নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সংস্কারের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে এবং সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মচারী নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের বিচারের জন্য সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। তবে শপথ ভঙ্গ করে যেসব নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নির্ধারণ করা উচিত। নির্বচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরি। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে। আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ থাকবে না, তাই কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে বলে আশা করা যায়।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে তা জনগণ জানতে পারলে ভালো হয়। বর্তমান সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে না জাতীয় নির্বাচন আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা বলা হচ্ছে। এতে বেশ সময় লাগতে পারে। তবে এনআইডি হালনাগাদ থাকলে পৃথক ভোটার তালিকার প্রয়োজন আছে কি না তা ভেবে দেখতে হবে। এসব নানামুখী জল্পনা—কল্পনার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মচারী নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের বিচারের জন্য সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। তবে শপথ ভঙ্গ করে যেসব নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নির্ধারণ করা উচিত। নির্বচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরি। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে। আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ থাকবে না, তাই কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে বলে আশা করা যায়।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে তা জনগণ জানতে পারলে ভালো হয়। বর্তমান সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে না জাতীয় নির্বাচন আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা বলা হচ্ছে। এতে বেশ সময় লাগতে পারে। তবে এনআইডি হালনাগাদ থাকলে পৃথক ভোটার তালিকার প্রয়োজন আছে কি না তা ভেবে দেখতে হবে। এসব নানামুখী জল্পনা—কল্পনার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দূরত্ব বাড়লে সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোকেও জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তাঁদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। শুধু নির্বাচন দিলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে না। এখনো বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে দেশি-বিদেশি শক্তি তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে এই সব অপশক্তিরা। তবে আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে দেশকে ধ্বংস করে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বাংলাদেশের মানুষ অতি সহজে গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। তাই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি অন্ধকার।’
‘এই দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত সরকার। বাংলাদেশে শতভাগ ভোট পেয়েও নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের ভোট প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে। পতিত সরকারের অধীনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাকশালি কায়দায় একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। আমি আর ডামি, দিনের ভোট রাতে ও একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বন্দুকের নলে নির্বাচন কালে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ছিল। যাতে ভিন্ন মতের কেউ নির্বাচনের মাঠে আসতে না পারে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটকক্ষে ডাকাত ছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতেরা নিজের ইচ্ছা মতো সিল মেরে পতিত সরকারের পক্ষে ভোটের বাক্স ভরেছে। তাই গত তিনটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের সহযোগিতাকারী নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকল অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন—১) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শেষ করার পর দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা, ২) জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার নয়, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ৩) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বিগত কয়েকটি নির্বাচনের যেসব কমিশন ও প্রশাসনের ব্যক্তিরা নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকারকে গাইডলাইন প্রদান করা, ৪) নির্বাচনে পেশিশক্তি, টাকার ব্যবহার ও নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধে করণীয় সম্পর্কে কমিশন সরকারকে দিক নির্দেশনা প্রদান করা, ৫) দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, ঋণখেলাপিরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকরতে না পারে; তার উদ্যোগ নেওয়া, ৬) আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া, ৭) নির্বাচনকালীন সময়ে সন্ত্রাস, ভীতি সঞ্চার, বা অন্য কোনো ধরনের নির্বাচনী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া, ৮) যেসব আইনের দ্বারা নির্বাচনকালীন সময়ে গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনে বাঁধার সম্মুখীন হতে পারে, সে আইন বাতিল করা, ৯) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নবগঠিত কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে এজেন্ডা ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা, ১০) নির্বাচন কমিশনকে সকল মতভেদের ঊর্ধ্বে থেকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কোনো চাপে মাথানত না করা।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে প্রার্থীসহ জনগণের ভূমিকাই বেশি’-শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকেরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক মশিউর রহমান খান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সংস্কারের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে এবং সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মচারী নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের বিচারের জন্য সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। তবে শপথ ভঙ্গ করে যেসব নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নির্ধারণ করা উচিত। নির্বচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরি। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে। আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ থাকবে না, তাই কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে বলে আশা করা যায়।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে তা জনগণ জানতে পারলে ভালো হয়। বর্তমান সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে না জাতীয় নির্বাচন আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা বলা হচ্ছে। এতে বেশ সময় লাগতে পারে। তবে এনআইডি হালনাগাদ থাকলে পৃথক ভোটার তালিকার প্রয়োজন আছে কি না তা ভেবে দেখতে হবে। এসব নানামুখী জল্পনা—কল্পনার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মচারী নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাঁদের বিচারের জন্য সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। তবে শপথ ভঙ্গ করে যেসব নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নির্ধারণ করা উচিত। নির্বচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরি। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে। আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ থাকবে না, তাই কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে বলে আশা করা যায়।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে তা জনগণ জানতে পারলে ভালো হয়। বর্তমান সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে না জাতীয় নির্বাচন আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা বলা হচ্ছে। এতে বেশ সময় লাগতে পারে। তবে এনআইডি হালনাগাদ থাকলে পৃথক ভোটার তালিকার প্রয়োজন আছে কি না তা ভেবে দেখতে হবে। এসব নানামুখী জল্পনা—কল্পনার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দূরত্ব বাড়লে সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোকেও জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তাঁদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। শুধু নির্বাচন দিলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে না। এখনো বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে দেশি-বিদেশি শক্তি তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে এই সব অপশক্তিরা। তবে আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে দেশকে ধ্বংস করে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বাংলাদেশের মানুষ অতি সহজে গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। তাই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি অন্ধকার।’
‘এই দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত সরকার। বাংলাদেশে শতভাগ ভোট পেয়েও নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের ভোট প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে। পতিত সরকারের অধীনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাকশালি কায়দায় একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। আমি আর ডামি, দিনের ভোট রাতে ও একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বন্দুকের নলে নির্বাচন কালে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ছিল। যাতে ভিন্ন মতের কেউ নির্বাচনের মাঠে আসতে না পারে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটকক্ষে ডাকাত ছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতেরা নিজের ইচ্ছা মতো সিল মেরে পতিত সরকারের পক্ষে ভোটের বাক্স ভরেছে। তাই গত তিনটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের সহযোগিতাকারী নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকল অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন—১) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শেষ করার পর দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা, ২) জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার নয়, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ৩) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বিগত কয়েকটি নির্বাচনের যেসব কমিশন ও প্রশাসনের ব্যক্তিরা নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকারকে গাইডলাইন প্রদান করা, ৪) নির্বাচনে পেশিশক্তি, টাকার ব্যবহার ও নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধে করণীয় সম্পর্কে কমিশন সরকারকে দিক নির্দেশনা প্রদান করা, ৫) দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, ঋণখেলাপিরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকরতে না পারে; তার উদ্যোগ নেওয়া, ৬) আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া, ৭) নির্বাচনকালীন সময়ে সন্ত্রাস, ভীতি সঞ্চার, বা অন্য কোনো ধরনের নির্বাচনী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া, ৮) যেসব আইনের দ্বারা নির্বাচনকালীন সময়ে গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনে বাঁধার সম্মুখীন হতে পারে, সে আইন বাতিল করা, ৯) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নবগঠিত কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে এজেন্ডা ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা, ১০) নির্বাচন কমিশনকে সকল মতভেদের ঊর্ধ্বে থেকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কোনো চাপে মাথানত না করা।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে প্রার্থীসহ জনগণের ভূমিকাই বেশি’-শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকেরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক মশিউর রহমান খান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আব্দুস সবুর মণ্ডল ছিলেন একজন প্রভাবশালী ও আলোচিত সরকারি কর্মকর্তা।
২ মিনিট আগেভারতের কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে এবং এটাকে মিডিয়ার বাড়াবাড়ি হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ইসকন একটি সমর্থনমূলক বিবৃতি দিয়েছে। তবে ইসকনের পক্ষ থেকে এ দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। ইসকন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে...
৩ ঘণ্টা আগে