাংলার এই সুলতান ছিলেন রাজা গণেশের পুত্র। তাঁর বাল্য নাম ছিল যদু এবং ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন নাম নেন জালালউদ্দিন মুহম্মদ। ১৪১৬ সালে রাজা গণেশ তাঁকে সিংহাসনচ্যুত ও বন্দী করে পুনরায় ধর্মান্তরিত করেন। জালালউদ্দিনের প্রকৃত শাসন শুরু হয় ১৪১৮ সালে রাজা গণেশ ও তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র মহেন্দ্রের চূড়ান্ত উৎখাতের পর।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, জালালউদ্দিন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। রাজধানী পান্ডুয়া থেকে গৌড়ে স্থানান্তর করেন। তাঁর সাম্রাজ্য ছিল উত্তরবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে। হানাফি মাজহাবের অনুসারী জালালউদ্দিন উলামা ও শেখদের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছিলেন।
জালালউদ্দিন অমুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সহিষ্ণু ও উদার ছিলেন বলেই জানা যায়। রাজ্যধর নামে একজন হিন্দুকে সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন। পণ্ডিত ও ব্রাহ্মণদের পৃষ্ঠপোষকতাও দেন। পান্ডুয়ার বিখ্যাত একলাখী সমাধিসৌধে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের আলোকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে
৪১ মিনিট আগেভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও আদালতে তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানায়।
১ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
১৬ ঘণ্টা আগে