নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘শতভাগ সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব। আমরা যারা কমিশনে আছি-তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।’ ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হবে কি হবে না এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন। মেশিনটি নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সন্দেহও কম নয়। তাই ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে (ইসি)। এরই মধ্যে দুই দফা মতবিনিময় শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে দলগুলোর বেশির ভাগই ইভিএম ব্যবহার না করার বিষয়ে মত দিয়েছে। তবে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আট রাজনৈতিক দলের কেউ সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে না থাকলেও এই যন্ত্রটি নিয়ে যেসব সন্দেহ আছে তা দূর করতে পরামর্শ দিয়েছে ইসিকে।
ইসির আমন্ত্রণ পেয়েছিল বিএনপিসহ ১৩টি দল। এর মধ্যে ইসিতে অনাস্থার কারণে মতবিনিময়ে অংশ নেয়নি পাঁচটি দল। বাকি যে আট দল অংশ নিয়েছে কেউই ইভিএমের বিপক্ষে সরাসরি কথা বলেনি। দলগুলোর নেতারা যন্ত্রটিতে ভোট গ্রহণকালীন ‘পেপার ট্রেইল’ পদ্ধতি রাখার দাবি জানিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়েজুল্লাহ বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দিতে গেলে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে না। সময় লাগে। নানা অসুবিধা আছে। তবে সন্দেহ থাকে যে একজন ভোটার ভোট দিলে তাঁর প্রার্থীর কাছে ভোটটি যাচ্ছে কিনা। ইভিএমে নির্বাচন হোক, তবে ভোট নেওয়ার পর ভোটটা নিশ্চিত হলো কিনা সেটা প্রমাণের জন্য কাগজের দরকার।’
বৈঠকে অনলাইন ভোটিংয়ের পরামর্শ দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) মহিউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ভোট দিলে ভোটারদের কষ্ট কমে যাবে।’ পাশাপাশি ইভিএম মেশিন সরাসরি বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে পাঠানোর বিষয়ে মত দেন তিনি।
ইভিএম মেশিনের কারণে আগের দিনে ভোট হবে না বলে দাবি করেছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সাংগঠনিক সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘ইভিএম গুড সিস্টেম। কারণ ভোটের দিন ভোট হবে।’ তবে ইভিএম ম্যানিপুলেট করা সম্ভব বলে জানান খেলাফত মজলিশের এক প্রতিনিধি।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশে সত্যিকারের একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।’ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশনের প্রসঙ্গ টেনে আউয়াল কমিশনকে উদাহরণ সৃষ্টি করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ইভিএমে আপনি আপনার নিজের ভোটটিই কেবল দিতে পারবেন। গোপন কক্ষে অন্য কেউ চাপ দিয়ে দেবেন সেটার জন্যও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি আগেও বলেছি, যে ইভিএম নিয়ে একটাই চ্যালেঞ্জ, যে সন্ত্রাসী অন্য কেউ চাপ দিয়ে দিল কি-না। এ জন্যই আমরা সিসি টিভি ব্যবহার করেছি। ভবিষ্যতে সবগুলোতে না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ব্যবহার করব।’
মো. আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘আস্থা একবার ভঙ্গ হলে সময় লাগে। সেই সময়টা আমরা নিচ্ছি। আমাদের কমিশন কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্বমূলক কাজ করবে না।’
ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আগেরটা ভারতের আদলে তৈরি ইভিএম ছিল। মূলত ওটি ছিল কাউন্টিং মেশিন। এ ক্ষেত্রে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে সমস্যা হয়েছিল। ওটার টেকনিক্যাল দায়িত্ব ছিল বুয়েটের আর অন্য অংশটুকুর দায়িত্ব ছিল বিএমটিএফএর। পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন নতুন কিছু চাইলেন। এরপর অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি টিম করে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, যা যা প্রয়োজনীয় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বর্তমানে ইভিএম মেশিনে। সে সময় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল যেন হিউম্যান ইন্টারফেয়ারেন্স না করা যায়।’
বর্তমান ইভিএমে ব্যক্তি শনাক্ত না হলে ব্যালট ইউনিট ওপেন হবে না উল্লেখ করে বিএমটিএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘এতে কেউ কারও ভোট দিতে পারবে না। এখন গোপন কক্ষের মধ্যে তাকেই যেতে হবে। অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন অন্য কেউ টিপলে? সেটার জন্য ইসি বা ইভিএম দায়ী নয়, সেটা আমাদের দায়িত্ব না। এটা যারা ম্যানেজমেন্ট করে তাদের দায়িত্ব।’
সভা শেষে ইভিএমে সিইসির সাফাই সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কথা জানালেও যন্ত্রটির ব্যাপারে ইতিবাচক বক্তব্যই দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সন্দেহ অনাস্থা থাকলেও তিনি বলেন, ‘ইভিএমে যদি কোনো দোষত্রুটি থেকে থাকে, আমি ইভিএম বিশেষজ্ঞ না, তারপরেও আমি এ পর্যন্ত যতটুকু ইভিএম দেখেছি ইতিবাচক দিকগুলো অনেক বেশি।’
সিইসি বলেন, ‘ইভিএমের ওপর যেহেতু আপনাদের পুরোপুরি আস্থা আসছে না। আমরা আজকের আলোচনাটা আয়োজন করেছিলাম ব্যাপক কনসালটেশনের জন্য। আজকে ১৩টি দলকে ডেকেছি, এর আগে ১৩টি দলকে ডেকেছিলাম। ১৩টি দল বোধ হয় আসেনি,৯-১০টি এসেছিল। আমরা জানি ইভিএম নিয়ে আপনাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। আমরা কিন্তু আপনাদের মতামত শুনছি। আপনাদের মতামতকে মূল্য দিচ্ছি। এরপর আরও ১৩টি দল আসবে। উনাদের সঙ্গেও আমরা এভাবে মতবিনিময় করব। আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা সব দলের মতামত না দিয়ে সিদ্ধান্ত নেব না। এই জন্য আমরা এই প্রক্রিয়াটা গ্রহণ করেছি। আমরা আপনাদের মতামত বিশ্লেষণ করব সেই সুযোগটা আমাদের রয়েছে।’
সিইসি জানান ইসির দায়িত্ব নিয়ে তিনি সততা ও নিষ্ঠা ধরে রাখবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করবেন না তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘শতভাগ সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব। আমরা যারা কমিশনে আছি-তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘শতভাগ সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব। আমরা যারা কমিশনে আছি-তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।’ ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হবে কি হবে না এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন। মেশিনটি নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সন্দেহও কম নয়। তাই ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে (ইসি)। এরই মধ্যে দুই দফা মতবিনিময় শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে দলগুলোর বেশির ভাগই ইভিএম ব্যবহার না করার বিষয়ে মত দিয়েছে। তবে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আট রাজনৈতিক দলের কেউ সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে না থাকলেও এই যন্ত্রটি নিয়ে যেসব সন্দেহ আছে তা দূর করতে পরামর্শ দিয়েছে ইসিকে।
ইসির আমন্ত্রণ পেয়েছিল বিএনপিসহ ১৩টি দল। এর মধ্যে ইসিতে অনাস্থার কারণে মতবিনিময়ে অংশ নেয়নি পাঁচটি দল। বাকি যে আট দল অংশ নিয়েছে কেউই ইভিএমের বিপক্ষে সরাসরি কথা বলেনি। দলগুলোর নেতারা যন্ত্রটিতে ভোট গ্রহণকালীন ‘পেপার ট্রেইল’ পদ্ধতি রাখার দাবি জানিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়েজুল্লাহ বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দিতে গেলে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে না। সময় লাগে। নানা অসুবিধা আছে। তবে সন্দেহ থাকে যে একজন ভোটার ভোট দিলে তাঁর প্রার্থীর কাছে ভোটটি যাচ্ছে কিনা। ইভিএমে নির্বাচন হোক, তবে ভোট নেওয়ার পর ভোটটা নিশ্চিত হলো কিনা সেটা প্রমাণের জন্য কাগজের দরকার।’
বৈঠকে অনলাইন ভোটিংয়ের পরামর্শ দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) মহিউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ভোট দিলে ভোটারদের কষ্ট কমে যাবে।’ পাশাপাশি ইভিএম মেশিন সরাসরি বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে পাঠানোর বিষয়ে মত দেন তিনি।
ইভিএম মেশিনের কারণে আগের দিনে ভোট হবে না বলে দাবি করেছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সাংগঠনিক সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘ইভিএম গুড সিস্টেম। কারণ ভোটের দিন ভোট হবে।’ তবে ইভিএম ম্যানিপুলেট করা সম্ভব বলে জানান খেলাফত মজলিশের এক প্রতিনিধি।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশে সত্যিকারের একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।’ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশনের প্রসঙ্গ টেনে আউয়াল কমিশনকে উদাহরণ সৃষ্টি করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ইভিএমে আপনি আপনার নিজের ভোটটিই কেবল দিতে পারবেন। গোপন কক্ষে অন্য কেউ চাপ দিয়ে দেবেন সেটার জন্যও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি আগেও বলেছি, যে ইভিএম নিয়ে একটাই চ্যালেঞ্জ, যে সন্ত্রাসী অন্য কেউ চাপ দিয়ে দিল কি-না। এ জন্যই আমরা সিসি টিভি ব্যবহার করেছি। ভবিষ্যতে সবগুলোতে না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ব্যবহার করব।’
মো. আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘আস্থা একবার ভঙ্গ হলে সময় লাগে। সেই সময়টা আমরা নিচ্ছি। আমাদের কমিশন কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্বমূলক কাজ করবে না।’
ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আগেরটা ভারতের আদলে তৈরি ইভিএম ছিল। মূলত ওটি ছিল কাউন্টিং মেশিন। এ ক্ষেত্রে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে সমস্যা হয়েছিল। ওটার টেকনিক্যাল দায়িত্ব ছিল বুয়েটের আর অন্য অংশটুকুর দায়িত্ব ছিল বিএমটিএফএর। পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন নতুন কিছু চাইলেন। এরপর অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি টিম করে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, যা যা প্রয়োজনীয় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বর্তমানে ইভিএম মেশিনে। সে সময় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল যেন হিউম্যান ইন্টারফেয়ারেন্স না করা যায়।’
বর্তমান ইভিএমে ব্যক্তি শনাক্ত না হলে ব্যালট ইউনিট ওপেন হবে না উল্লেখ করে বিএমটিএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘এতে কেউ কারও ভোট দিতে পারবে না। এখন গোপন কক্ষের মধ্যে তাকেই যেতে হবে। অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন অন্য কেউ টিপলে? সেটার জন্য ইসি বা ইভিএম দায়ী নয়, সেটা আমাদের দায়িত্ব না। এটা যারা ম্যানেজমেন্ট করে তাদের দায়িত্ব।’
সভা শেষে ইভিএমে সিইসির সাফাই সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কথা জানালেও যন্ত্রটির ব্যাপারে ইতিবাচক বক্তব্যই দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সন্দেহ অনাস্থা থাকলেও তিনি বলেন, ‘ইভিএমে যদি কোনো দোষত্রুটি থেকে থাকে, আমি ইভিএম বিশেষজ্ঞ না, তারপরেও আমি এ পর্যন্ত যতটুকু ইভিএম দেখেছি ইতিবাচক দিকগুলো অনেক বেশি।’
সিইসি বলেন, ‘ইভিএমের ওপর যেহেতু আপনাদের পুরোপুরি আস্থা আসছে না। আমরা আজকের আলোচনাটা আয়োজন করেছিলাম ব্যাপক কনসালটেশনের জন্য। আজকে ১৩টি দলকে ডেকেছি, এর আগে ১৩টি দলকে ডেকেছিলাম। ১৩টি দল বোধ হয় আসেনি,৯-১০টি এসেছিল। আমরা জানি ইভিএম নিয়ে আপনাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। আমরা কিন্তু আপনাদের মতামত শুনছি। আপনাদের মতামতকে মূল্য দিচ্ছি। এরপর আরও ১৩টি দল আসবে। উনাদের সঙ্গেও আমরা এভাবে মতবিনিময় করব। আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা সব দলের মতামত না দিয়ে সিদ্ধান্ত নেব না। এই জন্য আমরা এই প্রক্রিয়াটা গ্রহণ করেছি। আমরা আপনাদের মতামত বিশ্লেষণ করব সেই সুযোগটা আমাদের রয়েছে।’
সিইসি জানান ইসির দায়িত্ব নিয়ে তিনি সততা ও নিষ্ঠা ধরে রাখবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করবেন না তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘শতভাগ সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব। আমরা যারা কমিশনে আছি-তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
১ মিনিট আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
২ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে