Ajker Patrika

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বারোপ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৩৫
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বারোপ

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বারোপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে আজ বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন বার্তাই দিয়ে গেছেন। ঢাকায় তাঁর দুই দিনের সফর শেষে দেশটির দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ছাড়া অবাধ-উন্মুক্ত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলা, রোহিঙ্গাসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন আলোচনায়। যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও যৌথ অগ্রাধিকারের অন্য ক্ষেত্রগুলোয় দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় আছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন এই কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

শোলের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ কথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

শোলেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কখনোই ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সব সময় জনগণের খাদ্য ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ভিত্তি নেই। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে।

সামাজিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে আলোকপাত করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের আমলে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশের এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক চর্চা ও স্থিতিশীলতার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শক্তিশালী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এই বিরোধের মীমাংসা হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মাদক ও মানব পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও আন্তসহিংসতার মতো নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শোলে ২৪ ঘণ্টার সফরে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে পৌঁছান। তিনি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। আজ তিনি ঢাকা ছাড়েন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত