অনলাইন ডেস্ক
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনসহ রাজনৈতিক কয়েকটি পক্ষ এ দাবিতে সরব, মাঠেও নেমেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে গত সোমবার হাইকোর্টে রিটে করেন ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা। এতে দল নিষিদ্ধের আলোচনা আরও জোর পায়।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বদলে গেল এ নিয়ে আইন-আদালত করার উদ্যোগ। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট প্রত্যাহারের কথা জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী। এরপর আদালত রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন।
এই অবস্থায় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সেখান থেকে হয়তো আপাতত সরে এসেছে সরকার। আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা মোকাবিলা করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। সব দিক বিবেচনায় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে সরকার দোটানায় রয়েছে।
রিট দায়েরের দিন সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের উদ্যোগ সরাসরি নাকচও করে দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং শুধু বলেছিল, এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত এ মুহূর্তে নেই।
গতকাল সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্কের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘যারা (আওয়ামী লীগ) হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে, ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে অঙ্গহানি করেছে। সাধারণ মানুষ তাদের গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। শেখ হাসিনা গণহত্যা মামলার আসামি। অথচ অন্য দেশে বসে হুমকি দিচ্ছে। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ এই দলকে গ্রহণ করবে। বিচারপ্রক্রিয়ার পরে দেখা যাবে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী (বড়ুয়া) ও সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে নির্দেশনা চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ (আবুল হাসনাত) ও হাসিবুল ইসলাম পৃথক দুটি রিট করেছিলেন।
গতকাল বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে রিট দুটি না চালানোর কথা জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
জানতে চাইলে আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য রিটকারীরা এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আমার ধারণা। ১১টি দলের মধ্যে ভুলে কিছু নাম চলে এসেছে। আবার কিছু নাম বাদও পড়েছে।’
নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতাদের গ্রেপ্তারের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ছাত্রলীগের পদধারী নেতাদের গণগ্রেপ্তার তিনি কখনোই সমর্থন করেন না।
এদিকে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে না বলে এক মাস আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিএনপি। গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে, তারা রাজনীতি করবে, এটা তাদের অধিকার।’
বিএনপির মতো আরও অনেক রাজনৈতিক দলও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে বল বা চাপ প্রয়োগে বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব। সেটা সম্ভব আরেকটা উন্নত রাজনীতি দিয়ে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনীতিতে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না। গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদী সমাজে বৈরী কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিষিদ্ধ করার সংস্কৃতি ভালো না, এটাতে ভালো ফলাফল দেয় না। অনেক সময় এটা বুমেরাং হয়।’
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনসহ রাজনৈতিক কয়েকটি পক্ষ এ দাবিতে সরব, মাঠেও নেমেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে গত সোমবার হাইকোর্টে রিটে করেন ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা। এতে দল নিষিদ্ধের আলোচনা আরও জোর পায়।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বদলে গেল এ নিয়ে আইন-আদালত করার উদ্যোগ। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট প্রত্যাহারের কথা জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী। এরপর আদালত রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন।
এই অবস্থায় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সেখান থেকে হয়তো আপাতত সরে এসেছে সরকার। আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা মোকাবিলা করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। সব দিক বিবেচনায় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে সরকার দোটানায় রয়েছে।
রিট দায়েরের দিন সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের উদ্যোগ সরাসরি নাকচও করে দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং শুধু বলেছিল, এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত এ মুহূর্তে নেই।
গতকাল সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্কের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘যারা (আওয়ামী লীগ) হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে, ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে অঙ্গহানি করেছে। সাধারণ মানুষ তাদের গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। শেখ হাসিনা গণহত্যা মামলার আসামি। অথচ অন্য দেশে বসে হুমকি দিচ্ছে। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ এই দলকে গ্রহণ করবে। বিচারপ্রক্রিয়ার পরে দেখা যাবে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী (বড়ুয়া) ও সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে নির্দেশনা চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ (আবুল হাসনাত) ও হাসিবুল ইসলাম পৃথক দুটি রিট করেছিলেন।
গতকাল বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে রিট দুটি না চালানোর কথা জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
জানতে চাইলে আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য রিটকারীরা এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আমার ধারণা। ১১টি দলের মধ্যে ভুলে কিছু নাম চলে এসেছে। আবার কিছু নাম বাদও পড়েছে।’
নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতাদের গ্রেপ্তারের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ছাত্রলীগের পদধারী নেতাদের গণগ্রেপ্তার তিনি কখনোই সমর্থন করেন না।
এদিকে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে না বলে এক মাস আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিএনপি। গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে, তারা রাজনীতি করবে, এটা তাদের অধিকার।’
বিএনপির মতো আরও অনেক রাজনৈতিক দলও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে বল বা চাপ প্রয়োগে বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব। সেটা সম্ভব আরেকটা উন্নত রাজনীতি দিয়ে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনীতিতে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না। গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদী সমাজে বৈরী কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিষিদ্ধ করার সংস্কৃতি ভালো না, এটাতে ভালো ফলাফল দেয় না। অনেক সময় এটা বুমেরাং হয়।’
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেমাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৮ বছরের এক শিশুর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সারা দেশ। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নারীসমাজ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এর মধ্যেই গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের আরেক শিশুশিক্ষার্থী।
৩ ঘণ্টা আগেঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেপরিবার-পরিজনের সঙ্গে আসন্ন ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করতে বাড়ি ফিরবে লাখ লাখ মানুষ। এতে যানবাহনের চাপ বাড়বে সড়ক-মহাসড়কে। এবার সারা দেশে যানজটের জন্য ১৫৯টি সম্ভাব্য স্পট (স্থান) চিহ্নিত করেছে জননিরাপত্তা বিভাগ। এসব জায়গায় যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ঈদের আগে এবং পরে এসব স্পট বিশেষ মনিটরিংয়ের
৬ ঘণ্টা আগে